'মৌ' শব্দে কোন অর্ধস্বরধ্বনি ব্যবহৃত হয়েছে?
A
ই্
B
ও্
C
উ্
D
ঔ্
উত্তরের বিবরণ
অর্ধস্বরধ্বনি ও দ্বিস্বরধ্বনি
১. অর্ধস্বরধ্বনি
-
সংজ্ঞা: পূর্ণ স্বরধ্বনির সাথে সংযুক্ত হয়ে স্বরধ্বনির উচ্চারণকে অংশিকভাবে সম্পন্ন করে এমন ধ্বনি।
-
উদাহরণ:
-
মৌ, বউ → এখানে [ওউ্]
-
ও = পূর্ণ স্বরধ্বনি
-
উ্ = অর্ধস্বরধ্বনি
-
-
২. দ্বিস্বরধ্বনি
-
সংজ্ঞা: পূর্ণ স্বরধ্বনি ও অর্ধস্বরধ্বনি একত্রে উচ্চারিত হলে দ্বিস্বরধ্বনি হয়।
-
উদাহরণ: লাউ → [আউ্]
-
আ = পূর্ণ স্বরধ্বনি
-
উ্ = অর্ধস্বরধ্বনি
-
দ্বিস্বরধ্বনির অন্যান্য উদাহরণ:
দ্বিস্বরধ্বনি | উদাহরণ |
---|---|
[আই্] | তাই, নাই |
[এই্] | সেই, নেই |
[আও্] | যাও, দাও |
[আএ্] | খায়, যায় |
[উই্] | দুই, রুই |
[অএ্] | নয়, হয় |
[ওউ্] | মৌ, বউ |
[ওই্] | কৈ, দই |
[এউ্] | কেউ, ঘেউ |
সূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago
অর্ধস্বরধ্বনি নয় কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
অ্
B
উ্
C
এ্
D
ই্
বাংলা ভাষায় অর্ধস্বরধ্বনি এবং নিলীন বর্ণ নিয়ে কিছু বিশেষ নিয়ম আছে, যেগুলো ধ্বনিবিজ্ঞানের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে সাজানো হলো।
-
অর্ধস্বরধ্বনি নয়: অ্
-
'অ' একটি নিলীন বর্ণ। এটি অন্য কোনো বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে আলাদা করে দেখা যায় না, কারণ এর কোনো সংক্ষিপ্ত রূপ নেই। এ কারণে এটি অন্য বর্ণের সঙ্গে লুকিয়ে থাকতে পারে বা নিঃশেষে লীন হয়ে যেতে পারে।
-
অন্য সব স্বরধ্বনির সংক্ষিপ্ত রূপ আছে, তাই সেগুলো অন্য বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে দৃশ্যমান থাকে।
উদাহরণ:
-
কর = কর্ + অ → এখানে অ দেখা যায় না।
-
করা = কর্ + আ → এখানে আ দেখা যায়।
-
অর্ধস্বরধ্বনি: যেসব স্বরধ্বনি পুরোপুরি উচ্চারিত হয় না, সেগুলোকে অর্ধস্বরধ্বনি বলা হয়।
-
বাংলা ভাষায় মোট চারটি অর্ধস্বরধ্বনি আছে: ই্, উ্, এ্, ও্।
-
পূর্ণ স্বরধ্বনি উচ্চারণে টেনে দীর্ঘ করা যায়, কিন্তু অর্ধস্বরধ্বনিকে কোনোভাবেই দীর্ঘ করা যায় না।
উদাহরণ:
-
'চাই' শব্দে দুটি স্বরধ্বনি আছে: [আ] এবং [ই্]। এখানে [আ] পূর্ণ স্বরধ্বনি, আর [ই্] অর্ধস্বরধ্বনি।
-
'লাউ' শব্দে দুটি স্বরধ্বনি আছে: [আ] এবং [উ্]। এখানে [আ] পূর্ণ স্বরধ্বনি, আর [উ্] অর্ধস্বরধ্বনি।

0
Updated: 3 weeks ago
নিম্নবিবৃত স্বরধ্বনি কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আ
B
ই
C
এ
D
অ্যা
স্বরধ্বনিকে মূলত জিভের অবস্থান এবং ঠোঁটের উন্মুক্তির ভিত্তিতে ভাগ করা হয়।
-
নিম্নবিবৃত স্বরধ্বনি: আ।
-
জিভের অবস্থান অনুযায়ী স্বরধ্বনি: উচ্চারণের সময় জিভের উচ্চতা ও সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থানের ভিত্তিতে স্বরধ্বনি চার ভাগে বিভক্ত:
১. উচ্চ স্বরধ্বনি: ই, উ।
২. উচ্চ-মধ্য স্বরধ্বনি: এ, ও।
৩. নিম্ন-মধ্য স্বরধ্বনি: অ্যা, অ।
৪. নিম্ন স্বরধ্বনি: আ। -
ঠোঁটের উন্মুক্তি অনুযায়ী স্বরধ্বনি: স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট কতটা খোলা বা বন্ধ থাকে তার ভিত্তিতে চার ভাগে ভাগ করা হয়:
-
সংবৃত: ই, উ (ঠোঁট কম খোলা)
-
অর্ধ-সংবৃত: এ, ও
-
বিবৃত: আ (ঠোঁট বেশি খোলা)
-
অর্ধ-বিবৃত: অ্যা, অ
-
-
স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁটের ভূমিকা: সংবৃত স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট কম খোলে, আর বিবৃত স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট বেশি খোলে।

0
Updated: 1 month ago
উচ্চ -মধ্য পশ্চাৎ স্বরধ্বনি কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
ই
B
ও
C
এ
D
অ
উচ্চারণের সময় জিভের অবস্থান অনুযায়ী স্বরধ্বনিগুলোকে বিভিন্নভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়।
-
জিভ কতটা নিচে নামে তার ভিত্তিতে স্বরধ্বনি বিভাজন:
১. উচ্চ স্বরধ্বনি: ই, উ
২. উচ্চ-মধ্য স্বরধ্বনি: এ, ও
৩. নিম্ন-মধ্য স্বরধ্বনি: অ্যা, অ
৪. নিম্ন স্বরধ্বনি: আ -
জিভের সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থান অনুযায়ী স্বরধ্বনি বিভাজন:
১. সম্মুখ স্বরধ্বনি: ই, এ, অ্যা
২. মধ্য স্বরধ্বনি: আ
৩. পশ্চাৎ স্বরধ্বনি: অ, ও, উ

0
Updated: 2 weeks ago