A
সৃষ্টিতত্ত্ব
B
ক্রমবিকাশ
C
জৈব বিবর্তন
D
পরিবেশ পরিবর্তন
উত্তরের বিবরণ
বিবর্তন (Evolution)
-
আধুনিক মানুষের ধারণা অনুযায়ী, জীবের মূল উৎপত্তি ও বৈচিত্র্যের প্রক্রিয়া হলো বিবর্তন, যা যৌক্তিক চিন্তাভাবনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।
-
শব্দ উৎস: ল্যাটিন শব্দ “Evolveri”, যা ‘ধীরে ধীরে বিকাশিত হওয়া’ অর্থ প্রকাশ করে।
-
ইংরেজ দার্শনিক হার্বার্ট স্পেনসার (Herbert Spencer) প্রথমবার ‘ইভোলিউশন’ শব্দটি ব্যবহারের জন্য পরিচিত।
-
বিবর্তন বা ইভোলিউশন হলো একটি ধীর, অবিরাম ও চলমান পরিবর্তন প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সরল উদ্ভিদ ও প্রাণীজীবন ধীরে ধীরে জটিল ও উন্নততর জীব বা প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়।
-
জীবের পরিবর্তনের মাধ্যমে যখন নতুন কোনো প্রজাতি সৃষ্টি হয়, তাকে জৈব বিবর্তন বলা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
আপেক্ষিক তত্ত্ব কে প্রকাশ করেন?
Created: 1 week ago
A
হাইজেনবার্গ
B
আলবার্ট আইনস্টাইন
C
আইজ্যাক নিউটন
D
মার্কস প্ল্যাঙ্ক
আপেক্ষিক তত্ত্ব (Theory of Relativity)
-
প্রবর্তক: আলবার্ট আইনস্টাইন, ১৯০৫ সালে।
-
মূল ধারণা: স্থান, ভর ও সময় ধ্রুব রাশি নয়; এগুলো আপেক্ষিক, অর্থাৎ বস্তুর বেগের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
-
শুধুমাত্র শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ হলো সর্বোচ্চ ও ধ্রুব।
-
উচ্চ গতির বস্তুতে এই তত্ত্ব পরীক্ষায় প্রমাণিত।
-
১৯১৬ সালে আইনস্টাইন সার্বিক (General) আপেক্ষিকতা প্রকাশ করেন, যা মহাকর্ষ, নাক্ষত্রিক গতিপ্রকৃতি, সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্ব ইত্যাদির ব্যাখ্যা দেয়।
-
আপেক্ষিক তত্ত্বকে তিনি দুই ভাগে ভাগ করেছেন:
-
বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব (Special Relativity)
-
সার্বিক আপেক্ষিক তত্ত্ব (General Relativity)
-
বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বের মূল স্বীকার্য
১৯০৫ সালে আইনস্টাইন দুটি মৌলিক স্বীকার্য প্রদান করেন:
-
প্রথম স্বীকার্য: স্থির বা গতিশীল সকল জড় কাঠামোতে পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক সূত্রসমূহ অপরিবর্তিত থাকে।
-
দ্বিতীয় স্বীকার্য: শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ সকল পর্যবেক্ষকের জন্য একই এবং তা আলোর উৎস বা পর্যবেক্ষকের গতির উপর নির্ভরশীল নয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
নিম্নের কোনটি বাংলাদেশের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য নয়?
Created: 1 week ago
A
শীতকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত
B
উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল
C
গ্রীষ্মে কালবৈশাখী ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত
D
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বায়ুর গতির পরিবর্তন
আবহাওয়া ও জলবায়ু
-
সংজ্ঞা:
-
আবহাওয়া: কোন স্থানের দৈনন্দিন বায়ুমণ্ডলের অবস্থা, যেমন—দৈনিক বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুর গতি ও চাপ, সূর্যালোক প্রভৃতি।
-
জলবায়ু: কোন স্থানের ২৫–৩০ বছরের আবহাওয়ার গড়।
-
-
বাংলাদেশের জলবায়ু:
-
বাংলাদেশের জলবায়ু প্রায় সমভাবাপন্ন। সারা বছরের জলবায়ুতে বড় পরিবর্তন হয় না।
-
কৃষি উৎপাদন মূলত মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে নির্ভরশীল।
-
-
মৌসুমি বায়ু ও ফসল:
-
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (গ্রীষ্মকাল):
-
আর্দ্র ও বৃষ্টিপূর্ণ।
-
প্রধান ফসল: ধান, পাট, আখ, চা ইত্যাদি।
-
-
উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু (শীতকাল):
-
শুষ্ক ও কম বৃষ্টিপাত।
-
প্রধান ফসল: ডাল, তৈলবীজ, আলু, পেঁয়াজ, শীতকালীন সবজি।
-
-
পাহাড়ি অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি, ফলে চা, রাবার ইত্যাদির চাষ হয়।
-
-
জলবায়ুর প্রভাব:
-
বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বায়ুপ্রবাহের পার্থক্য বিভিন্ন অঞ্চলের ফসল ও উদ্ভিদজগতকে প্রভাবিত করে।
-
উদ্ভিদ ও কৃষি উৎপাদন দেখে সেই অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু বোঝা যায়।
-
-
বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য:
১. ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে বায়ুর গতি পরিবর্তিত হয়, ফলে জলবায়ুতে পরিবর্তন ঘটে।
২. গ্রীষ্মকাল উষ্ণ ও আর্দ্র, শীতকাল শুষ্ক ও নাতিশীতোষ্ণ।
৩. মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে:-
গ্রীষ্মকাল: বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত, যেমন কাল বৈশাখী।
-
বর্ষাকাল: প্রচুর বৃষ্টিপাত।
-
শীতকাল: বৃষ্টিপাত খুবই কম।
-
উৎস: কৃষিশিক্ষা প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
নিউক্লিয় সাবমেরিনে নিউক্লিয় শক্তিকে কোন শক্তিতে রূপান্তর করা হয়?
Created: 1 week ago
A
চৌম্বক শক্তি
B
আলোক শক্তি
C
পারমাণবিক শক্তি
D
যান্ত্রিক শক্তি
নিউক্লিয় শক্তির রূপান্তর (Conversion of Nuclear Energy)
-
নিউক্লিয় সাবমেরিন:
-
সাবমেরিনে নিউক্লিয় শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করা হয়।
-
-
নিউক্লিয় বোমা:
-
বোমার ধ্বংস ক্ষমতা মূলত নিউক্লিয় শক্তির রূপান্তরের ফল।
-
-
নিউক্লিয় চুল্লী (Nuclear Reactor):
-
চুল্লীতে নিউক্লিয় শক্তি অন্যান্য শক্তিতে, বিশেষত তড়িৎ শক্তিতে, রূপান্তরিত হয়।
-
এর ফলে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা যায়।
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago