A
শীতকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত
B
উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল
C
গ্রীষ্মে কালবৈশাখী ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত
D
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বায়ুর গতির পরিবর্তন
উত্তরের বিবরণ
আবহাওয়া ও জলবায়ু
-
সংজ্ঞা:
-
আবহাওয়া: কোন স্থানের দৈনন্দিন বায়ুমণ্ডলের অবস্থা, যেমন—দৈনিক বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুর গতি ও চাপ, সূর্যালোক প্রভৃতি।
-
জলবায়ু: কোন স্থানের ২৫–৩০ বছরের আবহাওয়ার গড়।
-
-
বাংলাদেশের জলবায়ু:
-
বাংলাদেশের জলবায়ু প্রায় সমভাবাপন্ন। সারা বছরের জলবায়ুতে বড় পরিবর্তন হয় না।
-
কৃষি উৎপাদন মূলত মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে নির্ভরশীল।
-
-
মৌসুমি বায়ু ও ফসল:
-
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (গ্রীষ্মকাল):
-
আর্দ্র ও বৃষ্টিপূর্ণ।
-
প্রধান ফসল: ধান, পাট, আখ, চা ইত্যাদি।
-
-
উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু (শীতকাল):
-
শুষ্ক ও কম বৃষ্টিপাত।
-
প্রধান ফসল: ডাল, তৈলবীজ, আলু, পেঁয়াজ, শীতকালীন সবজি।
-
-
পাহাড়ি অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি, ফলে চা, রাবার ইত্যাদির চাষ হয়।
-
-
জলবায়ুর প্রভাব:
-
বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বায়ুপ্রবাহের পার্থক্য বিভিন্ন অঞ্চলের ফসল ও উদ্ভিদজগতকে প্রভাবিত করে।
-
উদ্ভিদ ও কৃষি উৎপাদন দেখে সেই অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু বোঝা যায়।
-
-
বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য:
১. ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে বায়ুর গতি পরিবর্তিত হয়, ফলে জলবায়ুতে পরিবর্তন ঘটে।
২. গ্রীষ্মকাল উষ্ণ ও আর্দ্র, শীতকাল শুষ্ক ও নাতিশীতোষ্ণ।
৩. মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে:-
গ্রীষ্মকাল: বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত, যেমন কাল বৈশাখী।
-
বর্ষাকাল: প্রচুর বৃষ্টিপাত।
-
শীতকাল: বৃষ্টিপাত খুবই কম।
-
উৎস: কৃষিশিক্ষা প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
আপেক্ষিক তত্ত্ব কে প্রকাশ করেন?
Created: 1 week ago
A
হাইজেনবার্গ
B
আলবার্ট আইনস্টাইন
C
আইজ্যাক নিউটন
D
মার্কস প্ল্যাঙ্ক
আপেক্ষিক তত্ত্ব (Theory of Relativity)
-
প্রবর্তক: আলবার্ট আইনস্টাইন, ১৯০৫ সালে।
-
মূল ধারণা: স্থান, ভর ও সময় ধ্রুব রাশি নয়; এগুলো আপেক্ষিক, অর্থাৎ বস্তুর বেগের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
-
শুধুমাত্র শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ হলো সর্বোচ্চ ও ধ্রুব।
-
উচ্চ গতির বস্তুতে এই তত্ত্ব পরীক্ষায় প্রমাণিত।
-
১৯১৬ সালে আইনস্টাইন সার্বিক (General) আপেক্ষিকতা প্রকাশ করেন, যা মহাকর্ষ, নাক্ষত্রিক গতিপ্রকৃতি, সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্ব ইত্যাদির ব্যাখ্যা দেয়।
-
আপেক্ষিক তত্ত্বকে তিনি দুই ভাগে ভাগ করেছেন:
-
বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব (Special Relativity)
-
সার্বিক আপেক্ষিক তত্ত্ব (General Relativity)
-
বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বের মূল স্বীকার্য
১৯০৫ সালে আইনস্টাইন দুটি মৌলিক স্বীকার্য প্রদান করেন:
-
প্রথম স্বীকার্য: স্থির বা গতিশীল সকল জড় কাঠামোতে পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক সূত্রসমূহ অপরিবর্তিত থাকে।
-
দ্বিতীয় স্বীকার্য: শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ সকল পর্যবেক্ষকের জন্য একই এবং তা আলোর উৎস বা পর্যবেক্ষকের গতির উপর নির্ভরশীল নয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
প্রজাতিগত জীববৈচিত্র্য দ্বারা কী বোঝানো হয়?
