'বোবাকাহিনী' উপন্যাসের চরিত্র কোনটি?
A
রুপাই
B
বছির
C
মুনিম
D
মকবুল
উত্তরের বিবরণ
বোবা কাহিনী (১৯৬৪)
লেখক: জসীম উদ্দীন
এই উপন্যাসে গ্রামীণ জীবনের করুণ বাস্তবতা ফুটে উঠেছে।
-
গ্রামের প্রান্তিক চাষি আজহার মহাজনী শোষণের কারণে ভূমিহীন হয়ে পড়ে।
-
মেধাবী যুবক বছির শহরের সুবিধাবাদী উকিল ও ভণ্ড ধার্মিকদের দ্বারা নিগৃহীত হয়।
-
উপন্যাসে সরল ও সাদামাটা একটি গল্প রয়েছে, যা বিশেষ কোনো জটিলতা ছাড়া পাঠযোগ্য।
-
প্রধান চরিত্রসমূহ: বছির, আজহার, আরজান, রহিমুদ্দিন।
জসীম উদ্দীন (১৯০৩–১৯৭৬)
-
জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯০৩, তাম্বুলখানা গ্রাম, ফরিদপুর (মাতুলালয়ে)।
-
পরিচিতি: পল্লিকবি হিসেবে খ্যাত।
-
মৃত্যু: ১৩ মার্চ ১৯৭৬, ঢাকা।
বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
নক্সী কাঁথার মাঠ (১৯২৯) – অনুবাদ: The Field of the Embroidered Quilt (E.M. Millford)
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
মা যে জননী কান্দে
-
রাখালী
নাটকসমূহ
-
পদ্মাপাড়
-
বেদের মেয়ে
-
মধুমালা
-
পল্লীবধূ
-
গ্রামের মায়া
ভ্রমণকাহিনি
-
চলে মুসাফির
-
হলদে পরীর দেশ
-
যে দেশে মানুষ বড়
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 months ago
'পদ্মরাগ' উপন্যাসটি রচনা করেন কে?
Created: 3 weeks ago
A
সুফিয়া কামাল
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন
D
বেগম রোকেয়া
'পদ্মরাগ' উপন্যাস
-
লেখক: বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
-
প্রকাশ: ১৯২৪
-
ধরন: উপন্যাসপম গদ্য-আখ্যায়িকা (সাধারণ উপন্যাস নয়)
-
বৈশিষ্ট্য:
-
প্রথম মুসলিম নারীর রচনা
-
মুসলিম সমাজের অন্তঃস্থিত ক্লেদ প্রকাশ
-
অসাম্প্রদায়িকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
-
-
উৎসর্গ: জ্যেষ্ঠভ্রাতা আবুল আসাদ ইব্রাহিম
বেগম রোকেয়ার অন্যান্য রচনা
-
প্রবন্ধ: মতিচূর (২ খণ্ড: ১ম খণ্ড ১৯০৪, ২য় খণ্ড ১৯২২)
-
নকশাধর্মী রচনা: Sultana’s Dream
-
উপন্যাস: পদ্মরাগ
-
নকশাধর্মী গদ্যগ্রন্থ: অবরোধবাসিনী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 3 weeks ago
'রাজলক্ষ্মী' চরিত্রের স্রষ্টা ঔপন্যাসিক-
Created: 4 months ago
A
বঙ্কিমচন্দ্র
B
শরৎচন্দ্র
C
তারাশংকর
D
নজরুল ইসলাম
• 'রাজলক্ষ্মী' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'শ্রীকান্ত' উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত একটি চরিত্র।
• 'শ্রীকান্ত' উপন্যাস:
- 'শ্রীকান্ত' উপন্যাসটি শরৎচন্দ্রের আত্মজৈবনিক উপন্যাস। উপন্যাসটি চারটি খণ্ডে রচিত।
- প্রথম খণ্ড মাসিক 'ভারতবর্ষে' (১৯১৬-১৭)' শ্রীকান্তের ভ্রমণ কাহিনি নামে প্রকাশিত হয়।
- লেখকের নাম মুদ্রিত হয় 'শ্রী শ্রীকান্ত শর্মা'।
- ২য় ও ৩য় খণ্ডও মাসিক 'ভারতবর্ষে' প্রকাশিত হয়।
- তবে ৪র্থ খণ্ড প্রকাশিত হয় 'বিচিত্র' পত্রিকায়।
- 'শ্রীকান্ত' উপন্যাসের বিখ্যাত কিশোর চরিত্র হচ্ছে- 'ইন্দ্রনাথ'।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো:
- শ্রীকান্ত,
- রাজলক্ষ্মী,
- অন্নদাদিদি,
- অভয়া,
- রোহিণী,
- কমললতা প্রমুখ।
এ উপন্যাসের বিখ্যাত কিছু উক্তি:
- 'মধু থাকলেই মৌমাছি এসে জোটে তারা দেশ-বিদেশের বিচার করে না।'
- 'বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়।'
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, শরৎচন্দ্র রচনাবলী এবং 'শ্রীকান্ত' উপন্যাস।

0
Updated: 4 months ago
'বিষাদ-সিন্ধু' কার রচনা?
Created: 2 months ago
A
কায়কোবাদ
B
মীর মশাররফ হোসেন
C
মোজাম্মেল হক
D
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
বিষাদ-সিন্ধু’ (১৮৮৫–১৮৯১) হলো বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস আশ্রিত এক অনন্য উপন্যাস, যা লেখক মীর মশাররফ হোসেনকে অসামান্য খ্যাতির আসনে অধিষ্ঠিত করে। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত এই উপন্যাসে হাসান ও হোসেনের শাহাদাতের করুণ কাহিনি, দামেস্ক শাসক মাবিয়ার পুত্র এজিদের রক্তপিপাসু চরিত্র এবং জয়নাবের রূপে মোহিত হয়ে বহু মানুষের ধ্বংসযজ্ঞ—সবকিছু মিলিয়ে এটি হয়ে উঠেছে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবিক আবেগের এক বিস্ময়কর মহাগাঁথা।
তবে ইতিহাসের প্রতি অন্ধ আনুগত্য নয়, বরং তা থেকে শিল্পসাহিত্যের উপযোগী বেছে নেওয়া কৌশল এই উপন্যাসকে করেছে স্বকীয়। গ্রন্থটি তিনটি পর্বে বিভক্ত:
-
মহরম পর্ব্ব (১৮৮৫)
-
উদ্ধার পর্ব্ব (১৮৮৭)
-
এজিদ-বধ পর্ব্ব (১৮৯১)
এই তিনটি পর্বে রয়েছে মোট ৬৩টি 'প্রবাহ' বা অধ্যায়—যার মধ্যে মহরম পর্বে ২৬টি প্রবাহসহ উপক্রমণিকা, উদ্ধার পর্বে ৩০টি প্রবাহ, এবং এজিদ-বধ পর্বে ৫টি প্রবাহ ও উপসংহার অংশ রয়েছে।
এই উপন্যাসের জনপ্রিয়তার পেছনে মূলত দুটি প্রধান কারণ:
-
ইসলাম ধর্মঘটিত স্পর্শকাতর কাহিনি, যা মুসলিম পাঠকের হৃদয়ে গভীর আবেদন সৃষ্টি করে।
-
সাহিত্যিক গুণ ও শৈলী, যা জ্ঞানপিপাসু ও রসিক পাঠকের কাছে এটিকে একটি শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্মে পরিণত করেছে।
এখানে মাইকেল মধুসূদনের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ থেকে অনুপ্রাণিত অ্যান্টি-এস্টাব্লিশমেন্ট চেতনার প্রতিফলনও লক্ষণীয়।
মীর মশাররফ হোসেন: পথিকৃৎ মুসলিম সাহিত্যিক
মীর মশাররফ হোসেন জন্মগ্রহণ করেন ১৩ নভেম্বর ১৮৪৭ সালে, কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে। তিনি ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক—বাংলা গদ্যসাহিত্যের বঙ্কিমযুগের একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক এবং মুসলিম সমাজে সাহিত্যজাগরণের অন্যতম অগ্রদূত।
ছাত্রজীবনেই ‘সংবাদ প্রভাকর’ ও ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’য় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করে তিনি লেখালেখির সূচনা করেন। তাঁর সাহিত্যগুরু ছিলেন ‘গ্রামবার্তা’র সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ।
তিনি ‘গাজী মিয়াঁ’ ছদ্মনামে লেখালেখি করতেন। সম্পাদনা করেছেন দুটি পত্রিকা—‘আজিজননেহার’ ও ‘হিতকরী’।
প্রথম রচনা:
-
‘রত্নবতী’ (১৮৬৯): এটি বাংলা ভাষায় কোনো মুসলিম লেখকের প্রথম গদ্যগ্রন্থ।
🎭 নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমিদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ:
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
গো-জীবন
এইভাবে মীর মশাররফ হোসেন তাঁর সাহিত্যসাধনায় যেমন ধর্ম ও ইতিহাসকে সৃজনশীল রূপে প্রকাশ করেছেন, তেমনি বাংলা গদ্যসাহিত্যের উন্নয়নে রেখেছেন অমোচনীয় অবদান।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago