কোনটি মহাপ্রাণ ব্যঞ্জন?
A
শ
B
ড়
C
ছ
D
স
উত্তরের বিবরণ
• ধ্বনি সৃষ্টিতে বায়ুর প্রবাহ অনুযায়ী বিভাজন:
ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় বায়ুপ্রবাহের বেগ অনুযায়ী দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়: অল্পপ্রাণ এবং মহাপ্রাণ।
1. অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জন:
যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে নির্গত বায়ুপ্রবাহের মাত্রা অপেক্ষাকৃত কম, সেগুলোকে অল্পপ্রাণ ধ্বনি বলা হয়।
উদাহরণ: প, ব, ত, দ, স, ট, ড, ড়, চ, জ, শ, ক, গ ইত্যাদি।
2. মহাপ্রাণ ব্যঞ্জন:
যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে নির্গত বায়ুপ্রবাহ অপেক্ষাকৃত বেশি, সেগুলোকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলা হয়।
উদাহরণ: ফ, ভ, থ, ধ, ঠ, ঢ, ঢ়, ছ, ঝ, খ, ঘ, হ ইত্যাদি।

0
Updated: 1 month ago
'ফল' শব্দের 'ফ' কোন ধরনের ব্যঞ্জন?
Created: 1 month ago
A
মূর্ধা স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন
B
ওষ্ঠ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন
C
কণ্ঠ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন
D
দন্ত স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন
• স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন:
যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় দুটি বাক্প্রত্যঙ্গ পরস্পরের সংস্পর্শে এসে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলোকে স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন বলা হয়। এগুলোকে স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনি নামেও পরিচিত।
উদাহরণ:
ফল, থলে, ঠাণ্ডা, ছুরি, খেলা — এই শব্দগুলির ফ, থ, ঠ, ছ, খ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জনধ্বনি।
উচ্চারণ স্থানের ভিত্তিতে স্পৃষ্ট ব্যঞ্জনকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়:
-
ওষ্ঠ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: প, ফ, ব, ভ
-
দন্ত স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: ত, থ, দ, ধ
-
মূর্ধা স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: ট, ঠ, ড, ঢ
-
তালু স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: চ, ছ, জ, ঝ
-
কণ্ঠ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: ক, খ, গ, ঘ

0
Updated: 1 month ago
"ন, র, ল, স" কোন শ্রেণির ব্যঞ্জনধ্বনি?
Created: 1 week ago
A
দন্তমূলীয়
B
মূর্ধন্য
C
তালব্য
D
কণ্ঠ্য
বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণস্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভাজন করা হয়। প্রতিটি শ্রেণির ধ্বনির উচ্চারণের সময় জিভ, ঠোঁট বা কণ্ঠনালির অবস্থান অনুযায়ী বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি হয়। নিচে এসব ব্যঞ্জনধ্বনির প্রকার ও তাদের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো।
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন
-
যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলো দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন।
-
ন, র, ল, স হলো দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
কণ্ঠনালীয় ব্যঞ্জন
-
উচ্চারণের সময় ধ্বনিদ্বার থেকে বায়ু কণ্ঠনালি হয়ে সরাসরি বেরিয়ে আসে।
-
এই ধরনের ব্যঞ্জনধ্বনির একমাত্র উদাহরণ হলো হ।
ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন
-
উচ্চারণের সময় ঠোঁট দুটি কাছাকাছি এসে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
এগুলোকে দ্বি-ওষ্ঠ্য ধ্বনি নামেও ডাকা হয়।
-
প, ফ, ব, ভ, ম হলো ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
দন্ত্য ব্যঞ্জন
-
উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি হয়।
-
ত, থ, দ, ধ হলো দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
মূর্ধন্য ব্যঞ্জন
-
দন্তমূল ও তালুর মাঝের উঁচু অংশ, যাকে মূর্ধা বলা হয়, সেখানে জিভের ডগা লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি হলে এই ধ্বনিগুলো তৈরি হয়।
-
ট, ঠ, ড, ঢ, ড়, ঢ় হলো মূর্ধন্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
তালব্য ব্যঞ্জন
-
উচ্চারণের সময় জিভের ডগা খানিকটা প্রসারিত হয়ে শক্ত তালুর কাছে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
চ, ছ, জ, ঝ, শ হলো তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন
-
উচ্চারণের সময় জিভের পিছনের অংশ উঁচু হয়ে নরম তালুর কাছে (আলজিভের নিকটে) বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
ক, খ, গ, ঘ, ঙ হলো কণ্ঠ্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।

0
Updated: 1 week ago
কোনটি ব্যঞ্জন বিকৃতির উদাহরণ?
Created: 2 months ago
A
সকাল > সক্কল
B
ধাইমা > দাইমা
C
ফলাহার > ফলার
D
শরীর > শরীল
• ব্যঞ্জন বিকৃতি:
শব্দের মধ্যে যদি কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে অন্য কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি হয় তখন তাকে ব্যঞ্জন বিকৃতি বলো।
যেমন:
- কবাট > কপাট,
- ধোবা > ধোপা,
- ধাইমা > দাইমা ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
-------------------
• বিষমীভবন:
দুটো সমবর্ণের একটির পরিবর্তনকে বিষমীভবন বলে।
যেমন:
- শরীর > শরীল,
- লাল > নাল ইত্যাদি।
• ব্যঞ্জনদ্বিত্ব:
কখনো কখনো জোর দেয়ার জন্য শব্দের অন্তর্গত ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়, তাকে ব্যঞ্জনদ্বিত্ব বা ব্যঞ্জনদ্বিত্বতা বলে।
যেমন:
- সকাল > সক্কল ইত্যাদি।
• অন্তর্হতি:
পদের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে অন্তর্হতি বলে।
যেমন:
- ফাল্গুন > ফাগুন,
- ফলাহার > ফলার,
- আলাদিয়া > আলাদা ইত্যাদি।

0
Updated: 2 months ago