মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কিত প্রচলিত তত্ত্ব কোনটি?
A
নিউটনের গতি সূত্রীয় তত্ত্ব
B
ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব
C
বিগব্যাং তত্ত্ব
D
আপেক্ষিক তত্ত্ব
উত্তরের বিবরণ
মহাবিশ্ব
-
সংজ্ঞা:
-
মহাবিশ্ব হলো সবকিছু—ক্ষুদ্র কণার পৰা শুরু করে গ্রহ, নক্ষত্র, ধূমকেতু, গ্যালাক্সি, এবং দেখা না দেখা সব বস্তু।
-
-
গ্যালাক্সি:
-
মহাবিশ্বের কিছু অংশে পদার্থ বেশি ঘনীভূত থাকে। এগুলোকে বলা হয় গ্যালাক্সি বা নক্ষত্রজগৎ।
-
গ্যালাক্সি হলো গ্রহ ও নক্ষত্রের বৃহৎ দল।
-
পৃথিবী যে গ্যালাক্সিতে আছে তার নাম ছায়াপথ (মিল্কিওয়ে)।
-
মহাবিশ্বে কোটি কোটি গ্যালাক্সি আছে, প্রতিটিতে কোটি কোটি নক্ষত্র।
-
গ্যালাক্সিগুলো মহাকাশে ঘুরে, কিন্তু নক্ষত্রগুলো পরস্পরের থেকে অনেক দূরে।
-
-
আলো ও দূরত্ব:
-
আলো ১ সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার অতিক্রম করে।
-
সূর্য থেকে পৃথিবী পর্যন্ত আলো পৌঁছাতে সময় লাগে ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড।
-
নিকটতম নক্ষত্র আলফা সেন্টোরিতে আলো পৌঁছাতে সময় লাগে ৪ বছরের বেশি।
-
দূরবর্তী নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্রে আলো পৌঁছাতে কয়েক মিলিয়ন বছর লাগে।
-
মহাবিশ্বের উৎপত্তি
-
বিগব্যাং তত্ত্ব:
-
বিগব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব অনুসারে, মহাবিশ্ব শুরু হয়েছিল অত্যন্ত উত্তপ্ত ও অসীম ঘনত্বের একক বিন্দু থেকে।
-
মহাবিশ্ব তখন থেকে দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে, প্রসারণের ফলে ঠাণ্ডা হয়ে বর্তমানে পৌঁছেছে।
-
বিগব্যাং সংঘটিত হয়েছিল প্রায় ১৩.৭৫ বিলিয়ন বছর (১৩৭৫ কোটি বছর) আগে।
-
-
বৈজ্ঞানিক গ্রহণযোগ্যতা:
-
বিগব্যাং তত্ত্ব বহু পরীক্ষিত এবং অধিকাংশ বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্রহণ করেছেন।
-
স্টিফেন হকিংসহ বর্তমানের অনেক পদার্থবিজ্ঞানী তত্ত্বটির পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন।
-
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
নতুন কোনো প্রজাতির সৃষ্টিকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
সৃষ্টিতত্ত্ব
B
ক্রমবিকাশ
C
জৈব বিবর্তন
D
পরিবেশ পরিবর্তন
বিবর্তন (Evolution)
-
আধুনিক মানুষের ধারণা অনুযায়ী, জীবের মূল উৎপত্তি ও বৈচিত্র্যের প্রক্রিয়া হলো বিবর্তন, যা যৌক্তিক চিন্তাভাবনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।
-
শব্দ উৎস: ল্যাটিন শব্দ “Evolveri”, যা ‘ধীরে ধীরে বিকাশিত হওয়া’ অর্থ প্রকাশ করে।
-
ইংরেজ দার্শনিক হার্বার্ট স্পেনসার (Herbert Spencer) প্রথমবার ‘ইভোলিউশন’ শব্দটি ব্যবহারের জন্য পরিচিত।
-
বিবর্তন বা ইভোলিউশন হলো একটি ধীর, অবিরাম ও চলমান পরিবর্তন প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সরল উদ্ভিদ ও প্রাণীজীবন ধীরে ধীরে জটিল ও উন্নততর জীব বা প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়।
-
জীবের পরিবর্তনের মাধ্যমে যখন নতুন কোনো প্রজাতি সৃষ্টি হয়, তাকে জৈব বিবর্তন বলা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
