আপেক্ষিক তত্ত্ব কে প্রকাশ করেন?
A
হাইজেনবার্গ
B
আলবার্ট আইনস্টাইন
C
আইজ্যাক নিউটন
D
মার্কস প্ল্যাঙ্ক
উত্তরের বিবরণ
আপেক্ষিক তত্ত্ব (Theory of Relativity)
-
প্রবর্তক: আলবার্ট আইনস্টাইন, ১৯০৫ সালে।
-
মূল ধারণা: স্থান, ভর ও সময় ধ্রুব রাশি নয়; এগুলো আপেক্ষিক, অর্থাৎ বস্তুর বেগের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
-
শুধুমাত্র শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ হলো সর্বোচ্চ ও ধ্রুব।
-
উচ্চ গতির বস্তুতে এই তত্ত্ব পরীক্ষায় প্রমাণিত।
-
১৯১৬ সালে আইনস্টাইন সার্বিক (General) আপেক্ষিকতা প্রকাশ করেন, যা মহাকর্ষ, নাক্ষত্রিক গতিপ্রকৃতি, সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্ব ইত্যাদির ব্যাখ্যা দেয়।
-
আপেক্ষিক তত্ত্বকে তিনি দুই ভাগে ভাগ করেছেন:
-
বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব (Special Relativity)
-
সার্বিক আপেক্ষিক তত্ত্ব (General Relativity)
-
বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বের মূল স্বীকার্য
১৯০৫ সালে আইনস্টাইন দুটি মৌলিক স্বীকার্য প্রদান করেন:
-
প্রথম স্বীকার্য: স্থির বা গতিশীল সকল জড় কাঠামোতে পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক সূত্রসমূহ অপরিবর্তিত থাকে।
-
দ্বিতীয় স্বীকার্য: শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ সকল পর্যবেক্ষকের জন্য একই এবং তা আলোর উৎস বা পর্যবেক্ষকের গতির উপর নির্ভরশীল নয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
নিউক্লিয় সাবমেরিনে নিউক্লিয় শক্তিকে কোন শক্তিতে রূপান্তর করা হয়?
Created: 1 month ago
A
চৌম্বক শক্তি
B
আলোক শক্তি
C
পারমাণবিক শক্তি
D
যান্ত্রিক শক্তি
নিউক্লিয় শক্তির রূপান্তর (Conversion of Nuclear Energy)
-
নিউক্লিয় সাবমেরিন:
-
সাবমেরিনে নিউক্লিয় শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করা হয়।
-
-
নিউক্লিয় বোমা:
-
বোমার ধ্বংস ক্ষমতা মূলত নিউক্লিয় শক্তির রূপান্তরের ফল।
-
-
নিউক্লিয় চুল্লী (Nuclear Reactor):
-
চুল্লীতে নিউক্লিয় শক্তি অন্যান্য শক্তিতে, বিশেষত তড়িৎ শক্তিতে, রূপান্তরিত হয়।
-
এর ফলে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা যায়।
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষের ফলে কী সৃষ্টি হয়?
Created: 1 month ago
A
বজ্রপাত
B
ঘূর্ণিঝড়
C
ভূমিকম্প
D
হারিকেন
প্লেট টেকটোনিক তত্ত্ব (Plate Tectonics Theory)
-
মূল ধারণা:
-
পৃথিবীর শিলামণ্ডল (Lithosphere) কয়েকটি পৃথক প্লেটে বিভক্ত।
-
এই প্লেটগুলো গুরুমণ্ডলের আংশিক তরল অংশের (Asthenosphere) উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে।
-
-
প্লেটের গতি:
-
প্রতি বছর কয়েক সেন্টিমিটার করে সরে যায়।
-
কখনো একে অপরের থেকে দূরে সরে যায় (Divergent), কখনো একে অপরের দিকে আসে (Convergent), আবার কখনো একে অপরের সাথে ঘর্ষণ করে (Transform).
-
-
ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি:
-
প্লেটগুলোর সংযোগস্থলেই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির উদগীরণ বেশি ঘটে।
-
সংঘর্ষ ও ঘর্ষণের ফলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়, যা ভূ-অভ্যন্তরের পদার্থ গলিয়ে ম্যাগমা তৈরি করে।
-
চাপের কারণে ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে, যা লাভা নামে পরিচিত।
-
এই প্রক্রিয়াকে আগ্নেয়গিরির উদগীরণ বলা হয়।
-
প্লেটের সংঘর্ষের সময় পৃথিবী কেঁপে ওঠলে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়।
-
উৎস: বিজ্ঞান, ষষ্ঠ শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
ঘূর্ণিঝড়ের সময় সমুদ্রের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পানি স্থলভাগে ঢুকে পড়লে সেটিকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
বর্ষা
B
প্লাবন
C
জলোচ্ছ্বাস
D
ভূমিকম্প
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস (Cyclone and Storm Surge)
-
ঘূর্ণিঝড়:
-
বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় দেখা যায়।
-
এর তীব্রতা বিশেষত দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় বেশি।
-
সমুদ্রে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে এটি সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আকারে স্থলভাগের দিকে এগোতে থাকে।
-
-
জলোচ্ছ্বাস (Storm Surge):
-
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি উঁচু হয়ে অল্প সময়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে।
-
তীব্রতা ও অবস্থানের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন দেশে এটিকে টর্নেডো, হারিকেন বা সাইক্লোন বলা হয়।
-
বাংলাদেশের ফসলি জমিতে লবণাক্ততার প্রধান কারণ হলো এই সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস।
-
দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব-মধ্যাঞ্চলের ফসল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
-
-
গতিবেগ ও সময়কাল:
-
ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বা তারও বেশি।
-
বাংলাদেশে প্রধানত বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল) থেকে আশ্বিন-কর্তিক (নভেম্বর) পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ঘটে।
-
বৈশাখের ঘূর্ণিঝড় → প্রাক-খরিফ ফসলের ক্ষতি
-
আশ্বিন-কর্তিকের ঘূর্ণিঝড় → প্রাক-রবি ফসলের ক্ষতি
-
-
জলোচ্ছ্বাস সাধারণত ৬-১২ ঘণ্টা পর্যন্ত জমির উপর পানি থাকে; পানি নেমে যাওয়ার পরও ক্ষতির প্রভাব দীর্ঘদিন থাকে।
-
উৎস: কৃষিশিক্ষা প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago