নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার অনুপযোগী ভাষারীতি কোনটি?
A
উপ কথ্য রীতি
B
সাধু রীতি
C
আঞ্চলিক কথ্য রীতি
D
চলিত রীতি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার রীতি
১. সাধু রীতি (Classical/Formal Style)
-
ব্যাকরণ ও পদবিন্যাস: সুনির্ধারিত ও সুনিয়ন্ত্রিত।
-
শব্দসম্ভার: গুরুগম্ভীর, তৎসম শব্দবহুল।
-
প্রয়োগ: নাটক বা সংলাপের জন্য কম উপযোগী।
-
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ: বিশেষ গঠনপদ্ধতি অনুসরণ করে।
২. চলিত রীতি (Colloquial/Modern Style)
-
পরিবর্তনশীলতা: সময়ের সাথে পরিবর্তিত; প্রাচীন চলিত রীতি বর্তমানের তুলনায় ভিন্ন।
-
শব্দসম্ভার: তদ্ভব শব্দবহুল।
-
ব্যবহার: সংক্ষিপ্ত, সহজবোধ্য; বক্তৃতা, আলাপ-আলোচনা, নাট্যসংলাপের জন্য উপযোগী।
-
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ: সাধু রীতির তুলনায় সহজতর ও পরিবর্তিত রূপ।
৩. আঞ্চলিক কথ্য রীতি (Regional Dialect)
-
বৈশিষ্ট্য: বিভিন্ন অঞ্চলের কথ্য রূপের বৈচিত্র্য।
-
মিশ্রণ: কিছু অঞ্চলে উচ্চারণে অন্য অঞ্চলের ভাষার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
সূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago
কোনটি সাধুরীতির শব্দ?
Created: 1 month ago
A
আজ
B
জোসনা
C
মিনতি
D
জল
বাংলা ভাষায় সাধু রীতি (শাস্ত্রীয়/প্রাচীন ধারা) ও চলিত রীতি (আধুনিক ব্যবহার) – এই দুই ধরনের ভঙ্গি আছে।
-
আজ → চলিত রীতির শব্দ। সাধু রীতিতে বলা হয় "অদ্য"।
-
জোসনা → সাধু রীতির শব্দ। চলিত রীতিতে ব্যবহার হয় "আলো" বা "চাঁদের আলো"।
-
মিনতি → চলিত রীতির শব্দ। সাধু রীতিতে ব্যবহার হয় "প্রার্থনা" বা "অনুরোধ"।
-
জল → চলিত রীতি। সাধু রীতিতে বলা হয় "তোয়" বা "পানি" নয়, তবে "জল" সাধারণত চলিত রীতিতেই বেশি ব্যবহৃত।
তাই প্রদত্ত বিকল্পের মধ্যে ‘জোসনা’ হলো সাধু রীতির শব্দ।

0
Updated: 1 month ago
কোনটি সাধু রীতির বৈশিষ্ঠ্য?
Created: 1 month ago
A
গুরুগম্ভীর
B
পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট
C
তৎসম শব্দবহুল
D
সবগুলোই
বাংলা ভাষার সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য:
(ক) বাংলা লেখ্য সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
(খ) এ রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল।
(গ) সাধু রীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার জন্য উপযোগী নয়।
(ঘ) এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়া পদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 month ago
কোন ভাষায় সাহিত্যের গাম্ভীর্য ও আভিজাত্য প্রকাশ পায়?
Created: 1 week ago
A
চলিত
B
উপভাষা
C
সাধু
D
কথ্য
সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য হলো যে ভাষা রূপের কিছু নির্দিষ্ট গুণাবলী রয়েছে যেগুলো অপরিবর্তনীয় এবং নিয়মাবদ্ধ।
-
অপরিবর্তনীয়তা: সাধু ভাষার রূপ অপরিবর্তনীয়, অঞ্চলভেদে বা কালক্রমে পরিবর্তিত হয় না।
-
তৎসম ও সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার: এই ভাষায় তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের প্রচুর ব্যবহার থাকে, যা একটি প্রকার আভিজাত্য ও গাম্ভীর্য প্রদান করে।
-
ব্যাকরণের নিয়মিত ব্যবহার: ভাষারীতি ব্যাকরণের সুনির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে এবং পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট থাকে।
-
প্রধান ব্যবহার ক্ষেত্র: সাধু ভাষারীতি শুধু লেখায় ব্যবহার হয়, কথাবার্তা, বক্তৃতা বা ভাষণের জন্য উপযোগী নয়।
-
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণরূপ: এখানে সর্বনাম এবং ক্রিয়াপদ পূর্ণরূপে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 week ago