'সমাস' নিয়ে ব্যাকরণের কোন তত্ত্বে আলোচনা করা হয়?
A
বাক্যতত্ত্ব
B
ধ্বনিতত্ত্ব
C
রূপতত্ত্ব
D
অর্থতত্ত্ব
উত্তরের বিবরণ
রূপতত্ত্ব
-
শব্দ ও তার উপাদান নিয়ে আলোচনা।
-
আলোচ্য বিষয়: বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ ইত্যাদি।
-
শব্দগঠন প্রক্রিয়ায় বিশেষ গুরুত্ব।
-
উপসর্গ, সমাস, প্রত্যয় ও পুরুষও রূপতত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত।

0
Updated: 1 month ago
'ধোয়ামোছা' কোন সমাস?
Created: 1 week ago
A
বহুব্রীহি সমাস
B
কর্মধারয় সমাস
C
দ্বন্দ্ব সমাস
D
তৎপুরুষ সমাস
'ধোয়ামোছা' হলো আগে ধোয়া তারপর মোছা বোঝানো কর্মধারয় সমাস। এটি কর্মধারয় সমাসের এক উদাহরণ যা কার্যক্রমের পরম্পরা প্রকাশ করে।
কার্যে পরম্পরা বোঝাতে দুটি কৃদন্ত বিশেষণ পদও কর্মধারয় সমাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: আগে ধোয়া পরে মোছা = ধোয়ামোছা
কর্মধারয় সমাস:
যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সঙ্গে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলা হয়।
-
উদাহরণ: নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম
কর্মধারয় সমাসের অন্যান্য ধরন:
-
দুটি বিশেষণ পদে একটি বিশেষ্য বোঝালে, যেমন যে চালাক সেই চতুর = চালাকচতুর
-
দুটি বিশেষ্য পদে একই ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝালে, যেমন যিনি জজ তিনিই সাহেব = জজসাহেব
-
পূর্বপদে স্ত্রীবাচক বিশেষণ থাকলে কর্মধারয় সমাসে সেটি পুরুষবাচক হয়, যেমন সুন্দরী যে লতা = সুন্দরলতা, মহতী যে কীর্তি = মহাকীর্তি
-
বিশেষণবাচক মহান বা মহৎ শব্দ পূর্বপদ হলে, 'মহৎ' ও 'মহান' স্থানে 'মহা' হয়, যেমন মহৎ যে জ্ঞান = মহাজ্ঞান, মহান যে নবি = মহানবি
-
পূর্বপদে 'কু' বিশেষণ থাকলে এবং পরপদের প্রথমে স্বরধ্বনি থাকলে 'কু' স্থানে 'কৎ' হয়, যেমন কু যে অর্থ = কদর্থ, কু যে আচার = কদাচার

0
Updated: 1 week ago
কোনটি প্রাদি সমাসের উদাহরণ?
Created: 2 weeks ago
A
গৃহস্থ
B
ছা-পোষা
C
শতাব্দী
D
প্রগতি
গৃহস্থ - গৃহে থাকে যে (উপপদ তৎপুরুষ)। ছা-পোষা - ছা পুষেছে যে (উপপদ তৎপুরুষ)। শতাব্দি - শত অব্দের সমাহার (দ্বিগু সমাস)। প্রগতি - প্র যে গতি (প্রাদি সমাস)

0
Updated: 2 weeks ago
সমাস সাধিত অশুদ্ধি ঘটেছে কোন শব্দে?
Created: 3 weeks ago
A
মহিমমণ্ডিত
B
রাজগণ
C
সুবুদ্ধি
D
যুবরাজা
বাংলা ভাষায় সমাস সাধনের ক্ষেত্রে অনেক সময় অশুদ্ধ শব্দ ব্যবহার হয়ে যায়, যা শুদ্ধ রূপে প্রয়োগ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে সংস্কৃত ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দ বাংলায় প্রথমবার একবচনে ধনী, গুণী, মানী, পাপী ইত্যাদি রূপ নেয়। কিন্তু নিঃ-উপসর্গ যোগ হয়ে সমাসবদ্ধ হলে শব্দের শেষে ঈ-কার থাকে না। তখন ধন, গুণ, মান, পাপ ইত্যাদি শব্দ সমানভাবে ব্যবহৃত হয়।
-
নেই ধন যার = নির্ধন
-
নেই গুণ যার = নির্গুণ
-
নেই পাপ যার = নিষ্পাপ
অতএব, নির্ধনী, নির্গুণী, নিষ্পাপী ইত্যাদি অশুদ্ধ রূপ।
কিছু সমাস সাধিত অশুদ্ধ ও শুদ্ধ শব্দের প্রয়োগ নিচে দেওয়া হলো—
-
অশুদ্ধ: পিতাহারা → শুদ্ধ: পিতৃহারা
-
অশুদ্ধ: যুবরাজা → শুদ্ধ: যুবরাজ
-
অশুদ্ধ: মহিমামণ্ডিত → শুদ্ধ: মহিমমণ্ডিত
-
অশুদ্ধ: রাজাগণ → শুদ্ধ: রাজগণ
-
অশুদ্ধ: মাতাজাতি → শুদ্ধ: মাতৃজাতি
-
অশুদ্ধ: সুবুদ্ধিমান → শুদ্ধ: সুবুদ্ধি
-
অশুদ্ধ: নির্দোষী → শুদ্ধ: নির্দোষ
-
অশুদ্ধ: অর্ধরাত্রি → শুদ্ধ: অর্ধরাত্র
-
অশুদ্ধ: নিরভিমানী → শুদ্ধ: নিরভিমান
-
অশুদ্ধ: দিবারাত্রি → শুদ্ধ: দিবারাত্র
-
অশুদ্ধ: নীরোগী → শুদ্ধ: নীরোগ
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago