A
জীবনের বয়স
B
মানুষের গায়ের রং
C
জীবের গড় আকার
D
ভিন্ন প্রজাতির জীবের বৈচিত্র্য
উত্তরের বিবরণ
জীববৈচিত্র্য (Biodiversity)
-
জীববৈচিত্র্য হলো পৃথিবীর জল ও স্থলভাগে বাস করা সমস্ত জীবের জীনগত, প্রজাতিগত ও বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য।
-
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবজগৎ পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজের অবস্থান পরিবর্তন ও বিকাশ ঘটায়।
-
ভৌগোলিক পরিবেশের বৈচিত্র্যের কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রজাতিসমূহের মধ্যে বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়।
-
মানবসৃষ্ট কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীবজগতের বিকাশ, বসবাস ও বংশবিস্তারেও পরিবর্তন ঘটে।
-
পৃথিবীতে সময়ের সঙ্গে হাজার হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণির আবির্ভাব এবং বিলুপ্তি ঘটে।
জীববৈচিত্র্যের প্রকারভেদ
১. বাস্তুতান্ত্রিক জীববৈচিত্র্য (Ecosystem Diversity)
-
নির্দিষ্ট অঞ্চলের জীব ও পারিবেশগত বৈচিত্র্যকে বোঝায়।
-
বিভিন্ন জলবায়ু ও প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিটি বাস্তুতন্ত্রে নিজস্ব বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত জীবজগত সৃষ্টি হয়।
২. প্রজাতিগত জীববৈচিত্র্য (Species Diversity)
-
ভিন্ন প্রজাতির জীবের মধ্যে বিদ্যমান বৈচিত্র্য।
-
কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মোট প্রজাতির সংখ্যার মাধ্যমে এর পরিমাপ হয়।
৩. জীনগত জীববৈচিত্র্য (Genetic Diversity)
-
একই প্রজাতির সদস্যদের মধ্যে জীনগত বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য।
-
উদাহরণ: আমেরিকান শ্বেতাঙ্গ ও আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের গায়ের রং, চুলের ধরন, নাক ও ঠোঁটের আকৃতি, উচ্চতা ইত্যাদির পার্থক্য।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
নতুন কোনো প্রজাতির সৃষ্টিকে কী বলা হয়?
Created: 1 week ago
A
সৃষ্টিতত্ত্ব
B
ক্রমবিকাশ
C
জৈব বিবর্তন
D
পরিবেশ পরিবর্তন
বিবর্তন (Evolution)
-
আধুনিক মানুষের ধারণা অনুযায়ী, জীবের মূল উৎপত্তি ও বৈচিত্র্যের প্রক্রিয়া হলো বিবর্তন, যা যৌক্তিক চিন্তাভাবনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।
-
শব্দ উৎস: ল্যাটিন শব্দ “Evolveri”, যা ‘ধীরে ধীরে বিকাশিত হওয়া’ অর্থ প্রকাশ করে।
-
ইংরেজ দার্শনিক হার্বার্ট স্পেনসার (Herbert Spencer) প্রথমবার ‘ইভোলিউশন’ শব্দটি ব্যবহারের জন্য পরিচিত।
-
বিবর্তন বা ইভোলিউশন হলো একটি ধীর, অবিরাম ও চলমান পরিবর্তন প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সরল উদ্ভিদ ও প্রাণীজীবন ধীরে ধীরে জটিল ও উন্নততর জীব বা প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়।
-
জীবের পরিবর্তনের মাধ্যমে যখন নতুন কোনো প্রজাতি সৃষ্টি হয়, তাকে জৈব বিবর্তন বলা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
ডায়োড প্রধানত কোন কাজে ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 week ago
A
রেকটিফায়ার হিসেবে
B
বিদ্যুৎ উৎপাদনে
C
তাপ শক্তি উৎপাদনে
D
শব্দ তরঙ্গ রূপান্তরে
সাধারণ বিজ্ঞান
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার (Application Software)
জীব ও বৈচিত্র সংরক্ষণ কনভেনশন
No subjects available.
ডায়োড (Diode)
-
ডায়োড শব্দটি এসেছে ‘ডাই’ এবং ‘ইলেক্ট্রোড’ থেকে।
-
এটি একটি ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট যা দুইটি ইলেক্ট্রোড নিয়ে গঠিত।
-
ডায়োড এমন একটি ডিভাইস যেখানে বিদ্যুৎ একদিকে প্রবাহিত হয়, উল্টো দিকে নয়।
-
একটি p-টাইপ অর্ধপরিবাহী এবং একটি n-টাইপ অর্ধপরিবাহী পাশাপাশি জোড়া লাগিয়ে p-n জাংশন তৈরি করা হয়, যা ডায়োডের মূল অংশ।
-
ডায়োড সাধারণত রেকটিফায়ার হিসেবে ব্যবহার হয়, অর্থাৎ এটি AC (Alternating Current) কে DC (Direct Current) তে রূপান্তর করে।
-
ডায়োডের দুটি টার্মিনাল থাকে:
-
অ্যানোড (Anode): পজেটিভ বা ফরোয়ার্ড বেস টার্মিনাল
-
ক্যাথোড (Cathode): নেগেটিভ বা রিভার্স বেস টার্মিনাল
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি; পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
ঘূর্ণিঝড়ের সময় সমুদ্রের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পানি স্থলভাগে ঢুকে পড়লে সেটিকে কী বলা হয়?
Created: 1 week ago
A
বর্ষা
B
প্লাবন
C
জলোচ্ছ্বাস
D
ভূমিকম্প
সাধারণ বিজ্ঞান
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস
জীব ও বৈচিত্র সংরক্ষণ কনভেনশন
নদ নদীর মিলিতস্থল
No subjects available.
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস (Cyclone and Storm Surge)
-
ঘূর্ণিঝড়:
-
বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় দেখা যায়।
-
এর তীব্রতা বিশেষত দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় বেশি।
-
সমুদ্রে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে এটি সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আকারে স্থলভাগের দিকে এগোতে থাকে।
-
-
জলোচ্ছ্বাস (Storm Surge):
-
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি উঁচু হয়ে অল্প সময়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে।
-
তীব্রতা ও অবস্থানের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন দেশে এটিকে টর্নেডো, হারিকেন বা সাইক্লোন বলা হয়।
-
বাংলাদেশের ফসলি জমিতে লবণাক্ততার প্রধান কারণ হলো এই সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস।
-
দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব-মধ্যাঞ্চলের ফসল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
-
-
গতিবেগ ও সময়কাল:
-
ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বা তারও বেশি।
-
বাংলাদেশে প্রধানত বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল) থেকে আশ্বিন-কর্তিক (নভেম্বর) পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ঘটে।
-
বৈশাখের ঘূর্ণিঝড় → প্রাক-খরিফ ফসলের ক্ষতি
-
আশ্বিন-কর্তিকের ঘূর্ণিঝড় → প্রাক-রবি ফসলের ক্ষতি
-
-
জলোচ্ছ্বাস সাধারণত ৬-১২ ঘণ্টা পর্যন্ত জমির উপর পানি থাকে; পানি নেমে যাওয়ার পরও ক্ষতির প্রভাব দীর্ঘদিন থাকে।
-
উৎস: কৃষিশিক্ষা প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago