৪র্থ আরব ইসরাইল যুদ্ধ সংঘটিত হয় কবে?
A
১৯৭০ সালে
B
১৯৭১ সালে
C
১৯৭২ সালে
D
১৯৭৩ সালে
উত্তরের বিবরণ
আরব-ইসরাইল যুদ্ধ:
মোট ৪টি আরব-ইসরাইল যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।
১ম আরব-ইসরাইল যুদ্ধ (১৯৪৮):
-
সংঘটিত হয় ১৯৪৮ সালে।
-
ইসরায়েল বনাম আরব রাষ্ট্রসমূহ এবং ফিলিস্তিনি আরব বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়।
-
আরবিতে পরিচিত ‘নাকবা’ (বিপর্যয়) এবং হিব্রুতে ‘মিলখেমেত হাতজমাউত’ (স্বাধীনতা যুদ্ধ) নামে।
২য় আরব-ইসরাইল যুদ্ধ (১৯৫৬):
-
সংঘটিত হয় ১৯৫৬ সালে।
৩য় আরব-ইসরাইল যুদ্ধ (১৯৬৭):
-
সংঘটিত হয় ১৯৬৭ সালে।
-
ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করেছিল।
-
এই যুদ্ধের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৬ দিন।
৪র্থ আরব-ইসরাইল যুদ্ধ (১৯৭৩):
-
সংঘটিত হয় ১৯৭৩ সালে।
-
পরিচিত Yom Kippur War নামে।
-
ইহুদিদের পবিত্র দিন ইয়ম কিপুরের সময় আরব জোটের অতর্কিত হামলা শুরু হয়।
-
মিশরীয় ও সিরিয়ান সেনারা যুদ্ধবিরতি রেখা ভেদ করে যথাক্রমে সিনাই উপদ্বীপ ও গোলান মালভূমিতে ঢুকে পড়ে।
-
যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন উভয়ই নিজেদের মিত্রদের সহায়তা প্রদান করে, যা দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করে।
তথ্যসূত্র: Worldatlas.com

0
Updated: 1 month ago
‘বারাক এমএক্স’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোন দেশের তৈরি?
Created: 2 weeks ago
A
ভারত
B
রাশিয়া
C
ইসরায়েল
D
ইরান
বারাক এমএক্স হলো একটি উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (আইএআই) তৈরি করেছে এবং এটি আকাশ ও স্থলভিত্তিক হুমকি মোকাবেলায় সক্ষম।
-
ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা: বারাক এমএক্সের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ১৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
-
রাডার সিস্টেম: এর রাডার ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত কামান, মর্টার ও রকেট হামলা শনাক্ত করতে পারে।
-
নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্য: বারাক এমএক্সে রয়েছে উন্নত নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা, যা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা বাড়ায়।
-
থ্রিডি রাডার: এর থ্রিডি রাডার সর্বোচ্চ ৪৬০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত কার্যকর।
-
সম্প্রতি ব্যবহার: সম্প্রতি, তুরস্কের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে সাইপ্রাসকে বারাক এমএক্স প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করেছে ইসরায়েল।

0
Updated: 2 weeks ago
সৌদি আরবে আমেরিকান সৈন্য মোতায়েনের উদ্দেশ্য -
Created: 4 months ago
A
ইরাকের আক্রমণ হতে সৌদি আরবকে রক্ষা করা
B
ইরাকের কুয়েত দখল অবসান করা
C
স্বল্পমূল্যে জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করা
D
উপরের সবকটি
সৌদি আরব
মধ্যপ্রাচ্যের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সৌদি আরব আরব উপদ্বীপের বৃহৎ অংশজুড়ে বিস্তৃত একটি রাষ্ট্র। আয়তনের দিক থেকে এটি এশিয়ার পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। এর উত্তরে রয়েছে জর্দান ও ইরাক, উত্তর-পূর্বে কুয়েত, কাতার ও বাহরাইন, পূর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ-পূর্বে ওমান এবং দক্ষিণে ইয়েমেন। সৌদি আরব ব্যতিক্রমীভাবে এমন একটি দেশ যার দুই দিকেই সমুদ্রসীমা রয়েছে—একদিকে লোহিত সাগর, অন্যদিকে পারস্য উপসাগর।
এই দেশটির ভূপ্রকৃতি প্রধানত মরুভূমি ও পাহাড়ঘেরা। ১৯৩২ সালে ইবনে সাউদের নেতৃত্বে সৌদি আরবে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এটি বিশেষ মর্যাদার অধিকারী, কারণ এখানেই মক্কা ও মদিনা নামক ইসলামের দুই পবিত্র নগর অবস্থিত। দেশটি বিশাল পরিমাণে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদের অধিকারী, যা তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান ভিত্তি।
রাজধানী: রিয়াদ
দাপ্তরিক ভাষা: আরবি
মুদ্রা: সৌদি রিয়াল
জাতিসংঘে সদস্যপদ গ্রহণ: ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫
সৌদি আরবে লিখিত সংবিধান নেই এবং তাদের জাতীয় পতাকায় কালেমা লেখা আছে, যা বিশ্বের একমাত্র এমন পতাকা যা কখনো অর্ধনমিত হয় না।
সৌদি আরবে মার্কিন সেনা মোতায়েন:
তেল আবিষ্কারের পর সৌদি আরব দ্রুত এক ধনী রাষ্ট্রে রূপ নেয়। তবে জনসংখ্যা কম হওয়ায় তাদের সেনাবাহিনীতে যোগদানে উপযুক্ত লোকের সংখ্যা সীমিত ছিল। ফলে প্রশিক্ষণের ঘাটতি ও কম জনবল মিলিয়ে সৌদি সেনাবাহিনী তুলনামূলকভাবে দুর্বল ছিল।
এদিকে তাদের প্রতিবেশী ইরাক একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গড়ে তোলে এবং কুয়েতের উপর মালিকানা দাবি করে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের তেলসমৃদ্ধ এলাকায় তেমন প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষামূলক বাধা ছিল না, কেবল বিস্তৃত মরুভূমি। সেক্ষেত্রে যদি ইরাকি বাহিনী সেই এলাকা দিয়ে আক্রমণ করত, তাহলে সৌদি সরকার প্রতিরোধ করতে অক্ষম হতো।
এই প্রতিরক্ষা দুর্বলতা দূর করতে এবং তাদের তেলক্ষেত্র সুরক্ষিত রাখতে সৌদি সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নেয়। ফলে সৌদি আরবের ভূমিতে মার্কিন সৈন্য মোতায়েন করা হয়। এর আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তেলের সরবরাহে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
এইভাবে সৌদি আরবের ভৌগোলিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা মার্কিন সামরিক উপস্থিতিকে অনিবার্য করে তোলে।
উৎস: Britannica
[প্রশ্নটি তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন যা বর্তমানে আর গুরুত্বপূর্ণ নয়।]

0
Updated: 4 months ago
ইসরাইল কত সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করেছিল?
Created: 3 months ago
A
১৯৪৮ সালে
B
১৯৬০ সালে
C
১৯৬৭ সালে
D
১৯৭৩ সালে
ইসরাইল ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করেছিল।
আরব-ইসরাইল যুদ্ধ:
- মোট ৪টি আরব-ইসরাইল যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
⇒ ১ম আরব-ইসরাইল যুদ্ধ:
- সংঘটিত হয় ১৯৪৮ সালে।
- ইসরায়েল এবং আরব রাষ্ট্রসমূহ ও ফিলিস্তিনি আরব বাহিনীর গুলোর সম্মিলিত সামরিক বাহিনী মধ্যে সংঘটিত হয়।
- এটি আরবিতে নাকবা (বিপর্যয়) ও হিব্রুতে মিলখেমেত হাতজমাউত (স্বাধীনতা যুদ্ধ) বলে পরিচিত।
⇒ ২য় আরব-ইসরাইল যুদ্ধ:
- সংঘটিত হয় ১৯৫৬ সালে।
⇒ ৩য় আরব ইসরাইল যুদ্ধ:
- সংঘটিত হয় ১৯৬৭ সালে।
- ১৯৬৭ সালে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করেছিল।
- এই যুদ্ধের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৬ দিন।
⇒ ৪র্থ আরব ইসরাইল যুদ্ধ:
- সংঘটিত হয় ১৯৭৩ সালে।
- Yom Kippur War নামে পরিচিত ৪র্থ আরব-ইসরাইল যুদ্ধ।
- ইহুদিদের পবিত্র দিন ইয়োম কিপুরের সময় ইসরায়েল-অধিকৃত অঞ্চলে আরব জোটের অতর্কিত হামলার মাধ্যমে এই যুদ্ধ শুরু হয়।
- মিশরীয় ও সিরিয়ান সেনারা যুদ্ধবিরতি রেখা ভেদ করে যথাক্রমে সিনাই উপদ্বীপ ও গোলান মালভূমিতে ঢুকে পড়ে।
- যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন উভয়ে তাদের নিজ নিজ মিত্রদের এসময়ে সহায়তা করে।
- ফলে দুইটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়।
উৎস: World Atlas.

0
Updated: 3 months ago