A
ইসলাম ধর্ম
B
বৌদ্ধ ধর্ম
C
হিন্দু ধর্ম
D
খ্রিষ্টান ধর্ম
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের চর্যাগুলি রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
এতে মূলত বৌদ্ধধর্মের উপদেশ তুলে ধরা হয়েছে।
-
আধুনিক ছন্দ বিশ্লেষণে চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ-র মতে চর্যাপদ রচনা হয়েছে খ্রিষ্টাব্দ ৬৫০ সালে, আর সুনীতকুমার চট্টোপাধ্যায়-এর মতে খ্রিষ্টাব্দ ৯৫০–১২০০ সালের মধ্যে।
-
চর্যাপদের সংখ্যা সম্পর্কেও মতভেদ রয়েছে—ড. শহীদুল্লাহর মতে ৫০টি, আর সুনীতকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে ৫১টি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (মাহবুবুল আলম), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 6 days ago
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত চর্যাপদ বিষয়ক গ্রন্থের নাম কী?
Created: 5 days ago
A
Buddhist Mystic Songs
B
চর্যাগীতিকা
C
চর্যাগীতিকোষ
D
হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষার বৌদ্ধগান ও দোহা
চর্যাপদ
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর পর্যবেক্ষণ:
-
চর্যাপদ নিয়ে তার রচিত গ্রন্থের নাম “Buddhist Mystic Songs”।
-
তার মতে, চর্যাপদ ৬৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত।
-
এই গ্রন্থে চর্যাপদের ২৩ জন কবির নাম পাওয়া যায়।
-
এছাড়া চর্যাপদের ধর্মতত্ত্ব এবং বৌদ্ধধর্মের প্রভাবও আলোচিত হয়েছে।
অন্য গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ও গবেষকরা:
-
“চর্যাগীতিকা” গ্রন্থের রচয়িতা: মুহম্মদ আবদুল হাই।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রচিত গ্রন্থ: “হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা”।
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম গ্রন্থ এবং বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
সুকুমার সেনের “বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস” (প্রথম খন্ড) অনুযায়ী চর্যাপদের ২৪ জন পদকর্তার নাম পাওয়া যায়।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর Buddhist Mystic Songs গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম উল্লেখ আছে।
-
চর্যাপদের প্রথম পদটির রচয়িতা হলেন লুইপা।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদের মোট পদ সংখ্যা ৫০, তবে সুকুমার সেনের মতে ৫১টি।
-
চর্যাপদের পদগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
-
বিষয়বস্তু প্রধানত বৌদ্ধধর্ম সংক্রান্ত।
-
প্রধান কবিরা: সরহপা, শবরপা, লুইপা, ডোম্বীপা, ভুসুকুপা, কাহ্নপা, কুক্কুরীপা, মীনপা, আর্যদেব, ঢেণ্ঢনপা ইত্যাদি।
-
কাহ্নপা সর্বোচ্চ ১৩টি পদ রচনা করেছেন।
-
ভুসুকুপা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, ৮টি পদ রচনা করেছেন।
-
চর্যাপদে রচিত পদগুলো সন্ধ্যা বা সান্ধ্যাভাষায় লেখা।
-
২৩ নং পদটি খণ্ডিত আকারে পাওয়া যায়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 5 days ago
‘চর্যাপদ’ আবিষ্কৃত হয় কত সালে?
Created: 4 weeks ago
A
১৯০৯
B
১৭৯৮
C
১৯০৭
D
১৭০৯
চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন। ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন।
চর্যাপদের সাথে আরও দুটি বই – ডাকার্ণব ও দোহাকোষ যেগুলো নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের সাথে আবিষ্কৃত হয়। তাঁরই সম্পাদনায় ৪৭ (সাড়ে ৪৬)টি পদবিশিষ্ট পুথিখানি ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক প্রকাশিত হয়।
তিনি পুথির সূচনায় একটি সংস্কৃত শ্লোক থেকে নামের যে ইঙ্গিত পান তাতে এটি চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয় নামেও পরিচিত হয়। তবে সংক্ষেপে এটি ‘বৌদ্ধগান ও দোহা’ বা ‘চর্যাপদ’ নামেই অভিহিত হয়ে থাকে।

0
Updated: 4 weeks ago
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কত সালে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন?
Created: 1 week ago
A
১৯১৭ সালে
B
১৯০৭ সালে
C
১৯১৬ সালে
D
১৯০৫ সালে
চর্যাপদ
-
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন।
-
১৮৮২ সালে Sanskrit Buddhist Literature in Nepal গ্রন্থে রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র নেপালের বৌদ্ধতান্ত্রিক সাহিত্যের কথা প্রথম প্রকাশ করেন।
-
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের কতকগুলো পদ আবিষ্কার করেন।
-
তাঁর সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ১৯১৬ সালে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) চারটি পুঁথি একত্রে ‘হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে প্রকাশ করে।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 week ago