A
নন্দিত নরকে
B
এই সব দিনরাত্রি
C
জোছনা ও জননীর গল্প
D
আগুনের পরশমণি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী লেখক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালে নেত্রকোনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার ও শিক্ষক ছিলেন।
প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস:
-
নন্দিত নরকে (প্রকাশ: ১৯৭২)
চলচ্চিত্র নির্মাণ:
-
প্রথম চলচ্চিত্র: আগুনের পরশমণি (১৯৯৫)
-
শেষ চলচ্চিত্র: ঘেটুপুত্র কমলা (২০১২)
মৃত্যু:
-
২০১২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসসমূহ:
-
আগুনের পরশমণি
-
অনিল বাগচীর একদিন
-
শ্যামল ছায়া
-
জোছনা ও জননীর গল্প
-
১৯৭১
অন্যান্য জনপ্রিয় উপন্যাস:
-
এই সব দিনরাত্রি
-
আমার আছে জল
-
নক্ষত্রের রাত
-
ফেরা
-
বহুব্রীহি
-
গৌরীপুর জংশন
-
শ্রাবণ মেঘের দিন
-
দুই দুয়ারী
-
কোথাও কেউ নেই
-
বৃষ্টি বিলাস
-
বাদশাহ নামদার
-
মেঘের ওপর বাড়ি
তথ্যসূত্র:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
'বোবাকাহিনী' উপন্যাসের চরিত্র কোনটি?
Created: 2 months ago
A
রুপাই
B
বছির
C
মুনিম
D
মকবুল
বোবা কাহিনী (১৯৬৪)
লেখক: জসীম উদ্দীন
এই উপন্যাসে গ্রামীণ জীবনের করুণ বাস্তবতা ফুটে উঠেছে।
-
গ্রামের প্রান্তিক চাষি আজহার মহাজনী শোষণের কারণে ভূমিহীন হয়ে পড়ে।
-
মেধাবী যুবক বছির শহরের সুবিধাবাদী উকিল ও ভণ্ড ধার্মিকদের দ্বারা নিগৃহীত হয়।
-
উপন্যাসে সরল ও সাদামাটা একটি গল্প রয়েছে, যা বিশেষ কোনো জটিলতা ছাড়া পাঠযোগ্য।
-
প্রধান চরিত্রসমূহ: বছির, আজহার, আরজান, রহিমুদ্দিন।
জসীম উদ্দীন (১৯০৩–১৯৭৬)
-
জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯০৩, তাম্বুলখানা গ্রাম, ফরিদপুর (মাতুলালয়ে)।
-
পরিচিতি: পল্লিকবি হিসেবে খ্যাত।
-
মৃত্যু: ১৩ মার্চ ১৯৭৬, ঢাকা।
বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
নক্সী কাঁথার মাঠ (১৯২৯) – অনুবাদ: The Field of the Embroidered Quilt (E.M. Millford)
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
মা যে জননী কান্দে
-
রাখালী
নাটকসমূহ
-
পদ্মাপাড়
-
বেদের মেয়ে
-
মধুমালা
-
পল্লীবধূ
-
গ্রামের মায়া
ভ্রমণকাহিনি
-
চলে মুসাফির
-
হলদে পরীর দেশ
-
যে দেশে মানুষ বড়
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
মানিক বন্দোপাধ্যায়ের 'পদ্মানদীর মাঝি' নামক উপন্যাসের উপজীব্য-
Created: 2 months ago
A
মাঝি-মাল্লার সংগ্রামশীল জীবন
B
জেলে-জীবনের বিচিত্র সুখ-দুঃখ
C
চাষী-জীবনের করুণ চিত্র
D
চরবাসীদের দুঃখী-জীবন
‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাস
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসটি ১৯৩৪ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ‘পূর্বাশা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে। এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য জেলেদের জীবন ও তাদের সুখ-দুঃখের নানা দিক, বিশেষত পদ্মা নদীর তীরবর্তী ধীবর সম্প্রদায়ের জীবনচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
কুবের ও কপিলা—এই দুই প্রধান চরিত্রের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্ক উপন্যাসে একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। উপন্যাসের বিখ্যাত সংলাপ “আমারে নিবা মাঝি লগে?” কপিলা কুবেরকে উদ্দেশ্য করে বলে, যা পাঠকের মনে গভীর ছাপ ফেলে।
‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাস ইংরেজি, রুশ, চীনা, চেক, নরওয়েজিয়ান, সুইডিশ প্রভৃতি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
রহস্যময় চরিত্র হোসেন মিয়া
উপন্যাসের অন্যতম রহস্যময় চরিত্র হোসেন মিয়া, যিনি নতুন চরে জীবনের গান শোনাতে আগ্রহী। তিনি একই সঙ্গে নির্মম ও দয়ার্দ্র, সরল ও কঠোর, শ্রমিক ও মাদক ব্যবসায়ী—বিভিন্ন রূপ ধারণ করেছেন। ভালো-মন্দ, আলো-ছায়ার মাঝে ঘেরা হোসেন মিয়া উপন্যাসের অপরিহার্য ও জটিল চরিত্র। যদিও তার প্রকৃত রহস্যের সন্ধান পায় সবাই না, তবুও নিরীহ মাঝিদের কাছে তিনি ত্রাতার মতো সম্মানিত।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
কুবের
-
কপিলা
-
মালা
-
ধনঞ্জয়
-
গণেশ
-
শীতলবাবু
-
হোসেন মিয়া
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক। তিনি ১৯০৮ সালের ২৯ মে বিহারের সাঁওতাল পরগনার দুমকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের মালবদিয়া গ্রামে। তাঁর প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার, ‘মানিক’ ছিল ডাকনাম।
স্নাতক স্তরে অধ্যয়নরত অবস্থায় বিচিত্রা পত্রিকায় তাঁর প্রথম গল্প ‘অতসী মামী’ প্রকাশ পায়। জীবনের প্রথম পর্যায়ে মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড, ইয়ুং, অ্যাডলারের প্রভাব পড়লেও পরে তিনি মার্কসবাদে দীক্ষা লাভ করেন।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
-
জননী
-
দিবারাত্রির কাব্য
-
পুতুলনাচের ইতিকথা
-
শহরতলী
-
অহিংসা
-
স্বাধীনতার স্বাদ
-
আরোগ্য
উৎস:
‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাস; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago
'ঠকচাচা' চরিত্রটি কোন উপন্যাসের?
Created: 1 week ago
A
হুতোম প্যাঁচার নক্সা
B
আলালের ঘরের দুলাল
C
সধবার একাদশী
D
বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
আলালের ঘরের দুলাল
- আলালের ঘরের দুলাল বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম উপন্যাস।
- প্যারীচাঁদ মিত্রের প্রথম গ্রন্থ 'আলালের ঘরের দুলাল'।
- আলালের ঘরের দুলাল উপন্যাসটি ১৮৫৮ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায়।
- উপন্যাসটিতে দেশীয় বন্ধ্যা শিক্ষা ব্যবস্থা, পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্ধ অনুকরণ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিশৃঙ্খলা নিয়ে লেখক তাঁর অভিমত প্রকাশ করেছেন।
- ধনী বাবুরামের পুত্র মতিলাল কুসঙ্গে পড়ে এবং শিক্ষার ব্যাপারে পিতার অবহেলা তাকে অধঃপতনে নিয়ে যায়।
- পিতার মৃত্যুর পর মতিলাল তার বাবার প্রাপ্ত সব সম্পত্তি নষ্ট করে ফেলে।
- উপন্যাসটিতে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য চরিত্র হলো মোকাজান মিয়া বা ঠকচাচা।
• এছাড়াও চরিত্রে হচ্ছে-
- বাবুরাম,
- বাবুরামের পুত্র মতিলাল,
- ধূর্ত উকিল বটলর,
- অর্থলোভী বাঞ্ছারাম,
- তোষামোদকারী বক্রেশ্বর ইত্যাদি।
-------------------------
• প্যারীচাঁদ মিত্র:
- ১৮১৪ সালের ২২ জুলাই কলকাতায় তাঁর জন্ম।
- তিনি ছিলেন লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী, ব্যবসায়ী।
- তাঁর ছন্দনাম “টেকচাঁদ ঠাকুর”।
- ১৮২৭ সালে তিনি হিন্দু কলেজে ভর্তি হন এবং খ্যাতিমান শিক্ষক হেনরি ডিরোজিওর তত্ত্বাবধানে থেকে শিক্ষা সম্পন্ন করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে:
- আলালের ঘরের দুলাল,
- মদ খাওয়া বড় দায়,
- জাত থাকার কি উপায়,
- আধ্যাত্মিকা।
উৎস: বাংলাপিডিয়া ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 week ago