• ব্যঞ্জনচ্যুতি (ধ্বনিচ্যুতি):
পাশাপাশি সমউচ্চারণের দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি থাকলে তার একটি লোপ পেলে তাকে ব্যঞ্জনচ্যুতি বলে।
উদাহরণ:
-
বড়দাদা → বড়দা
-
বউদিদি → বউদি
• ব্যঞ্জনবিকৃতি:
শব্দের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে নতুন রূপ ধারণ করলে তাকে ব্যঞ্জনবিকৃতি বলে।
উদাহরণ:
-
শাক → শাগ
-
কবাট → কপাট
-
ধাইমা → দাইমা
অন্য সংশ্লিষ্ট ধ্বনি পরিবর্তনগুলো:
• বিষমীভবন:
দুটি সমবর্ণের একটি ধ্বনির পরিবর্তনকে বিষমীভবন বলে।
উদাহরণ:
-
শরীর → শরীল
-
লাল → নাল
-
লাঙ্গল → নাঙ্গল
• ধ্বনি বিপর্যয়:
উচ্চারণের সময় পূর্ববর্তী ধ্বনি পরে এবং পরবর্তী ধ্বনি আগে চলে গেলে ধ্বনি বিপর্যয় ঘটে।
উদাহরণ:
-
নকশা → নশকা
-
রিক্সা → রিস্কা
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০১৯ সংস্করণ)।