'পল্লিজননী' কবিতার রচয়িতা কে?
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C
জসীম উদ্দীন
D
জীবনানন্দ দাশ
উত্তরের বিবরণ
'পল্লিজননী' কবিতাটি জসীম উদ্দীন রচিত 'রাখালী' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
-
'রাখালী' ছিল তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
-
এটি প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
-
এই কাব্যগ্রন্থেই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তাঁর বিখ্যাত 'কবর' কবিতাটি।
জসীম উদ্দীন সম্পর্কে কিছু তথ্য:
-
তিনি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি পল্লিকবি হিসেবে পরিচিত।
-
তাঁর রচিত বিখ্যাত গাথাকাব্য 'নক্সী কাঁথার মাঠ' ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয়।
-
১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
জসীম উদ্দীনের জনপ্রিয় খণ্ডকবিতার সংকলনসমূহ:
-
রাখালী
-
বালুচর
-
রূপবতী
-
ধানখেত
-
মাটির কান্না
-
সুচয়নী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 5 months ago
'আসাদের শার্ট' কবিতার লেখক কে?
Created: 2 months ago
A
আল মাহমুদ
B
আব্দুল মান্নান সৈয়দ
C
অমিয় চক্রবর্তী
D
শামসুর রাহমান
আসাদের শার্ট
-
কবি শামসুর রাহমান শহীদ আসাদকে স্মরণ করে ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি রচনা করেন কালজয়ী কবিতা ‘আসাদের শার্ট’।
-
এই কবিতার প্রেক্ষাপট ছিল পুলিশের গুলিতে নিহত আসাদের শার্টটি উঁচুতে তুলে দিয়ে প্রতিবাদী মিছিল করার দৃশ্য, যা কবির উপর গভীর প্রভাব ফেলে।
-
কবিতার এক বিখ্যাত অংশে তিনি লিখেছেন:
"আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা, কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা।"
শামসুর রাহমান
-
জন্ম: ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর, পুরান ঢাকার ৪৬ নম্বর মাহুতটুলী।
-
তিনি ২০ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে খ্যাত।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ‘প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ (১৯৬০) যা কবিতায় তার সুনাম প্রতিষ্ঠা করে।
-
জনপ্রিয় কবিতা: ‘স্বাধীনতা তুমি’, ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা’।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় লেখা কবিতাগুচ্ছ ‘বন্দী শিবির থেকে’ কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয় এবং এটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
শামসুর রাহমান রচিত উপন্যাসের কিছু উদাহরণ
-
অদ্ভুত আঁধার এক
-
অক্টোপাস
-
নিয়ত মন্তাজ
-
এলো সে অবেলায়
শামসুর রাহমান রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ
-
বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে
-
প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে
-
রৌদ্র করোটিতে
-
বিধ্বস্ত নীলিমা
-
নিরালোকে দিব্যরথ
-
নিজ বাসভূমে
-
বন্দী শিবির থেকে
-
ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা
-
আমি অনাহারী
-
প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে
-
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
-
বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়
-
হরিণের হাড়
-
তুমি নিঃশ্বাস তুমি হৃদস্পন্দন
উৎস:বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago
'সাত সাগরের মাঝি' কাব্যগ্রন্থে মোট কয়টি কবিতা স্থান পেয়েছে?
Created: 2 months ago
A
১৬টি
B
১৯টি
C
২১টি
D
২৩টি
‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্যগ্রন্থ
-
ফররুখ আহমদের প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ এটি।
-
গ্রন্থে মোট উনিশটি কবিতা সংকলিত হয়েছে।
-
কবিতাগুলি ১৯৪৩-৪৪ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে রচিত।
-
কাব্যগ্রন্থটির প্রকাশকাল ১৯৪৪ সাল।
-
কবি মূলত জাগরণের উদ্দেশ্যে এই কবিতাগুলি রচনা করেন।
-
প্রচলিত বাংলা শব্দ পরিহার করে তিনি এ গ্রন্থে বহু অপ্রচলিত আরবি-ফারসি শব্দ ব্যবহার করেছেন।
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সমাজের বিরূপ চিত্রও এই গ্রন্থে প্রতিফলিত হয়েছে।
ফররুখ আহমদ
-
জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৮ সালে, যশোর জেলার মাঝআইল গ্রামে।
-
তাঁকে ইসলামি স্বাতন্ত্রবাদী কবি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
-
তাঁর কবিতায় পাকিস্তানবাদ, ইসলামি আদর্শ, মুসলিম জাগরণ এবং আরব-ইরানি ঐতিহ্য সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
তাঁর রচিত গ্রন্থাবলি
-
কাব্যনাট্য: নৌফেল ও হাতেম
-
সনেট সংকলন: মুহূর্তের কবিতা
-
কাহিনিকাব্য: হাতেমতায়ী
-
শিশুতোষ গ্রন্থ: পাখির বাসা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago
বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক সমৃদ্ধ ধারা-
Created: 5 months ago
A
নাটক
B
ছোট গল্প
C
প্রবন্ধ
D
গীতি কবিতা
গীতিকবিতা
গীতিকবিতা এমন এক ধরনের কবিতা যেখানে কবির হৃদয়ের অন্তর্নিহিত অনুভূতি সুর ও সঙ্গীতের ছন্দে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এখানে ব্যক্তিগত আবেগ, কামনা-বাসনা, আনন্দ ও বেদনার প্রকাশ ঘটে আবেগঘন ভাষায়।
যেসব কবিতায় কবির অন্তরের গভীর অনুভূতি সঙ্গীততাড়িত কণ্ঠে প্রকাশিত হয় এবং যে ভাবাবেগ পূর্ণতা নিয়ে প্রকাশ পায়—তাকেই গীতিকবিতা বলা হয়।
গীতিকবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য
-
আন্তরিক আবেগের প্রকাশ
-
সংক্ষিপ্ত রচনার গঠন
-
সঙ্গীতধর্মী ছন্দ ও সুরেলা ভাষা
-
গতিময়তা ও স্বচ্ছন্দ গতি
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, গীতিকাব্য হলো বক্তার অন্তর্দাহ ও আবেগের উচ্ছ্বাসপূর্ণ প্রকাশমাত্র, যার উদ্দেশ্য একান্তই হৃদয়ের ভাবের প্রকাশ। যেহেতু এই অনুভূতিগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় না, তাই গীতিকবিতাও সাধারণত ছোট হয়।
তবে গীতিকবিতার ভাববস্তুর ব্যাপ্তি কখনো কখনো বড় হতে পারে, আবার কখনো তা হয় অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। এ কারণে গীতিকবিতার নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য নির্ধারণ সম্ভব নয়।
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে বৈষ্ণব পদাবলির মধ্য দিয়ে গীতিকবিতার রূপ প্রথম স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়। যদিও কাব্যধারা প্রাচীন ও মধ্যযুগে শুরু হয়েছিল, গীতিকবিতা আসলে আধুনিক যুগেই সম্পূর্ণতা লাভ করে।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যে গীতিকবিতা হয়ে উঠেছে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় ধারাগুলোর একটি।
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে সমৃদ্ধ ধারা ছিল বৈষ্ণব সাহিত্য।
উৎস
-
বাংলাপিডিয়া
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর)
-
লাল নীল দীপাবলী (হুমায়ুন আজাদ)
0
Updated: 5 months ago