A
ঞ
B
ন
C
ম
D
ঢ
উত্তরের বিবরণ
• ক-বর্গীয় ধ্বনি: ক, খ, গ, ঘ, ঙ- এ পাঁচটি বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনির উচ্চারণ জিহ্বার গোড়ার দিকে নরম তালুর পশ্চাৎ ভাগ স্পর্শ করে। এগুলো জিহ্বামূলীয় বা কণ্ঠ্য স্পর্শধ্বনি।
• চ-বর্গীয় ধ্বনি: চ, ছ, জ, ঝ, ঞ-এ পাঁচটি বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনির উচ্চারণে জিহ্বার অগ্রভাগ চ্যাপটাভাবে তালুর সম্মুখ ভাগের সঙ্গে ঘর্ষণ করে। এদের বলা হয় তালব্য স্পর্শধ্বনি।
• ট-বর্গীয় ধ্বনি: ট, ঠ, ড, ঢ, ণ -এ পাঁচটি বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনির উচ্চারণে জিহ্বার অগ্রভাগ কিঞ্চিৎ উল্টিয়ে ওপরের মাড়ির গোড়ার শক্ত অংশকে স্পর্শ করে। এগুলোর উচ্চারণে জিহ্বা উল্টা হয় বলে এদের নাম দন্তমূলীয় প্রতিবেষ্টিত ধ্বনি। আবার এগুলো ওপরের মাড়ির গোড়ার শক্ত অংশ অর্থাৎ মূর্ধায় স্পর্শ করে উচ্চারিত হয় বলে এদের বলা হয় মূর্ধন্য ধ্বনি।
• ত-বর্গীয় ধ্বনি: ত, থ, দ, ধ, ন- এ পাঁচটি বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনির উচ্চারণে জিহ্বা সম্মুখে প্রসারিত হয় এবং অগ্রভাগ ওপরের দাঁতের পাটির গোড়ার দিকে স্পর্শ করে। এদের বলা হয় দন্ত্য ধ্বনি।
• প-বর্গীয় ধ্বনি: প, ফ, ব, ভ, ম-এ পাঁচটি বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনির উচ্চারণে ওষ্ঠের সঙ্গে অধরের স্পর্শ ঘটে। এদের ওষ্ঠ্যধ্বনি বলে।

0
Updated: 1 week ago
’রাখিয়া > রাইখ্যা’- কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 1 week ago
A
অপিনিহিতি
B
অন্ত্যস্বরাগম
C
অসমীকরণ
D
স্বরসঙ্গতি
অপিনিহিতি
পরের ই-কারের আগে অথবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই-কার/উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে।
উদাহরণ: আজি → আইজ, সাধু → সাউধ, রাখিয়া → রাইখ্যা, বাক্য → বাইক্য, সত্য → সইত্য, চারি → চাইর, মারি → মাইর।
অন্ত্যস্বরাগম
কিছু ক্ষেত্রে শব্দের শেষে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি যুক্ত হয়। একে বলা হয় অন্ত্যস্বরাগম।
উদাহরণ: দিশ্ → দিশা, পোখত্ → পোক্ত, বেঞ্চ → বেঞ্চি, সত্য → সত্যি।
অসমীকরণ
একই স্বরের পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য মাঝখানে নতুন স্বরধ্বনি যুক্ত হলে তাকে অসমীকরণ বলে।
উদাহরণ: ধপ ধপ → ধপাধপ, টপ টপ → টপাটপ।
স্বরসঙ্গতি
একটি স্বরের প্রভাবে অন্য স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে।
উদাহরণ: দেশি → দিশি, বিলাতি → বিলিতি, মুলা → মুলো।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ৯ম-১০ম শ্রেণি, ২০২৫ সালের সংস্করণ

0
Updated: 1 week ago
"কবাট > কপাট" - কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তন ঘটেছে?
Created: 2 weeks ago
A
অভিশ্রুতি
B
বিষমীভবন
C
সমীভবন
D
ব্যঞ্জন বিকৃতি
ব্যঞ্জনবিকৃতি (Consonant Mutation)
সংজ্ঞা:
শব্দের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে নতুন রূপ ধারণ করলে তাকে ব্যঞ্জনবিকৃতি বলা হয়।
উদাহরণ:
-
শাক → শাগ
-
কবাট → কপাট
-
ধাইমা → দাইমা
সূত্র:
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
-
মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 2 weeks ago
'উদ্ধার > উধার > ধার' কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তন?
Created: 2 weeks ago
A
অন্ত্যস্বর লোপ
B
মধ্যস্বর লোপ
C
অভিশ্রুতি
D
আদি স্বরলোপ
স্বরলোপের প্রকারভেদ
১. আদি স্বরলোপ
শব্দের প্রথম স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে আদি স্বরলোপ বলে।
উদাহরণ:
-
অলাবু → লাবু → লাউ
-
উদ্ধার → উধার → ধার
২. মধ্যস্বর লোপ
শব্দের মধ্যবর্তী স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে মধ্যস্বর লোপ বলে।
উদাহরণ:
-
অগুরু → অগ্র
-
সুবর্ণ → স্বর্ণ
৩. অন্ত্যস্বর লোপ
শব্দের শেষ স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে অন্ত্যস্বর লোপ বলে।
উদাহরণ:
-
আশা → আশ
-
আজি → আজ
-
চারি → চার
-
সন্ধ্যা → সঞঝা → সাঁঝ

0
Updated: 2 weeks ago