ঘূর্ণিঝড়ের সময় সমুদ্রের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পানি স্থলভাগে ঢুকে পড়লে সেটিকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
বর্ষা
B
প্লাবন
C
জলোচ্ছ্বাস
D
ভূমিকম্প
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস (Cyclone and Storm Surge)
-
ঘূর্ণিঝড়:
-
বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় দেখা যায়।
-
এর তীব্রতা বিশেষত দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় বেশি।
-
সমুদ্রে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে এটি সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আকারে স্থলভাগের দিকে এগোতে থাকে।
-
-
জলোচ্ছ্বাস (Storm Surge):
-
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি উঁচু হয়ে অল্প সময়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে।
-
তীব্রতা ও অবস্থানের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন দেশে এটিকে টর্নেডো, হারিকেন বা সাইক্লোন বলা হয়।
-
বাংলাদেশের ফসলি জমিতে লবণাক্ততার প্রধান কারণ হলো এই সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস।
-
দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব-মধ্যাঞ্চলের ফসল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
-
-
গতিবেগ ও সময়কাল:
-
ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বা তারও বেশি।
-
বাংলাদেশে প্রধানত বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল) থেকে আশ্বিন-কর্তিক (নভেম্বর) পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ঘটে।
-
বৈশাখের ঘূর্ণিঝড় → প্রাক-খরিফ ফসলের ক্ষতি
-
আশ্বিন-কর্তিকের ঘূর্ণিঝড় → প্রাক-রবি ফসলের ক্ষতি
-
-
জলোচ্ছ্বাস সাধারণত ৬-১২ ঘণ্টা পর্যন্ত জমির উপর পানি থাকে; পানি নেমে যাওয়ার পরও ক্ষতির প্রভাব দীর্ঘদিন থাকে।
-
উৎস: কৃষিশিক্ষা প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষের ফলে কী সৃষ্টি হয়?
Created: 1 month ago
A
বজ্রপাত
B
ঘূর্ণিঝড়
C
ভূমিকম্প
D
হারিকেন
প্লেট টেকটোনিক তত্ত্ব (Plate Tectonics Theory)
-
মূল ধারণা:
-
পৃথিবীর শিলামণ্ডল (Lithosphere) কয়েকটি পৃথক প্লেটে বিভক্ত।
-
এই প্লেটগুলো গুরুমণ্ডলের আংশিক তরল অংশের (Asthenosphere) উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে।
-
-
প্লেটের গতি:
-
প্রতি বছর কয়েক সেন্টিমিটার করে সরে যায়।
-
কখনো একে অপরের থেকে দূরে সরে যায় (Divergent), কখনো একে অপরের দিকে আসে (Convergent), আবার কখনো একে অপরের সাথে ঘর্ষণ করে (Transform).
-
-
ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি:
-
প্লেটগুলোর সংযোগস্থলেই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির উদগীরণ বেশি ঘটে।
-
সংঘর্ষ ও ঘর্ষণের ফলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়, যা ভূ-অভ্যন্তরের পদার্থ গলিয়ে ম্যাগমা তৈরি করে।
-
চাপের কারণে ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে, যা লাভা নামে পরিচিত।
-
এই প্রক্রিয়াকে আগ্নেয়গিরির উদগীরণ বলা হয়।
-
প্লেটের সংঘর্ষের সময় পৃথিবী কেঁপে ওঠলে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়।
-
উৎস: বিজ্ঞান, ষষ্ঠ শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago