A
বজ্রপাত
B
ঘূর্ণিঝড়
C
ভূমিকম্প
D
হারিকেন
উত্তরের বিবরণ
প্লেট টেকটোনিক তত্ত্ব (Plate Tectonics Theory)
-
মূল ধারণা:
-
পৃথিবীর শিলামণ্ডল (Lithosphere) কয়েকটি পৃথক প্লেটে বিভক্ত।
-
এই প্লেটগুলো গুরুমণ্ডলের আংশিক তরল অংশের (Asthenosphere) উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে।
-
-
প্লেটের গতি:
-
প্রতি বছর কয়েক সেন্টিমিটার করে সরে যায়।
-
কখনো একে অপরের থেকে দূরে সরে যায় (Divergent), কখনো একে অপরের দিকে আসে (Convergent), আবার কখনো একে অপরের সাথে ঘর্ষণ করে (Transform).
-
-
ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি:
-
প্লেটগুলোর সংযোগস্থলেই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির উদগীরণ বেশি ঘটে।
-
সংঘর্ষ ও ঘর্ষণের ফলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়, যা ভূ-অভ্যন্তরের পদার্থ গলিয়ে ম্যাগমা তৈরি করে।
-
চাপের কারণে ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে, যা লাভা নামে পরিচিত।
-
এই প্রক্রিয়াকে আগ্নেয়গিরির উদগীরণ বলা হয়।
-
প্লেটের সংঘর্ষের সময় পৃথিবী কেঁপে ওঠলে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়।
-
উৎস: বিজ্ঞান, ষষ্ঠ শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
আপেক্ষিক তত্ত্ব কে প্রকাশ করেন?
Created: 1 week ago
A
হাইজেনবার্গ
B
আলবার্ট আইনস্টাইন
C
আইজ্যাক নিউটন
D
মার্কস প্ল্যাঙ্ক
আপেক্ষিক তত্ত্ব (Theory of Relativity)
-
প্রবর্তক: আলবার্ট আইনস্টাইন, ১৯০৫ সালে।
-
মূল ধারণা: স্থান, ভর ও সময় ধ্রুব রাশি নয়; এগুলো আপেক্ষিক, অর্থাৎ বস্তুর বেগের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
-
শুধুমাত্র শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ হলো সর্বোচ্চ ও ধ্রুব।
-
উচ্চ গতির বস্তুতে এই তত্ত্ব পরীক্ষায় প্রমাণিত।
-
১৯১৬ সালে আইনস্টাইন সার্বিক (General) আপেক্ষিকতা প্রকাশ করেন, যা মহাকর্ষ, নাক্ষত্রিক গতিপ্রকৃতি, সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্ব ইত্যাদির ব্যাখ্যা দেয়।
-
আপেক্ষিক তত্ত্বকে তিনি দুই ভাগে ভাগ করেছেন:
-
বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব (Special Relativity)
-
সার্বিক আপেক্ষিক তত্ত্ব (General Relativity)
-
বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বের মূল স্বীকার্য
১৯০৫ সালে আইনস্টাইন দুটি মৌলিক স্বীকার্য প্রদান করেন:
-
প্রথম স্বীকার্য: স্থির বা গতিশীল সকল জড় কাঠামোতে পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক সূত্রসমূহ অপরিবর্তিত থাকে।
-
দ্বিতীয় স্বীকার্য: শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ সকল পর্যবেক্ষকের জন্য একই এবং তা আলোর উৎস বা পর্যবেক্ষকের গতির উপর নির্ভরশীল নয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
প্রজাতিগত জীববৈচিত্র্য দ্বারা কী বোঝানো হয়?
Created: 1 week ago
A
জীবনের বয়স
B
মানুষের গায়ের রং
C
জীবের গড় আকার
D
ভিন্ন প্রজাতির জীবের বৈচিত্র্য
জীববৈচিত্র্য (Biodiversity)
-
জীববৈচিত্র্য হলো পৃথিবীর জল ও স্থলভাগে বাস করা সমস্ত জীবের জীনগত, প্রজাতিগত ও বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য।
-
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবজগৎ পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজের অবস্থান পরিবর্তন ও বিকাশ ঘটায়।
-
ভৌগোলিক পরিবেশের বৈচিত্র্যের কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রজাতিসমূহের মধ্যে বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়।
-
মানবসৃষ্ট কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীবজগতের বিকাশ, বসবাস ও বংশবিস্তারেও পরিবর্তন ঘটে।
-
পৃথিবীতে সময়ের সঙ্গে হাজার হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণির আবির্ভাব এবং বিলুপ্তি ঘটে।
জীববৈচিত্র্যের প্রকারভেদ
১. বাস্তুতান্ত্রিক জীববৈচিত্র্য (Ecosystem Diversity)
-
নির্দিষ্ট অঞ্চলের জীব ও পারিবেশগত বৈচিত্র্যকে বোঝায়।
-
বিভিন্ন জলবায়ু ও প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিটি বাস্তুতন্ত্রে নিজস্ব বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত জীবজগত সৃষ্টি হয়।
২. প্রজাতিগত জীববৈচিত্র্য (Species Diversity)
-
ভিন্ন প্রজাতির জীবের মধ্যে বিদ্যমান বৈচিত্র্য।
-
কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মোট প্রজাতির সংখ্যার মাধ্যমে এর পরিমাপ হয়।
৩. জীনগত জীববৈচিত্র্য (Genetic Diversity)
-
একই প্রজাতির সদস্যদের মধ্যে জীনগত বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য।
-
উদাহরণ: আমেরিকান শ্বেতাঙ্গ ও আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের গায়ের রং, চুলের ধরন, নাক ও ঠোঁটের আকৃতি, উচ্চতা ইত্যাদির পার্থক্য।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
নিম্নের কোনটি বাংলাদেশের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য নয়?
Created: 1 week ago
A
শীতকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত
B
উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল
C
গ্রীষ্মে কালবৈশাখী ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত
D
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বায়ুর গতির পরিবর্তন
আবহাওয়া ও জলবায়ু
-
সংজ্ঞা:
-
আবহাওয়া: কোন স্থানের দৈনন্দিন বায়ুমণ্ডলের অবস্থা, যেমন—দৈনিক বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুর গতি ও চাপ, সূর্যালোক প্রভৃতি।
-
জলবায়ু: কোন স্থানের ২৫–৩০ বছরের আবহাওয়ার গড়।
-
-
বাংলাদেশের জলবায়ু:
-
বাংলাদেশের জলবায়ু প্রায় সমভাবাপন্ন। সারা বছরের জলবায়ুতে বড় পরিবর্তন হয় না।
-
কৃষি উৎপাদন মূলত মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে নির্ভরশীল।
-
-
মৌসুমি বায়ু ও ফসল:
-
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (গ্রীষ্মকাল):
-
আর্দ্র ও বৃষ্টিপূর্ণ।
-
প্রধান ফসল: ধান, পাট, আখ, চা ইত্যাদি।
-
-
উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু (শীতকাল):
-
শুষ্ক ও কম বৃষ্টিপাত।
-
প্রধান ফসল: ডাল, তৈলবীজ, আলু, পেঁয়াজ, শীতকালীন সবজি।
-
-
পাহাড়ি অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি, ফলে চা, রাবার ইত্যাদির চাষ হয়।
-
-
জলবায়ুর প্রভাব:
-
বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বায়ুপ্রবাহের পার্থক্য বিভিন্ন অঞ্চলের ফসল ও উদ্ভিদজগতকে প্রভাবিত করে।
-
উদ্ভিদ ও কৃষি উৎপাদন দেখে সেই অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু বোঝা যায়।
-
-
বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য:
১. ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে বায়ুর গতি পরিবর্তিত হয়, ফলে জলবায়ুতে পরিবর্তন ঘটে।
২. গ্রীষ্মকাল উষ্ণ ও আর্দ্র, শীতকাল শুষ্ক ও নাতিশীতোষ্ণ।
৩. মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে:-
গ্রীষ্মকাল: বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত, যেমন কাল বৈশাখী।
-
বর্ষাকাল: প্রচুর বৃষ্টিপাত।
-
শীতকাল: বৃষ্টিপাত খুবই কম।
-
উৎস: কৃষিশিক্ষা প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago