টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষের ফলে কী সৃষ্টি হয়?
A
বজ্রপাত
B
ঘূর্ণিঝড়
C
ভূমিকম্প
D
হারিকেন
উত্তরের বিবরণ
প্লেট টেকটোনিক তত্ত্ব (Plate Tectonics Theory)
-
মূল ধারণা:
-
পৃথিবীর শিলামণ্ডল (Lithosphere) কয়েকটি পৃথক প্লেটে বিভক্ত।
-
এই প্লেটগুলো গুরুমণ্ডলের আংশিক তরল অংশের (Asthenosphere) উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে।
-
-
প্লেটের গতি:
-
প্রতি বছর কয়েক সেন্টিমিটার করে সরে যায়।
-
কখনো একে অপরের থেকে দূরে সরে যায় (Divergent), কখনো একে অপরের দিকে আসে (Convergent), আবার কখনো একে অপরের সাথে ঘর্ষণ করে (Transform).
-
-
ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি:
-
প্লেটগুলোর সংযোগস্থলেই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির উদগীরণ বেশি ঘটে।
-
সংঘর্ষ ও ঘর্ষণের ফলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়, যা ভূ-অভ্যন্তরের পদার্থ গলিয়ে ম্যাগমা তৈরি করে।
-
চাপের কারণে ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে, যা লাভা নামে পরিচিত।
-
এই প্রক্রিয়াকে আগ্নেয়গিরির উদগীরণ বলা হয়।
-
প্লেটের সংঘর্ষের সময় পৃথিবী কেঁপে ওঠলে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়।
-
উৎস: বিজ্ঞান, ষষ্ঠ শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হলে কী সৃষ্টি হয়?
Created: 1 month ago
A
সুনামি
B
ঘূর্ণিঝড়
C
বন্যা
D
টর্নেডো
সুনামি:
-
Tsunami একটি জাপানি শব্দ। যার ‘সু’ অর্থ বন্দর এবং ‘নামি’ অর্থ ঢেউ।
-
অর্থাৎ, সুনামি শব্দের অর্থ হলো বন্দরের ঢেউ। এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
-
সমুদ্রতলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস এবং নভোজাগতিক ঘটনা সুনামি সৃষ্টি করতে পারে।
-
সুনামি প্রাকৃতিক দুর্যোগটি শুধুমাত্র সাগরে সংঘটিত হয়।
-
সাধারণত, সমুদ্রের তলদেশে কোনো ভূমিকম্প হলে সুনামি তৈরি হয়।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর স্বরণকালের ভয়ঙ্কর একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে।
-
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরের তলদেশে সৃষ্টি হয়েছিল ট্রান্সটেকটনিক ভূমিকম্প।
-
ইউরেশিয়ান প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে সৃষ্টি হওয়া এই মারাত্মক ভূমিকম্পটি রিখটার স্কেলে নয় মাত্রার ছিল।
-
এই জলোচ্ছাসে প্রায় তিন লাখ মানুষ নিহত হয়, যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার আচেহ প্রদেশে এক লাখ মানুষ নিহত হয়েছে।
-
অগভীর পানিতে যাওয়ার সময় সুনামি তার শক্তি হারায়, অর্থাৎ কমে।
-
বঙ্গোপসাগরে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগভীর পানি বাংলাদেশকে সুনামির কবল থেকে রক্ষা করে।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির উদগীরণ সাধারণত কোথায় ঘটে?
Created: 1 month ago
A
চৌম্বক উত্তর মেরুতে
B
মরুভূমির কেন্দ্রে
C
সমুদ্রপৃষ্ঠের ঠিক নিচে
D
টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে
প্লেট টেকটোনিক তত্ত্ব (Plate Tectonic Theory)
-
মূল ধারণা:
-
পৃথিবীর শিলামণ্ডল (Lithosphere) বিভিন্ন অংশে বা প্লেটে বিভক্ত।
-
এই প্লেটগুলো গুরুমণ্ডলের আংশিক তরল অংশের (Asthenosphere) উপর ভাসমান।
-
প্লেটগুলো প্রতিবছরে কয়েক সেন্টিমিটার করে সরতে পারে।
-
-
প্লেটের গতিবিধি:
-
কখনও একে অন্য থেকে দূরে সরে যায় (Divergent Boundaries)।
-
কখনও একে অন্যের দিকে আসে (Convergent Boundaries)।
-
বছরে কয়েক মিলিমিটার করে উপরে ওঠে বা নিচে নেমে যায় (Vertical Movement)।
-
-
প্রাকৃতিক ঘটনায় প্রভাব:
-
প্লেটের সংযোগস্থলে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির উদগীরণ ঘটে।
-
সংযোগস্থলে উঁচু পর্বত থাকলে এই ঘটনা আরও প্রবল হয়।
-
প্লেটগুলো ঘষা বা ধাক্কা খেলে প্রচুর তাপ সৃষ্টি হয়, যা ভূ-অভ্যন্তরের পদার্থকে গলিয়ে ম্যাগমা তৈরি করে।
-
মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে আসা গলিত পদার্থকে ম্যাগমা বলা হয়।
-
-
উদাহরণ:
-
আজকাল বাংলাদেশেও ভূমিকম্প সংঘটিত হচ্ছে।
-
উৎস: বিজ্ঞান, ষষ্ঠ শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কিত প্রচলিত তত্ত্ব কোনটি?
Created: 1 month ago
A
নিউটনের গতি সূত্রীয় তত্ত্ব
B
ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব
C
বিগব্যাং তত্ত্ব
D
আপেক্ষিক তত্ত্ব
মহাবিশ্ব
-
সংজ্ঞা:
-
মহাবিশ্ব হলো সবকিছু—ক্ষুদ্র কণার পৰা শুরু করে গ্রহ, নক্ষত্র, ধূমকেতু, গ্যালাক্সি, এবং দেখা না দেখা সব বস্তু।
-
-
গ্যালাক্সি:
-
মহাবিশ্বের কিছু অংশে পদার্থ বেশি ঘনীভূত থাকে। এগুলোকে বলা হয় গ্যালাক্সি বা নক্ষত্রজগৎ।
-
গ্যালাক্সি হলো গ্রহ ও নক্ষত্রের বৃহৎ দল।
-
পৃথিবী যে গ্যালাক্সিতে আছে তার নাম ছায়াপথ (মিল্কিওয়ে)।
-
মহাবিশ্বে কোটি কোটি গ্যালাক্সি আছে, প্রতিটিতে কোটি কোটি নক্ষত্র।
-
গ্যালাক্সিগুলো মহাকাশে ঘুরে, কিন্তু নক্ষত্রগুলো পরস্পরের থেকে অনেক দূরে।
-
-
আলো ও দূরত্ব:
-
আলো ১ সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার অতিক্রম করে।
-
সূর্য থেকে পৃথিবী পর্যন্ত আলো পৌঁছাতে সময় লাগে ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড।
-
নিকটতম নক্ষত্র আলফা সেন্টোরিতে আলো পৌঁছাতে সময় লাগে ৪ বছরের বেশি।
-
দূরবর্তী নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্রে আলো পৌঁছাতে কয়েক মিলিয়ন বছর লাগে।
-
মহাবিশ্বের উৎপত্তি
-
বিগব্যাং তত্ত্ব:
-
বিগব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব অনুসারে, মহাবিশ্ব শুরু হয়েছিল অত্যন্ত উত্তপ্ত ও অসীম ঘনত্বের একক বিন্দু থেকে।
-
মহাবিশ্ব তখন থেকে দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে, প্রসারণের ফলে ঠাণ্ডা হয়ে বর্তমানে পৌঁছেছে।
-
বিগব্যাং সংঘটিত হয়েছিল প্রায় ১৩.৭৫ বিলিয়ন বছর (১৩৭৫ কোটি বছর) আগে।
-
-
বৈজ্ঞানিক গ্রহণযোগ্যতা:
-
বিগব্যাং তত্ত্ব বহু পরীক্ষিত এবং অধিকাংশ বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্রহণ করেছেন।
-
স্টিফেন হকিংসহ বর্তমানের অনেক পদার্থবিজ্ঞানী তত্ত্বটির পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন।
-
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago