"সাবাস বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়ঃ জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়।" উক্তিটির রচয়িতা কে?
A
রফিক আজাদ
B
সুকান্ত ভট্টাচার্য
C
অমিয় চক্রবর্তী
D
কাজী নজরুল ইসলাম
উত্তরের বিবরণ
• সুকান্ত ভট্টাচার্য:
-
জন্ম: ১৯২৬ সালে
-
বিশেষণ: কিশোর কবি, মার্কসবাদী কবি এবং মানবতার কবি
-
কাব্য বিষয়বস্তু: পৃথিবীর মানুষের, বিশেষ করে শোষিত মানুষের জীবন-যন্ত্রণা, বিক্ষোভ ও বিদ্রোহের কথা উচ্চারিত হয়েছে
-
বিদ্রোহের মাত্রা: নজরুলের পরে সুকান্তের কবিতায় সবচেয়ে বেশি বিদ্রোহের বাণী লক্ষ্য করা যায়
-
প্রধান কাব্যগ্রন্থ:
-
ছাড়পত্র
-
ঘুম নেই
-
পূর্বাভাস
-
মিঠেকড়া
-
অভিযান
-
হরতাল
-
গীতিগুচ্ছ
-
-
বিখ্যাত কিছু উক্তি:
-
"হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশ কেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছ্বাসে।"
-
"অবাক পৃথিবী অবাক করলে তুমি, জন্মেই দেখি ক্ষুদ্র স্বদেশ ভূমি।"
-
"ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।"
-
"সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়, জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়।"
-
"এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার অঙ্গীকার।"
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 1 month ago
'সত্যের জন্য বাঁচা, সত্যের জন্য মরা।'- বিখ্যাত উক্তিটি কার?
Created: 6 days ago
A
দাউদ হায়দার
B
হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও
C
জোশুয়া মার্শম্যান
D
দীনেশচন্দ্র সেন
হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলার নবজাগরণের অগ্রদূতদের অন্যতম, যিনি যুক্তিবাদ, মুক্তচিন্তা ও শিক্ষার আলো ছড়িয়ে এক নতুন বৌদ্ধিক আন্দোলনের সূচনা করেন। তিনি কেবল একজন কবিই নন, বরং এক প্রভাবশালী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক, যাঁর নেতৃত্বে ‘ইয়ং বেঙ্গল’ প্রজন্ম গড়ে ওঠে।
-
হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও ছিলেন একজন ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী, চিন্তাবিদ ও শিক্ষক।
-
মাত্র সতেরো বছর বয়সে (১৮২৬ সালে) তিনি কলকাতা হিন্দু কলেজে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন, যা তাঁর প্রতিভা ও জ্ঞানদীপ্তির প্রমাণ বহন করে।
-
তিনি ১৮২৮ সালে ‘অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন, যার লক্ষ্য ছিল তরুণ সমাজে যুক্তিবাদ, মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্কতা জাগ্রত করা।
-
তাঁর নেতৃত্বে গড়ে ওঠে এক বিশেষ ছাত্রগোষ্ঠী, যা পরিচিত ছিল ‘ইয়ং বেঙ্গল’ নামে। এই ছাত্ররা সমাজের কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে যুক্তিবাদী অবস্থান গ্রহণ করেছিল।
-
ডিরোজিও তাঁর ছাত্রদের শেখাতেন ইতিহাস ও দর্শনের আলোকে চিন্তা করতে, এবং বলতেন— “সত্যের জন্য বাঁচা, সত্যের জন্য মরা।”
-
তিনি ইউরেশীয় সম্প্রদায়ের সামাজিক ও শিক্ষাগত উন্নয়নের কাজেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
-
‘দি ইস্ট ইন্ডিয়ান’ নামে একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে তিনি সমাজে শিক্ষা, মানবতাবাদ ও সংস্কারচেতনা প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
তাঁর চিন্তাধারা ও আন্দোলনের প্রভাবে বাংলার নবজাগরণ ও আধুনিক শিক্ষাচেতনা নতুন গতি পায়।
-
অল্প বয়সেই প্রয়াত হলেও, ডিরোজিও রেখে গেছেন যুক্তিবাদ, মানবতা ও মুক্তবুদ্ধির এক উজ্জ্বল উত্তরাধিকার, যা বাংলা সমাজকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

0
Updated: 6 days ago
"তবুও থামে না যৌবন বেগ জীবনের উল্লাসে
চলেছে চন্দ্র মঙ্গল গ্রহে স্বর্গে অসীমাকাশে।" - কে লিখেছেন?
Created: 2 weeks ago
A
সুকান্ত ভট্টাচার্য
B
হেলাল হাফিজ
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
ফররুখ আহমদ
কাজী নজরুল ইসলামের ‘জীবন-বন্দনা’ কবিতার এই অংশটি যুবকের উচ্ছ্বাস ও জীবনের অনন্ত গমনকে প্রকাশ করে। কবিতার ভাষা ও ছন্দে মানুষের শ্রম, সংগ্রাম এবং জীবনের উল্লাসকে একত্রে তুলে ধরা হয়েছে। এটি নজরুলের সন্ধ্যা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা।
• জীবন-বন্দনা কবিতা:
-
‘জীবন-বন্দনা’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সন্ধ্যা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।
-
কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
‘সন্ধ্যা’ কাব্যগ্রন্থটি ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয়।
-
বাংলাদেশের রণসংগীত “চল চল চল, উর্ধ গগণে বাজে মাদল” এই কাব্য থেকে নেওয়া হয়েছে।
কাজী নজরুল ইসলামের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ:
-
অগ্নিবীণা
-
বিষের বাঁশি
-
ভাঙার গান
-
সাম্যবাদী
-
সর্বহারা
-
সন্ধ্যা
-
ঝিঙে ফুল
-
ফণি-মনসা
-
জিঞ্জিরা
-
প্রলয়শিখা

0
Updated: 2 weeks ago
'বাঙালীর যে কেহ কিছু করিয়াছেন, সকলই তৈলের জোরে, বাঙালীদিগের তৈলের মূল্য অধিক নয়।'- বিখ্যাতি উক্তিটি কার রচনা?
Created: 4 weeks ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
আহমদ শরীফ
C
নীহাররঞ্জন রায়
D
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ও তাঁর রচনা
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
-
বিখ্যাত বাঙালি ভারততত্ত্ববিদ, সংস্কৃত বিশারদ ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচয়িতা।
-
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ আবিষ্কার ও সম্পাদনা করেন।
-
উল্লেখযোগ্য সম্পাদনা: হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা
-
-
‘তৈল’ প্রবন্ধ
-
প্রবন্ধটি হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় লিখেছেন।
-
প্রকাশিত: ১২৮৫ বঙ্গাব্দ
-
মূল বক্তব্য:
-
বাঙালীর বল, বিক্রম, বিদ্যা ও বুদ্ধি নেই।
-
বাঙালীর একমাত্র ভরসা তৈল।
-
দেশের বড়লোক ও মুখ উজ্জ্বল করা হয় তৈলের জোরে।
-
-
প্রবন্ধের অংশ:
“বাঙালীর যে কেহ কিছু করিয়াছেন, সকলই তৈলের জোরে… তাঁহারাই আমাদের দেশের বড় লোক, তাঁহারাই আমাদের দেশের মুখ উজ্জ্বল করিয়া আছেন।”
-
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর অন্যান্য রচনা
-
উপন্যাস: কাঞ্চনমালা, বেণের মেয়ে
-
গ্রন্থ:
-
হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষার বৌদ্ধগান ও দোহা
-
প্রাচীন বাংলার গৌরব
-
মেঘদূত ব্যাখ্যা
-
ভারত মহিলা
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
-
-
প্রাসঙ্গিক তুলনামূলক গ্রন্থ
-
নীহাররঞ্জন রায়, বাঙালির ইতিহাস (আদিপর্ব), ১৯৪৯
-
বাঙালি জাতি, মাতৃভূমি ‘বঙ্গ’, প্রাচীন বাংলার সমাজ, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক জীবন আলোচনা
-
-
আহমদ শরীফ, বিশ শতকে বাঙালী, ১৯৯৮
-
প্রবন্ধ, বাঙালীর আধুনিক জীবন ও ইতিহাস বিশ্লেষণ
-
-

0
Updated: 4 weeks ago