'কারক বিশ্লেষণ' নিয়ে ব্যাকরণের কোন তত্ত্বে আলোচনা করা হয়?
A
অর্থতত্ত্ব
B
ধ্বনিতত্ত্ব
C
বাক্যতত্ত্ব
D
রূপতত্ত্ব
উত্তরের বিবরণ
• বাক্যতত্ত্ব:
- বাক্যতত্ত্বে বাক্য নিয়ে আলোচনা করা হয়। বাক্যের নির্মাণ এবং এর গঠন বাক্যতত্ত্বের মূল আলোচ্য।
- বাক্যের মধ্যে পদ ও বর্গ কীভাবে বিন্যস্ত থাকে, বাক্যতত্ত্বে তা বর্ণনা করা হয়।
- এছাড়া এক ধরনের বাক্যকে অন্য ধরনের বাক্যে রূপান্তর, ধরনের বাক্যে রূপান্তর, বাক্যের বাচ্য, উক্তি ইত্যাদি বাক্যতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
- কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, যতিচিহ্ন প্রভৃতিও বাক্যতত্ত্বে আলোচিত হয়ে থাকে।

0
Updated: 1 month ago
‘গরুতে দুধ দেয়’ বাক্যে ‘গরুতে’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
Created: 1 month ago
A
করণে সপ্তমী
B
কর্তৃকারকে সপ্তমী
C
অপাদানে সপ্তমী
D
অধিকরণে সপ্তমী
ব্যাকরণে, বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলা হয়। ক্রিয়ার সঙ্গে 'কে' বা 'কারা' যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তা কর্তৃকারককে নির্দেশ করে।
একে "কর্তাকারক"ও বলা হয়। উদাহরণ: খোকা বই পড়ে। (কে বই পড়ে? খোকা - কর্তৃকারক)। মেয়েরা ফুল তোলে। (কে ফুল তোলে? মেয়েরা - কর্তৃকারক)।

0
Updated: 1 month ago
"মেঘে মেঘে ঢেকে গেছে আকাশ।" - এ বাক্যে "মেঘে মেঘে" কোন কারকে কোন বিভক্তি?
Created: 1 month ago
A
অধিকরণে ৭মী
B
কর্মে শূন্য
C
করণে ৭মী
D
অধিকরণে শূন্য
করণ কারক
-
সংজ্ঞা: যার দ্বারা বা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদিত হয়, তাকে করণ কারক বলা হয়।
-
অর্থাৎ, ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ক করণ কারক।
-
সহজভাবে বলতে গেলে, বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে ‘কীসের দ্বারা’ বা ‘কী উপায়ে’ প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটাই করণ কারক।
একবচনে ব্যবহৃত ৭মী বিভক্তি: এ, য়, তে, এতে ইত্যাদি।
উদাহরণ বাক্য:
মেঘে মেঘে ঢেকে গেছে আকাশ।
-
প্রশ্ন: কিসের দ্বারা ঢেকে গেছে?
-
উত্তর: মেঘে মেঘে
-
এখানে ‘মেঘে মেঘে’ করণ কারক হিসেবে ৭মী বিভক্তি ধারণ করছে।
উৎস:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
-
ভাষাশিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 month ago
ব্যাকরণের কোন অংশে "শব্দ, বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা" — নিয়ে আলোচনা করা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
ধ্বনিতত্ত্বে
B
রূপতত্ত্বে
C
বাক্যতত্ত্বে
D
অর্থতত্ত্বে
বাংলা
অর্থতত্ত্ব ( Semantics )
ধ্বনিতত্ত্ব ( Phonology)
বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম (Syntax)
বাংলা ব্যকরণ
শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব ( Morphology)
অর্থতত্ত্ব, ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্ব বাংলা ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ চারটি শাখা, যেগুলো ভাষার বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে। প্রতিটি শাখার নিজস্ব আলোচ্য বিষয় এবং গুরুত্ব রয়েছে।
অর্থতত্ত্ব:
-
ব্যাকরণের সেই অংশ যেখানে শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
একে বাগার্থতত্ত্বও বলা হয়।
-
এতে বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ, শব্দজোড়, বাগধারা প্রভৃতি বিষয় অন্তর্ভুক্ত।
-
শব্দ, বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা সম্পর্কেও আলোচনা থাকে।
ধ্বনিতত্ত্ব:
-
আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে: ধ্বনি, বর্ণ, ধ্বনির উচ্চারণ প্রণালি, উচ্চারণের স্থান, ধ্বনি পরিবর্তন ও লোপ, ষ-ত্ব ও ণ-ত্ব বিধান, সন্ধি
রূপতত্ত্ব:
-
শব্দ ও তার উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
এতে বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
-
শব্দগঠন প্রক্রিয়াকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
-
উপসর্গ, সমাস, প্রত্যয়, পুরুষ রূপও রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
বাক্যতত্ত্ব:
-
বাক্য এবং তার নির্মাণ ও গঠন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
বাক্যের মধ্যে পদ ও বর্গের বিন্যাস ব্যাখ্যা করা হয়।
-
এক ধরনের বাক্যকে অন্য ধরনের বাক্যে রূপান্তর, বাক্যের বাচ্য, উক্তি ইত্যাদিও এর অন্তর্ভুক্ত।
-
কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, যতিচিহ্ন প্রভৃতি বিষয়ও এখানে আলোচনা করা হয়।

0
Updated: 2 weeks ago