'মোসলেম ভারত' পত্রিকার সম্পাদক কে?
A
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক
B
নাসির উদ্দীন ইউসুফ
C
মীর মশাররফ হোসেন
D
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
উত্তরের বিবরণ
‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকা:
-
কবি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক এর সম্পাদনায় কলকাতা থেকে ১৩২৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ (১৯২০) মাসে মাসিক ‘মোসলেম ভারত’ প্রকাশিত হয়।
-
প্রথম বছরে এটি নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হলেও পরবর্তী বছর অনিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়। মোট মাত্র ১৭টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে।
-
রবীন্দ্রনাথের বাণী প্রতি সংখ্যার সূচনায় প্রকাশিত হতো।
-
‘মোসলেম ভারত’ নজরুলের সাহিত্যিক প্রতিষ্ঠা ও বিকাশে প্রধান সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে।
-
প্রতি সংখ্যায় নজরুলের একাধিক রচনা প্রকাশিত হয়।
-
নজরুলের বিভিন্ন লেখা যেমন কামাল পাশা, মোহররম, সাত ইল বিদ্রোহী, বাঁধন-হারা আরব, বিদ্রোহী (উপন্যাস, কিস্তিতে) ইত্যাদি এই পত্রিকার পৃষ্ঠায় ছড়িয়ে আছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
'একুশে ফেব্রুয়ারি' প্রথম সংকলনের সম্পাদক কে?
Created: 3 months ago
A
শওকত ওসমান
B
জহির রায়হান
C
আব্দুল গণি হাজারী
D
হাসান হাফিজুর রহমান
বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ঘটে যাওয়া রক্তঝরা আন্দোলনের স্মৃতিকে ধারণ করে ১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত হয় এক অনন্য সাহিত্য সংকলন—‘একুশে ফেব্রুয়ারী’।
এই সংকলনের সম্পাদনায় ছিলেন কবি ও সাহিত্যিক হাসান হাফিজুর রহমান এবং প্রকাশনায় ছিলেন মোহাম্মদ সুলতান। উভয়েই তৎকালীন বামপন্থি রাজনৈতিক চিন্তাধারার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এই সংকলনটি বাংলা সাহিত্যে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখে, যেখানে ২২ জন লেখক ছয়টি বিভাগে লিখেছেন—কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প, গান, নক্শা ও ইতিহাস। এ গ্রন্থেই প্রথমবার প্রকাশিত হয় ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অমর গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো”,
যার রচয়িতা ছিলেন আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী। তবে স্বাধীন মতপ্রকাশ সহ্য করতে না পেরে পাকিস্তানি সরকার সংকলনটি প্রকাশের মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই বাজেয়াপ্ত করে।
হাসান হাফিজুর রহমান: কবি, প্রাবন্ধিক ও সম্পাদক
জন্ম: ১৯৩২, জামালপুর
বিশেষ পরিচিতি: কবি, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক
হাসান হাফিজুর রহমান বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে তিনি ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র’ নামক গুরুত্বপূর্ণ দলিল সংকলনেরও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর সাহিত্যকর্ম:
প্রবন্ধসমূহ:
-
আধুনিক কবি ও কবিতা
-
মূল্যবোধের জন্য
-
সাহিত্য প্রসঙ্গ
-
আলোকিত গহ্বর
কাব্যগ্রন্থ:
-
বিমুখ প্রান্তর
-
প্রতিবিম্ব
-
আর্ত শব্দাবলী
-
অন্তিম শহরের মতো
-
যখন উদ্যত সঙ্গীন
-
ভবিতব্যের বাণিজ্য তরী
-
শোকার্ত তরবারী
গল্প:
-
আরো দুটি মৃত্যু
এই সংকলন ও এর সম্পাদক বাংলা জাতিসত্তার আত্মপ্রকাশ, সাহিত্য ও ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া শহিদদের স্মরণে সাহিত্যের এ মহাকাব্যিক প্রকাশ বাংলা সংস্কৃতিতে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 months ago
'মোসলেম ভারত' নামক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
Created: 4 months ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
মুন্সী মোহাম্মদ রেয়াজুদ্দীন আহমদ
C
মোজাম্মেল হক
D
রেয়াজুদ্দীন আহমদ মাশহাদী
মোজাম্মেল হক ছিলেন মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘মোস্লেম ভারত’ এর সম্পাদক।
মোস্লেম ভারত সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ
-
এটি ১৯২০ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত একটি মাসিক সাহিত্য সাময়িকী।
-
পত্রিকার প্রথম সংখ্যা ১৩২৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে প্রকাশিত হয়।
-
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে খ্যাতিমান লেখকদের লেখা এতে প্রকাশ পেত।
-
প্রতি সংখ্যার প্রথম পাতার উপরের অংশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বাণী সংকলিত হতো।
-
কাজী নজরুল ইসলামের কবিপ্রতিভার বিকাশে ‘মোস্লেম ভারত’ পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
-
কাজী নজরুল ইসলামের পত্রোপন্যাস ‘বাঁধনহারা’-র প্রথম কিস্তি ‘মোস্লেম ভারত’-এর প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
উৎস:
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল হক এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 months ago
বাংলা একাডেমীর 'আঞ্চলিক অভিধান' সম্পাদনা কে করেন?
Created: 2 months ago
A
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
মুহম্মদ এনামুল হক
C
মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন
D
মুহম্মদ আবদুল হাই
বাংলা একাডেমী 'বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান':
- আঞ্চলিক ভাষার অভিধান বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপভাষার একটি সংকলন গ্রন্থ।
- ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সম্পাদনায় ১৯৬৫ সালে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
- বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষাসমূহের সংকলন-জাতীয় গ্রন্থ এটিই প্রথম।
---------------------------
• ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্:
- ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চবিবশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে তাঁর জন্ম।
- তিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও ভাষাতত্ত্ববিদ ছিলেন।
- তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বে এম.এ (১৯১২) পাস করেন। দুবছর পর তিনি বি.এল (১৯১৪) ডিগ্রিও অর্জন করেন।
- ১৯২৬ সালে শহীদুল্লাহ্ উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ইউরোপ যান।
- মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ছিলেন বহুভাষাবিদ এবং ভাষাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তিনি স্বচ্ছন্দে বিচরণ করেছেন।
- তিনি ১৮টি ভাষা জানতেন; ফলে বিভিন্ন ভাষায় সংরক্ষিত জ্ঞানভান্ডারে তিনি সহজেই প্রবেশ করতে পেরেছিলেন।
তার উল্লেখযোগ্য রচনা কর্ম হলো:
- বাংলা সাহিত্যের কথা,
- ভাষা ও সাহিত্য,
- বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত।
উৎস: বাংলাপিডিয়া ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago