সাধু ভাষারীতি কোন ক্ষেত্রে ব্যবহারের অনুপযোগী?
A
ছোটগল্প লেখায়
B
কাব্য রচনায়
C
নাটকের সংলাপে
D
প্রবন্ধ লেখায়
উত্তরের বিবরণ
• সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য:
-
রূপ অপরিবর্তনীয়; অঞ্চল বা কালক্রমে পরিবর্তন হয় না।
-
ব্যাকরণের সুনির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে; পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত।
-
তৎসম / সংস্কৃত শব্দ বেশি ব্যবহৃত; আভিজাত্য ও গম্ভীরতা থাকে।
-
শুধু লেখায় ব্যবহার হয়; কথাবার্তা, বক্তৃতা, নাট্যসংলাপে অনুপযোগী।
-
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 month ago
কোনটি সাধু রীতির বৈশিষ্ঠ্য?
Created: 1 month ago
A
গুরুগম্ভীর
B
পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট
C
তৎসম শব্দবহুল
D
সবগুলোই
বাংলা ভাষার সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য:
(ক) বাংলা লেখ্য সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
(খ) এ রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল।
(গ) সাধু রীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার জন্য উপযোগী নয়।
(ঘ) এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়া পদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 month ago
সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য নয় কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।
B
তৎসম শব্দবহুল।
C
সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে।
D
বক্তৃতা ও আলাপ-আলোচনার উপযোগী।
সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য নয়— বক্তৃতা ও আলাপ-আলোচনার উপযোগী হওয়া। সাধু রীতি মূলত লেখ্য ভাষায় ব্যবহার হয় এবং এর নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
সাধু রীতি
-
বাংলা লেখ্য সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
-
এ রীতি গুরুগম্ভীর এবং তৎসম শব্দবহুল।
-
সাধু রীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার জন্য অনুপযোগী।
-
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।
চলিত রীতি
-
চলিত রীতি পরিবর্তনশীল। একশ বছর আগে যে চলিত রীতি শিষ্ট ও ভদ্রজনের কথ্য ভাষা হিসেবে প্রচলিত ছিল, বর্তমানে তা পরিবর্তিত রূপ লাভ করেছে।
-
এ রীতি তদ্ভব শব্দবহুল।
-
চলিত রীতি সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য। বক্তৃতা, আলাপ-আলোচনা ও নাট্যসংলাপের জন্য এটি বেশি উপযোগী।
-
সাধু রীতির সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত হয়ে সহজতর রূপ গ্রহণ করে। বহু বিশেষ্য ও বিশেষণেও একই রকম পরিবর্তন ঘটে।
উৎস:

0
Updated: 4 weeks ago
সাধু ভাষা রীতির ব্যবহার কোন ক্ষেত্রে অনুপযোগী?
Created: 1 week ago
A
নাটকের সংলাপে
B
কাব্য রচনায়
C
গদ্য-সাহিত্যে
D
কোনোটিই নয়
প্রখ্যাত ভাষাতত্ত্ববিদ ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, "সাধারণ গদ্য-সাহিত্যে ব্যবহৃত বাঙলা ভাষাকে সাধু ভাষা বলা হয়।" অর্থাৎ, বাংলা গদ্য-সাহিত্যে ব্যবহৃত সংস্কৃত শব্দবহুল, মার্জিত, নিয়মমাফিক এবং সর্বজনবোধ্য ভাষারূপ হলো সাধুভাষা।
-
সাধুভাষা মূলত লেখ্য ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং বক্তৃতা, নাটক বা আলাপচারিতার জন্য অনুপযোগী, কারণ এটি কৃত্রিম রূপ ধারণ করে।
উদাহরণ: "যাহাকে তাহাকে মারিতে যাওয়া তোমার উচিত হয় নাই।" এখানে--
'যাহাকে', 'তাহাকে' = সর্বনাম পদ
-
'মারিতে' = ক্রিয়া পদ
-
'নাই' = নঞর্থক অব্যয় (যোজক) পদের পূর্ণরূপ
-
-
সাধুভাষায় ক্রিয়া, সর্বনাম ও নঞর্থক অব্যয় পদের পূর্ণরূপ বজায় রাখা হয় এবং এতে সহজ, সরল, তদ্ভব ও দেশি-বিদেশি শব্দের সমাবেশও হালকা রীতিতে ব্যবহৃত হতে পারে।
বাংলা ভাষার সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য:
-
লেখ্য সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে এবং পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
-
এ রীতি গুরুগম্ভীর এবং তৎসম শব্দবহুল।
-
নাটকের সংলাপ বা বক্তৃতার জন্য অানুপযোগী।
-
সর্বনাম ও ক্রিয়া পদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।

0
Updated: 1 week ago