'কমলে কামিনী' নাটকটি কে রচনা করেছেন?
A
জসীম উদ্দীন
B
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
C
দীনবন্ধু মিত্র
D
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
উত্তরের বিবরণ
‘কমলে কামিনী’ নাটক:
-
‘কমলে কামিনী’ (১৮৭৩) হল দীনবন্ধু মিত্রের সর্বশেষ রচিত নাটক।
-
এই নাটকের পটভূমি কাছাড় অঞ্চলকে কেন্দ্র করে।
-
নাটকটির সকল চরিত্রই অভিজাত পরিবারের হলেও তারা মানসিকভাবে দুর্বল।
-
গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রসমূহ: রাজা, সমরকেতু শশাঙ্কশেখর, গান্ধারী, সুশীলা ও সুরবালা।
দীনবন্ধু মিত্র সম্পর্কে:
-
দীনবন্ধু মিত্র ১৮৩০ সালে নদীয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
সাহিত্যজীবনের সূচনা তিনি কবিতা লেখার মাধ্যমে করেন, ঈশ্বর গুপ্তের উৎসাহে।
-
যদিও তিনি কবিতা লিখে সাহিত্যজগতে প্রবেশ করেন, কিন্তু নাট্যকার হিসেবে তিনি সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন।
দীনবন্ধু মিত্রের উল্লেখযোগ্য নাটকসমূহ:
-
নীল দর্পণ
-
নবীন তপস্বিনী
-
লীলাবতী
-
জামাই বারিক
-
কমলে কামিনী
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 5 months ago
'সাজাহান' নাটকের প্রথম রচয়িতা কে?
Created: 3 months ago
A
ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ
B
তুলসী লাহিড়ি
C
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
D
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
ঐতিহাসিক নাটক 'সাজাহান' এর রচয়িতা- 'দ্বিজেন্দ্রলাল রায়'।
- এটি মোগল সম্রাট সাজাহানের জীবন অবলম্বনে রচিত প্রথম সার্থক ঐতিহাসিক নাটক।
• 'সাজাহান' নাটক:
- নাটকটি মোগল সম্রাট সাজাহানের জীবন কাহিনি নিয়ে রচিত ঐতিহাসিক নাটক।
- 'সাজাহান' নাটককে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ঐতিহাসিক নাটক হিসেবে ধরা হয় ।
- নাটকটি ১৯০৯ সালে প্রকাশিত হয়।
- সম্রাট সাজাহানকে নিয়ে দ্বিজেন্দ্রলালই সর্বপ্রথম নাটক রচনা করেন।
- 'ধনধান্য পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা' গানটির রচয়িতা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়।
- গানটি তাঁর 'সাজাহান' নাটকে ছিল।
--------------------------
• দ্বিজেন্দ্রলাল রায়:
- তিনি ছিলেন কবি, নাট্যকার, সুরকার ও গীতিকার।
- তিনি ডি.এল রায় নামে পরিচিত।
- ১৮৬৩ সালের ১৯ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে তাঁর জন্ম।
- তাঁর দুই অগ্রজ রাজেন্দ্রলাল ও হরেন্দ্রলালও সাহিত্যিক হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।
- ছাত্রজীবনে তাঁর কাব্য 'আর্য্যগাথা' এবং বিলেতে থাকাকালে কাব্য 'Lyrics of Ind' প্রকাশিত হয়।
- ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণজাগরণমূলক গান রচনায় তাঁর অবদান ছিল।
- ১৯১৩ সালের ১৭ মে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।
• তাঁর রচিত সামাজিক নাটক:
- পরপারে।
- বঙ্গনারী।
- পুনর্জন্ম।
- ত্র্যহস্পর্শ।
- প্রায়শ্চিত্ত।
- আনন্দ বিদায়।
- কল্কি অবতার।
• তাঁর রচিত কয়েকটি গ্রন্থ:
- আর্য্যগাথা।
- মন্দ্র।
- আলেখ্য।
- ত্রিবেণী ইত্যাদি।
• তাঁর রচিত ঐতিহাসিক নাটক:
- তারাবাই।
- রানা প্রতাপসিংহ।
- মেবার পতন।
- নূরজাহান।
- সাজাহান।
- চন্দ্রগুপ্ত।
- সিংহল বিজয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
১৯৪৬ সালের দাঙ্গার পটভূমিকায় বিজন ভট্টাচার্য রচিত নাটক কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মরাচাঁদ
B
জীয়নকন্যা
C
গোত্রান্তর
D
অবরোধ
বিজন ভট্টাচার্যের নাটকসমূহ
-
‘জীয়নকন্যা’ নাটক
-
রচনা: বিজন ভট্টাচার্য, ১৯৪৬।
-
পটভূমি: ১৯৪৬ সালের দাঙ্গা ও গণনাট্য আন্দোলন।
-
বিষয়: বেদে সমাজের সংস্কার, প্রথা-পদ্ধতি, জাতিগত বিশ্বাস ও হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা-বিদ্বেষ।
-
কাঠামো: তিনটি দৃশ্যের গীতিনাট্য।
-
কাহিনী সংক্ষেপ:
-
বেদে-সর্দার কন্যা উলুপী সর্পের দংশনে আহত হয়।
-
গুণীনের দল নানা তন্ত্র-মন্ত্র চালান, তবে সর্প নিরাশার বাণী শোনায়।
-
অবশেষে তাদের প্রচেষ্টায় উলুপীকে বিষমুক্ত করা হয় ও মহাজাগরণ ঘটে, যা তৎকালীন ‘ক্যালাস সরকার’-এর প্রতি প্রতিবাদের প্রতীক।
-
-
-
‘মরাচাঁদ’ নাটক
-
বিষয়: সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষের জীবন-সংগ্রাম।
-
বিশেষত্ব: নাটকের মধ্যে পবন বাউলের গান ব্যবহৃত।
-
-
‘গোত্রান্তর’ (১৯৬০)
-
বিষয়: ছিন্নমূল পূর্ববঙ্গবাসীর ভাগ্যবিপর্যয়।
-
-
‘অবরোধ’ (১৯৪৭)
-
বিষয়: মুনাফাখোর মিল-মালিক ও শোষিত শ্রমিকদের সংগ্রাম।
-
লক্ষ্য: কারখানার মালিক-শ্রমিক সংঘর্ষ ও কমিউনিজমের আদর্শ।
-
মন্তব্য: পুঁজিবাদী মালিকের চরিত্রায়নের দুর্বলতার কারণে গণনাট্য সংঘ গ্রহণ করেনি।
-
বিজন ভট্টাচার্যের নাটকগুলো মূলত সামাজিক আন্দোলন, শোষণ ও সংগ্রামের প্রতিফলন হিসেবে প্রাসঙ্গিক।
0
Updated: 1 month ago
কুলীন কুলসর্বস্ব নাটকটি কার লেখা?
Created: 2 months ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
দীনবন্ধু মিত্র
C
রামনারায়ণ তর্করত্ন
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কুলীন কুলসর্বস্ব ও রামনারায়ণ তর্করত্ন
বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে রামনারায়ণ তর্করত্নের নাম বিশেষভাবে স্মরণীয়। তিনি ১৮৫৪ সালে ‘কুলীন কুলসর্বস্ব’ নাটক রচনা করেন। এটি মঞ্চস্থ হওয়ার পর প্রচুর সাড়া ফেলে এবং নাট্যকার হিসেবে তাঁকে খ্যাতির শিখরে পৌঁছে দেয়।
-
কুলীন কুলসর্বস্বের গুরুত্ব:
এই নাটকের মাধ্যমে তিনি সমকালীন সমাজের নানা কুসংস্কার ও অমানবিক দিক তুলে ধরেছিলেন। যদিও শিল্পরীতির দিক থেকে তিনি পুরোপুরি সফল হতে পারেননি, তবু সামাজিক বাস্তবতাকে নাটকে আনার কারণে এটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। নাটকটি দর্শকসমাজকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করেছিল বলেই তিনি “নাটুকে নারায়ণ” নামে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। -
পুরস্কার:
নাটকটি রচনার জন্য রামনারায়ণ রংপুরের জমিদার কালীচন্দ্র রায়চৌধুরী কর্তৃক ঘোষিত ৫০ টাকা পুরস্কার লাভ করেন। -
রসধর্ম:
নাটকে কোথাও কৌতুকরস, কোথাও করুণরস, আবার কোথাও প্রহসনধর্মী দিক ফুটে উঠেছে। ফলে নাটকটি দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি সমাজচিত্রও স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে।
রামনারায়ণ তর্করত্নের অনুবাদ নাটকসমূহ
-
অভিজ্ঞান শকুন্তলা
-
রত্নাবলী
-
মালতীমাধব
-
বেণীসংহার
মৌলিক নাটক
-
রুক্ষ্মিণীহরণ
-
কংসবধ
-
ধর্মবিজয়
প্রহসন
-
যেমন কর্ম তেমন ফল
-
উভয় সংকট
-
চক্ষুদান
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস — মাহবুবুল আলম
0
Updated: 2 months ago