A
সুকান্ত ভট্টাচার্য
B
শামসুর রাহমান
C
জীবনানন্দ দাশ
D
হাসান আজিজুল হক
উত্তরের বিবরণ
জনান্তীকে কবিতা ও পঙ্ক্তি:
-
“কোথাও সান্ত্বনা নেই, পৃথিবীতে আজ বহুদিন থেকে শান্তি নেই।” — এই পঙ্ক্তিটি জীবনানন্দ দাশ রচিত ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের ‘জনান্তীকে’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
জীবনানন্দ দাশ:
-
তিনি ধূসরতার কবি, তিমির হননের কবি, নির্জনতার কবি, রূপসী বাংলার কবি প্রভৃতি বিশেষণে অভিহিত।
-
তিনি বাংলা কাব্যধারায় রবীন্দ্রবিরোধী তিরিশের কবিতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান কবি ছিলেন।
-
জন্ম: ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, বরিশাল।
-
তিনি ব্রহ্মবাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।
-
তিনি দৈনিক স্বরাজ পত্রিকার সাহিত্যপাতা সম্পাদনা করেছিলেন।
-
তাঁর মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন সুপরিচিত কবি।
-
স্কুলে ছাত্রাবস্থায় তাঁর প্রথম কবিতা ‘বর্ষ-আবাহন’ প্রকাশিত হয় ব্রহ্মবাদী পত্রিকায় (বৈশাখ ১৩২৬/এপ্রিল ১৯১৯)।
-
তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরাপালক প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
ঝরাপালক
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 6 days ago
‘মানবজীবন', 'মহৎজীবন', 'উন্নতজীবন' -প্রভৃতি গ্রন্থের রচয়িতা-
Created: 2 months ago
A
এস ওয়াজেদ আলী
B
এয়াকুব আলী চৌধুরী
C
মোঃ লুৎফর রহমান
D
মোঃ ওয়াজেদ আলী
‘মানবজীবন', 'মহৎজীবন', 'উন্নতজীবন' -মোহাম্মদ লুৎফর রহমান রচিত গ্রন্থ।
মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন মাগুরা জেলার পারনান্দুয়ালি গ্রামে। তিনি ডাক্তার হিসেবে পেশাগত জীবনে যুক্ত থাকলেও সাহিত্য ও সমাজসেবায় ছিলেন সমানভাবে সক্রিয়। সমাজ সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড ও মানবিক মূল্যবোধসমৃদ্ধ রচনার জন্য তিনি ‘ডাক্তার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান’ নামে সমধিক পরিচিত।
সমাজ সংস্কারে অবদান
-
১৯২২ সালে কলকাতায় পতিতা নারীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন একটি মানবিক সংগঠন — ‘নারীতীর্থ’।
-
এই সংগঠনের সভাপতি ছিলেন নারীশিক্ষার অগ্রদূত বেগম রোকেয়া (১৮৮০–১৯৩৬) এবং সম্পাদক ছিলেন মোহাম্মদ লুৎফর রহমান নিজে।
-
‘নারীতীর্থ’-এর মুখপত্র হিসেবে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় মাসিক পত্রিকা ‘নারীশক্তি’, যার প্রথম সংখ্যা বের হয় বাংলা ১৩২৯ সনে।
-
এ পত্রিকাটি মোট ছয়টি সংখ্যা প্রকাশ করে।
সাহিত্যকর্ম
জীবনমুখী রচনা:
মোহাম্মদ লুৎফর রহমান মানুষের নৈতিক ও আত্মিক উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়ে একাধিক জীবনধর্মী গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলো হলো—
-
মহৎ জীবন
-
মানবজীবন
-
সত্য জীবন
-
উচ্চ জীবন
-
ধর্ম জীবন
-
মহাজীবন
-
যুবকজীবন
উপন্যাস ও নৈতিক কাহিনি:
-
সরলা
-
পথহারা
-
রায়হান
-
প্রীতি-উপহার
-
বাসর-উপহার
শিশু-কিশোরদের জন্য রচনা:
তরুণ প্রজন্মের চরিত্র গঠনের লক্ষ্যে তিনি শিশুকিশোরদের উপযোগী বইও লিখেছেন, যেমন—
-
ছেলেদের মহত্ত্বকথা
-
ছেলেদের কারবালা
-
রানী হেলেন
তথ্যসূত্রঃ এই জীবনী ও গ্রন্থতালিকা সংকলিত হয়েছে বাংলাপিডিয়া-র তথ্যভাণ্ডার থেকে।

0
Updated: 2 months ago
'সেক শুভোদয়া' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 2 weeks ago
A
রামাই পণ্ডিত
B
বড়ু চণ্ডীদাস
C
হলায়ূধ মিশ্র
D
বৃন্দাবন দাস
'সেক শুভোদয়া' গ্রন্থ
-
রচয়িতা: হলায়ূধ মিশ্র
-
ভাষা ও শৈলী: অশুদ্ধ বাংলা ও সংস্কৃত মিশ্রিত, সংস্কৃত গদ্য-পদ্যে লেখা চম্পুকাব্য
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: অনেকে একে রজা লক্ষ্মণ সেনের সভাকবি হলায়ূধ মিশ্রের রচনা বলে মনে করেন।
- ড. মুহম্মদ এনামুল হকের মতে, খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকের রচনা। -
গঠন: গদ্য ও পদ্য মিলিয়ে ২৫টি অধ্যায়
-
বিশেষত্ব: গ্রন্থে বাংলা ছড়া ও বাগধারার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়; তবে প্রচুর ভুল সংস্কৃত ব্যবহার রয়েছে।
- ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় একে ‘dog Sanskrit’ বলেছেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস

0
Updated: 2 weeks ago
'নীলাঞ্জনার খাতা' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 6 days ago
A
জীবনানন্দ দাশ
B
বুদ্ধদেব বসু
C
বিষ্ণু দে
D
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বুদ্ধদেব বসু:
-
তিনি তিরিশের দশকের একজন সাহিত্যিক, সমালোচক ও সম্পাদক ছিলেন।
-
জন্ম: ১৯০৮ সালের ৩০ নভেম্বর, কুমিল্লায়।
-
তাঁদের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের মালখানগরে।
বুদ্ধদেব বসুর রচিত গল্পগ্রন্থ:
-
অভিনয়, অভিনয় নয়
-
রেখাচিত্র
-
হাওয়া বদল ইত্যাদি
বুদ্ধদেব বসুর রচিত উপন্যাস:
-
তিথিডোর
-
সাড়া
-
সানন্দা
-
লালমেঘ
-
পরিক্রমা
-
কালো হাওয়া
-
নির্জন স্বাক্ষর
-
নীলাঞ্জনার খাতা ইত্যাদি
বুদ্ধদেব বসুর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
কঙ্কাবতী
-
দময়ন্তী
-
মর্মবাণী
-
যে আঁধার আলোর অধিক
বুদ্ধদেব বসুর রচিত নাটক:
-
মায়া মালঞ্চ
-
তপস্বী ও তরঙ্গিনী
-
কলকাতার ইলেক্টা ও সত্যসন্ধ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 6 days ago