Created: 1 week ago
A
জীবনের বয়স
B
মানুষের গায়ের রং
C
জীবের গড় আকার
D
ভিন্ন প্রজাতির জীবের বৈচিত্র্য
জীববৈচিত্র্য (Biodiversity)
-
জীববৈচিত্র্য হলো পৃথিবীর জল ও স্থলভাগে বাস করা সমস্ত জীবের জীনগত, প্রজাতিগত ও বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য।
-
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবজগৎ পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজের অবস্থান পরিবর্তন ও বিকাশ ঘটায়।
-
ভৌগোলিক পরিবেশের বৈচিত্র্যের কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রজাতিসমূহের মধ্যে বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়।
-
মানবসৃষ্ট কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীবজগতের বিকাশ, বসবাস ও বংশবিস্তারেও পরিবর্তন ঘটে।
-
পৃথিবীতে সময়ের সঙ্গে হাজার হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণির আবির্ভাব এবং বিলুপ্তি ঘটে।
জীববৈচিত্র্যের প্রকারভেদ
১. বাস্তুতান্ত্রিক জীববৈচিত্র্য (Ecosystem Diversity)
-
নির্দিষ্ট অঞ্চলের জীব ও পারিবেশগত বৈচিত্র্যকে বোঝায়।
-
বিভিন্ন জলবায়ু ও প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিটি বাস্তুতন্ত্রে নিজস্ব বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত জীবজগত সৃষ্টি হয়।
২. প্রজাতিগত জীববৈচিত্র্য (Species Diversity)
-
ভিন্ন প্রজাতির জীবের মধ্যে বিদ্যমান বৈচিত্র্য।
-
কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মোট প্রজাতির সংখ্যার মাধ্যমে এর পরিমাপ হয়।
৩. জীনগত জীববৈচিত্র্য (Genetic Diversity)
-
একই প্রজাতির সদস্যদের মধ্যে জীনগত বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য।
-
উদাহরণ: আমেরিকান শ্বেতাঙ্গ ও আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের গায়ের রং, চুলের ধরন, নাক ও ঠোঁটের আকৃতি, উচ্চতা ইত্যাদির পার্থক্য।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কিত প্রচলিত তত্ত্ব কোনটি?
Created: 1 week ago
A
নিউটনের গতি সূত্রীয় তত্ত্ব
B
ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব
C
বিগব্যাং তত্ত্ব
D
আপেক্ষিক তত্ত্ব
মহাবিশ্ব
-
সংজ্ঞা:
-
মহাবিশ্ব হলো সবকিছু—ক্ষুদ্র কণার পৰা শুরু করে গ্রহ, নক্ষত্র, ধূমকেতু, গ্যালাক্সি, এবং দেখা না দেখা সব বস্তু।
-
-
গ্যালাক্সি:
-
মহাবিশ্বের কিছু অংশে পদার্থ বেশি ঘনীভূত থাকে। এগুলোকে বলা হয় গ্যালাক্সি বা নক্ষত্রজগৎ।
-
গ্যালাক্সি হলো গ্রহ ও নক্ষত্রের বৃহৎ দল।
-
পৃথিবী যে গ্যালাক্সিতে আছে তার নাম ছায়াপথ (মিল্কিওয়ে)।
-
মহাবিশ্বে কোটি কোটি গ্যালাক্সি আছে, প্রতিটিতে কোটি কোটি নক্ষত্র।
-
গ্যালাক্সিগুলো মহাকাশে ঘুরে, কিন্তু নক্ষত্রগুলো পরস্পরের থেকে অনেক দূরে।
-
-
আলো ও দূরত্ব:
-
আলো ১ সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার অতিক্রম করে।
-
সূর্য থেকে পৃথিবী পর্যন্ত আলো পৌঁছাতে সময় লাগে ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড।
-
নিকটতম নক্ষত্র আলফা সেন্টোরিতে আলো পৌঁছাতে সময় লাগে ৪ বছরের বেশি।
-
দূরবর্তী নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্রে আলো পৌঁছাতে কয়েক মিলিয়ন বছর লাগে।
-
মহাবিশ্বের উৎপত্তি
-
বিগব্যাং তত্ত্ব:
-
বিগব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব অনুসারে, মহাবিশ্ব শুরু হয়েছিল অত্যন্ত উত্তপ্ত ও অসীম ঘনত্বের একক বিন্দু থেকে।
-
মহাবিশ্ব তখন থেকে দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে, প্রসারণের ফলে ঠাণ্ডা হয়ে বর্তমানে পৌঁছেছে।
-
বিগব্যাং সংঘটিত হয়েছিল প্রায় ১৩.৭৫ বিলিয়ন বছর (১৩৭৫ কোটি বছর) আগে।
-
-
বৈজ্ঞানিক গ্রহণযোগ্যতা:
-
বিগব্যাং তত্ত্ব বহু পরীক্ষিত এবং অধিকাংশ বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্রহণ করেছেন।
-
স্টিফেন হকিংসহ বর্তমানের অনেক পদার্থবিজ্ঞানী তত্ত্বটির পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন।
-
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago