কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ কোনটি?
A
রুদ্রমঙ্গল
B
যুগবাণী
C
তুর্কমহিলার ঘোমটা খোলা
D
ব্যথার দান
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত রচনা:
-
প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ: ‘তুর্কমহিলার ঘোমটা খোলা’
-
প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস: ‘বাঁধন হারা’
-
প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ: ‘যুগবাণী’
-
প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ (এবং প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ): ‘ব্যথার দান’
-
প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘অগ্নি-বীণা’
-
প্রথম প্রকাশিত কবিতা: ‘মুক্তি’
-
প্রথম প্রকাশিত গল্প: ‘বাউণ্ডলের আত্মকাহিনী’
-
প্রথম প্রকাশিত নাটক: ‘ঝিলিমিলি’
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
রাজবন্দীর জবানবন্দি
-
দুর্দিনের যাত্রী
-
যুগবাণী
-
রুদ্র মঙ্গল
সূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 5 months ago
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'বাঁধন-হারা' পত্রোপন্যাসে মোট কয়টি পত্র রয়েছে?
Created: 5 months ago
A
১২ টি
B
১৪টি
C
১৭টি
D
১৮টি
বাঁধন-হারা
-
‘বাঁধন-হারা’ (১৯২৭) হল কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস, যেখানে মোট ১৮টি পত্র অন্তর্ভুক্ত।
-
কাজী নজরুল ইসলাম করাচিতে অবস্থানকালে উপন্যাসটি লেখা শুরু করেন।
-
উপন্যাসটি মুসলিম ভারত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
-
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল নুরুল হুদা। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো মাহবুবা, রবিউল, রাবেয়া এবং সোফিয়া।
কাজী নজরুল ইসলাম
-
তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির একজন শ্রেষ্ঠ পুরুষ।
-
জন্ম: ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯ খ্রি:) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।
-
বাংলা সাহিত্যে তিনি পরিচিত ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে এবং আধুনিক বাংলা গানের জগতে খ্যাত ‘বুলবুল’ হিসেবে।
-
ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে ১৯৭২ সালের ২৪ মে তাঁকে সপরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।
-
১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব দেওয়া হয় এবং ২১ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদক’ প্রদান করা হয়।
-
মৃত্যু: ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ (১২ ভাদ্র ১৩৮৩) ঢাকার পিজি হাসপাতালে।
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উপন্যাসসমূহ
-
বাঁধন-হারা
-
মৃত্যুক্ষুধা
-
কুহেলিকা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 5 months ago
কোনটি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা উপন্যাস?
Created: 3 hours ago
A
চক্রবাক
B
মৃত্যুক্ষধা
C
আলেয়া
D
সাম্যবাদী
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিত, তবে তিনি কবিতা, গান, নাটক এবং গল্পের পাশাপাশি কিছু প্রবন্ধ ও উপন্যাসও রচনা করেছেন। তাঁর লিখিত উপন্যাসের মধ্যে ‘মৃত্যুঞ্জয়’ বা ‘মৃত্যুক্ষধা’ অন্যতম। প্রদত্ত বিকল্পের মধ্যে সঠিক উত্তর হলো মৃত্যুঞ্জয়/মৃত্যুক্ষধা।
‘মৃত্যুক্ষধা’ উপন্যাসে নজরুল ইসলাম মানব জীবনের দার্শনিক ও সামাজিক বিষয়াবলী তুলে ধরেছেন। এখানে মানবিক মূল্যবোধ, ন্যায়-বিচার, দারিদ্র্য ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা রচনার মূল উপজীব্য। নজরুলের সাহিত্যিক উদ্দেশ্য ছিল পাঠকের মনোজগতে সাম্য, স্বাধীনতা ও মানবিক চেতনা জাগ্রত করা।
নজরুলের অন্যান্য রচনা যেমন ‘চক্রবাক’ কবিতা, ‘আলিয়া’ নাট্যরূপ, এবং ‘সাম্যবাদী’ প্রবন্ধ বা প্রবন্ধমূলক রচনা, যা তার সমাজচেতনা ও রাজনৈতিক ভাবনার প্রতিফলন। তবে ‘মৃত্যুক্ষধা’ একমাত্র উপন্যাস, যেখানে গল্পের মাধ্যমে মানব জীবনের বাস্তবতা এবং দার্শনিক ভাব প্রকাশিত হয়েছে।
সারসংক্ষেপে, কাজী নজরুল ইসলামের লেখা উপন্যাস হলো ‘মৃত্যুক্ষধা’, যা তাঁর সাহিত্যচেতনা, মানবিক মূল্যবোধ এবং সামাজিক সচেতনতার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।
0
Updated: 3 hours ago
'পদ্মগোখরা' গল্পটির রচয়িতা কে?
Created: 4 days ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
C
মীর মশাররফ হোসেন
D
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
‘পদ্মগোখরা’ গল্পটির রচয়িতা কাজী নজরুল ইসলাম, যিনি বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট কবি ও গল্পকার। নজরুল ইসলাম তার সাহিত্যকর্মে সাধারণ মানুষের জীবন, সামাজিক অসাম্য এবং মানবিক অনুভূতিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ‘পদ্মগোখরা’ গল্পেও এই বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়, যেখানে মানবিক সম্পর্ক, সামাজিক বাস্তবতা এবং নৈতিক শিক্ষা প্রধান উপজীব্য।
এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
মানবিক ও সামাজিক বিষয়বস্তু: গল্পটি মানুষের দৈনন্দিন জীবন, তাদের আবেগ, প্রেম, দায়িত্ববোধ এবং সামাজিক সম্পর্ককে কেন্দ্র করে রচিত। এটি পাঠককে সামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে সংযুক্তি প্রদান করে।
-
চরিত্রায়ন: কাজী নজরুল ইসলামের চরিত্রগুলো জীবন্ত ও বাস্তবসম্মত। ‘পদ্মগোখরা’-তে চরিত্রদের মানসিকতা, আবেগ এবং নৈতিক দ্বন্দ্ব গভীরভাবে ফুটে ওঠে।
-
ভাষা ও শৈলী: গল্পের ভাষা সরল, প্রাঞ্জল ও ছন্দময়। এটি পাঠককে সহজে গল্পের বিভিন্ন অনুভূতি ও পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে সাহায্য করে।
-
নৈতিক ও শিক্ষামূলক প্রভাব: গল্পে মানুষের সদাচরণ, দায়িত্ব ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিফলিত হয়েছে। এটি পাঠকের মধ্যে নৈতিক চিন্তাভাবনা উদ্দীপিত করে।
-
সাহিত্যিক গুরুত্ব: নজরুলের গল্পের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে সমাজ সচেতন, মানবিক এবং শিক্ষামূলক গল্পধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ‘পদ্মগোখরা’ তার এই কীর্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
সারসংক্ষেপে, ‘পদ্মগোখরা’ গল্পের রচয়িতা কাজী নজরুল ইসলাম, যিনি গল্পে মানবিক সম্পর্ক, সামাজিক বাস্তবতা এবং নৈতিক শিক্ষা সুন্দরভাবে ফুটিয়েছেন। তার লেখনী বাংলা সাহিত্যে সামাজিক সচেতনতা ও মানবিক মূল্যবোধ প্রকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
0
Updated: 4 days ago