A
বর্ষা
B
প্লাবন
C
জলোচ্ছ্বাস
D
ভূমিকম্প
No subjects available.
উত্তরের বিবরণ
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস (Cyclone and Storm Surge)
-
ঘূর্ণিঝড়:
-
বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় দেখা যায়।
-
এর তীব্রতা বিশেষত দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় বেশি।
-
সমুদ্রে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে এটি সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আকারে স্থলভাগের দিকে এগোতে থাকে।
-
-
জলোচ্ছ্বাস (Storm Surge):
-
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি উঁচু হয়ে অল্প সময়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে।
-
তীব্রতা ও অবস্থানের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন দেশে এটিকে টর্নেডো, হারিকেন বা সাইক্লোন বলা হয়।
-
বাংলাদেশের ফসলি জমিতে লবণাক্ততার প্রধান কারণ হলো এই সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস।
-
দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব-মধ্যাঞ্চলের ফসল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
-
-
গতিবেগ ও সময়কাল:
-
ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বা তারও বেশি।
-
বাংলাদেশে প্রধানত বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল) থেকে আশ্বিন-কর্তিক (নভেম্বর) পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ঘটে।
-
বৈশাখের ঘূর্ণিঝড় → প্রাক-খরিফ ফসলের ক্ষতি
-
আশ্বিন-কর্তিকের ঘূর্ণিঝড় → প্রাক-রবি ফসলের ক্ষতি
-
-
জলোচ্ছ্বাস সাধারণত ৬-১২ ঘণ্টা পর্যন্ত জমির উপর পানি থাকে; পানি নেমে যাওয়ার পরও ক্ষতির প্রভাব দীর্ঘদিন থাকে।
-
উৎস: কৃষিশিক্ষা প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
আপেক্ষিক তত্ত্ব কে প্রকাশ করেন?
Created: 1 week ago
A
হাইজেনবার্গ
B
আলবার্ট আইনস্টাইন
C
আইজ্যাক নিউটন
D
মার্কস প্ল্যাঙ্ক
আপেক্ষিক তত্ত্ব (Theory of Relativity)
-
প্রবর্তক: আলবার্ট আইনস্টাইন, ১৯০৫ সালে।
-
মূল ধারণা: স্থান, ভর ও সময় ধ্রুব রাশি নয়; এগুলো আপেক্ষিক, অর্থাৎ বস্তুর বেগের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
-
শুধুমাত্র শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ হলো সর্বোচ্চ ও ধ্রুব।
-
উচ্চ গতির বস্তুতে এই তত্ত্ব পরীক্ষায় প্রমাণিত।
-
১৯১৬ সালে আইনস্টাইন সার্বিক (General) আপেক্ষিকতা প্রকাশ করেন, যা মহাকর্ষ, নাক্ষত্রিক গতিপ্রকৃতি, সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্ব ইত্যাদির ব্যাখ্যা দেয়।
-
আপেক্ষিক তত্ত্বকে তিনি দুই ভাগে ভাগ করেছেন:
-
বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব (Special Relativity)
-
সার্বিক আপেক্ষিক তত্ত্ব (General Relativity)
-
বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বের মূল স্বীকার্য
১৯০৫ সালে আইনস্টাইন দুটি মৌলিক স্বীকার্য প্রদান করেন:
-
প্রথম স্বীকার্য: স্থির বা গতিশীল সকল জড় কাঠামোতে পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক সূত্রসমূহ অপরিবর্তিত থাকে।
-
দ্বিতীয় স্বীকার্য: শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ সকল পর্যবেক্ষকের জন্য একই এবং তা আলোর উৎস বা পর্যবেক্ষকের গতির উপর নির্ভরশীল নয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
ডায়োড প্রধানত কোন কাজে ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 week ago
A
রেকটিফায়ার হিসেবে
B
বিদ্যুৎ উৎপাদনে
C
তাপ শক্তি উৎপাদনে
D
শব্দ তরঙ্গ রূপান্তরে
সাধারণ বিজ্ঞান
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার (Application Software)
জীব ও বৈচিত্র সংরক্ষণ কনভেনশন
No subjects available.
ডায়োড (Diode)
-
ডায়োড শব্দটি এসেছে ‘ডাই’ এবং ‘ইলেক্ট্রোড’ থেকে।
-
এটি একটি ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট যা দুইটি ইলেক্ট্রোড নিয়ে গঠিত।
-
ডায়োড এমন একটি ডিভাইস যেখানে বিদ্যুৎ একদিকে প্রবাহিত হয়, উল্টো দিকে নয়।
-
একটি p-টাইপ অর্ধপরিবাহী এবং একটি n-টাইপ অর্ধপরিবাহী পাশাপাশি জোড়া লাগিয়ে p-n জাংশন তৈরি করা হয়, যা ডায়োডের মূল অংশ।
-
ডায়োড সাধারণত রেকটিফায়ার হিসেবে ব্যবহার হয়, অর্থাৎ এটি AC (Alternating Current) কে DC (Direct Current) তে রূপান্তর করে।
-
ডায়োডের দুটি টার্মিনাল থাকে:
-
অ্যানোড (Anode): পজেটিভ বা ফরোয়ার্ড বেস টার্মিনাল
-
ক্যাথোড (Cathode): নেগেটিভ বা রিভার্স বেস টার্মিনাল
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি; পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
নিম্নের কোনটি বাংলাদেশের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য নয়?
Created: 1 week ago
A
শীতকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত
B
উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল
C
গ্রীষ্মে কালবৈশাখী ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত
D
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বায়ুর গতির পরিবর্তন
আবহাওয়া ও জলবায়ু
-
সংজ্ঞা:
-
আবহাওয়া: কোন স্থানের দৈনন্দিন বায়ুমণ্ডলের অবস্থা, যেমন—দৈনিক বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুর গতি ও চাপ, সূর্যালোক প্রভৃতি।
-
জলবায়ু: কোন স্থানের ২৫–৩০ বছরের আবহাওয়ার গড়।
-
-
বাংলাদেশের জলবায়ু:
-
বাংলাদেশের জলবায়ু প্রায় সমভাবাপন্ন। সারা বছরের জলবায়ুতে বড় পরিবর্তন হয় না।
-
কৃষি উৎপাদন মূলত মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে নির্ভরশীল।
-
-
মৌসুমি বায়ু ও ফসল:
-
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (গ্রীষ্মকাল):
-
আর্দ্র ও বৃষ্টিপূর্ণ।
-
প্রধান ফসল: ধান, পাট, আখ, চা ইত্যাদি।
-
-
উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু (শীতকাল):
-
শুষ্ক ও কম বৃষ্টিপাত।
-
প্রধান ফসল: ডাল, তৈলবীজ, আলু, পেঁয়াজ, শীতকালীন সবজি।
-
-
পাহাড়ি অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি, ফলে চা, রাবার ইত্যাদির চাষ হয়।
-
-
জলবায়ুর প্রভাব:
-
বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বায়ুপ্রবাহের পার্থক্য বিভিন্ন অঞ্চলের ফসল ও উদ্ভিদজগতকে প্রভাবিত করে।
-
উদ্ভিদ ও কৃষি উৎপাদন দেখে সেই অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু বোঝা যায়।
-
-
বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য:
১. ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে বায়ুর গতি পরিবর্তিত হয়, ফলে জলবায়ুতে পরিবর্তন ঘটে।
২. গ্রীষ্মকাল উষ্ণ ও আর্দ্র, শীতকাল শুষ্ক ও নাতিশীতোষ্ণ।
৩. মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে:-
গ্রীষ্মকাল: বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত, যেমন কাল বৈশাখী।
-
বর্ষাকাল: প্রচুর বৃষ্টিপাত।
-
শীতকাল: বৃষ্টিপাত খুবই কম।
-
উৎস: কৃষিশিক্ষা প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago