ডায়োড প্রধানত কোন কাজে ব্যবহৃত হয়?
A
রেকটিফায়ার হিসেবে
B
বিদ্যুৎ উৎপাদনে
C
তাপ শক্তি উৎপাদনে
D
শব্দ তরঙ্গ রূপান্তরে
উত্তরের বিবরণ
ডায়োড (Diode)
-
ডায়োড শব্দটি এসেছে ‘ডাই’ এবং ‘ইলেক্ট্রোড’ থেকে।
-
এটি একটি ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট যা দুইটি ইলেক্ট্রোড নিয়ে গঠিত।
-
ডায়োড এমন একটি ডিভাইস যেখানে বিদ্যুৎ একদিকে প্রবাহিত হয়, উল্টো দিকে নয়।
-
একটি p-টাইপ অর্ধপরিবাহী এবং একটি n-টাইপ অর্ধপরিবাহী পাশাপাশি জোড়া লাগিয়ে p-n জাংশন তৈরি করা হয়, যা ডায়োডের মূল অংশ।
-
ডায়োড সাধারণত রেকটিফায়ার হিসেবে ব্যবহার হয়, অর্থাৎ এটি AC (Alternating Current) কে DC (Direct Current) তে রূপান্তর করে।
-
ডায়োডের দুটি টার্মিনাল থাকে:
-
অ্যানোড (Anode): পজেটিভ বা ফরোয়ার্ড বেস টার্মিনাল
-
ক্যাথোড (Cathode): নেগেটিভ বা রিভার্স বেস টার্মিনাল
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি; পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
প্রজাতিগত জীববৈচিত্র্য দ্বারা কী বোঝানো হয়?
Created: 1 month ago
A
জীবনের বয়স
B
মানুষের গায়ের রং
C
জীবের গড় আকার
D
ভিন্ন প্রজাতির জীবের বৈচিত্র্য
জীববৈচিত্র্য (Biodiversity)
-
জীববৈচিত্র্য হলো পৃথিবীর জল ও স্থলভাগে বাস করা সমস্ত জীবের জীনগত, প্রজাতিগত ও বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য।
-
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবজগৎ পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজের অবস্থান পরিবর্তন ও বিকাশ ঘটায়।
-
ভৌগোলিক পরিবেশের বৈচিত্র্যের কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রজাতিসমূহের মধ্যে বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়।
-
মানবসৃষ্ট কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীবজগতের বিকাশ, বসবাস ও বংশবিস্তারেও পরিবর্তন ঘটে।
-
পৃথিবীতে সময়ের সঙ্গে হাজার হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণির আবির্ভাব এবং বিলুপ্তি ঘটে।
জীববৈচিত্র্যের প্রকারভেদ
১. বাস্তুতান্ত্রিক জীববৈচিত্র্য (Ecosystem Diversity)
-
নির্দিষ্ট অঞ্চলের জীব ও পারিবেশগত বৈচিত্র্যকে বোঝায়।
-
বিভিন্ন জলবায়ু ও প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিটি বাস্তুতন্ত্রে নিজস্ব বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত জীবজগত সৃষ্টি হয়।
২. প্রজাতিগত জীববৈচিত্র্য (Species Diversity)
-
ভিন্ন প্রজাতির জীবের মধ্যে বিদ্যমান বৈচিত্র্য।
-
কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মোট প্রজাতির সংখ্যার মাধ্যমে এর পরিমাপ হয়।
৩. জীনগত জীববৈচিত্র্য (Genetic Diversity)
-
একই প্রজাতির সদস্যদের মধ্যে জীনগত বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য।
-
উদাহরণ: আমেরিকান শ্বেতাঙ্গ ও আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের গায়ের রং, চুলের ধরন, নাক ও ঠোঁটের আকৃতি, উচ্চতা ইত্যাদির পার্থক্য।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
আপেক্ষিক তত্ত্ব কে প্রকাশ করেন?
Created: 1 month ago
A
হাইজেনবার্গ
B
আলবার্ট আইনস্টাইন
C
আইজ্যাক নিউটন
D
মার্কস প্ল্যাঙ্ক
আপেক্ষিক তত্ত্ব (Theory of Relativity)
-
প্রবর্তক: আলবার্ট আইনস্টাইন, ১৯০৫ সালে।
-
মূল ধারণা: স্থান, ভর ও সময় ধ্রুব রাশি নয়; এগুলো আপেক্ষিক, অর্থাৎ বস্তুর বেগের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
-
শুধুমাত্র শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ হলো সর্বোচ্চ ও ধ্রুব।
-
উচ্চ গতির বস্তুতে এই তত্ত্ব পরীক্ষায় প্রমাণিত।
-
১৯১৬ সালে আইনস্টাইন সার্বিক (General) আপেক্ষিকতা প্রকাশ করেন, যা মহাকর্ষ, নাক্ষত্রিক গতিপ্রকৃতি, সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্ব ইত্যাদির ব্যাখ্যা দেয়।
-
আপেক্ষিক তত্ত্বকে তিনি দুই ভাগে ভাগ করেছেন:
-
বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব (Special Relativity)
-
সার্বিক আপেক্ষিক তত্ত্ব (General Relativity)
-
বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বের মূল স্বীকার্য
১৯০৫ সালে আইনস্টাইন দুটি মৌলিক স্বীকার্য প্রদান করেন:
-
প্রথম স্বীকার্য: স্থির বা গতিশীল সকল জড় কাঠামোতে পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক সূত্রসমূহ অপরিবর্তিত থাকে।
-
দ্বিতীয় স্বীকার্য: শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ সকল পর্যবেক্ষকের জন্য একই এবং তা আলোর উৎস বা পর্যবেক্ষকের গতির উপর নির্ভরশীল নয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
ঘূর্ণিঝড়ের সময় সমুদ্রের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পানি স্থলভাগে ঢুকে পড়লে সেটিকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
বর্ষা
B
প্লাবন
C
জলোচ্ছ্বাস
D
ভূমিকম্প
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস (Cyclone and Storm Surge)
-
ঘূর্ণিঝড়:
-
বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় দেখা যায়।
-
এর তীব্রতা বিশেষত দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় বেশি।
-
সমুদ্রে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে এটি সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আকারে স্থলভাগের দিকে এগোতে থাকে।
-
-
জলোচ্ছ্বাস (Storm Surge):
-
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি উঁচু হয়ে অল্প সময়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে।
-
তীব্রতা ও অবস্থানের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন দেশে এটিকে টর্নেডো, হারিকেন বা সাইক্লোন বলা হয়।
-
বাংলাদেশের ফসলি জমিতে লবণাক্ততার প্রধান কারণ হলো এই সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস।
-
দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব-মধ্যাঞ্চলের ফসল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
-
-
গতিবেগ ও সময়কাল:
-
ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বা তারও বেশি।
-
বাংলাদেশে প্রধানত বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল) থেকে আশ্বিন-কর্তিক (নভেম্বর) পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ঘটে।
-
বৈশাখের ঘূর্ণিঝড় → প্রাক-খরিফ ফসলের ক্ষতি
-
আশ্বিন-কর্তিকের ঘূর্ণিঝড় → প্রাক-রবি ফসলের ক্ষতি
-
-
জলোচ্ছ্বাস সাধারণত ৬-১২ ঘণ্টা পর্যন্ত জমির উপর পানি থাকে; পানি নেমে যাওয়ার পরও ক্ষতির প্রভাব দীর্ঘদিন থাকে।
-
উৎস: কৃষিশিক্ষা প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago