A
ধ্বনিতত্ত্ব
B
রূপতত্ত্ব
C
বাক্যতত্ত্ব
D
অর্থতত্ত্ব
উত্তরের বিবরণ
ধ্বনিতত্ত্ব
ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় হলো ধ্বনি। লিখিত ভাষায় ধ্বনি প্রকাশ পায় বর্ণের মাধ্যমে। তাই বর্ণমালা সম্পর্কিত আলোচনা ধ্বনিতত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত। ধ্বনিতত্ত্ব মূলত আলোচনা করে বাগ্যন্ত্র, উচ্চারণ প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস, স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য এবং ধ্বনিদল নিয়ে।
ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়সমূহ
১. ধ্বনি
২. বর্ণ
৩. ধ্বনির উচ্চারণ প্রণালি
৪. উচ্চারণের স্থান
৫. ধ্বনি পরিবর্তন ও লোপ
৬. ষ-ত্ব বিধান
৭. ণ-ত্ব বিধান
৮. সন্ধি

0
Updated: 1 week ago
পাশাপাশি দুটি ধ্বনি বা বর্ণের মিলনকে কী বলে?
Created: 4 weeks ago
A
উপসর্গ
B
অনুসর্গ
C
সমাস
D
সন্ধি
উপসর্গ: সংস্কৃতে কতগুলো অব্যয় শব্দ আছে, এগুলো ধাতুর পূর্বে বসে এবং ধাতুর মূল ক্রিয়ার গতি নির্দেশ করে এর অর্থের প্রসারণ, সঙ্কোচন বা অন্য পরিবর্তন আনয়ন করে দেয়। এরূপ অব্যয় শব্দকে উপসর্গ বলে। অনুসর্গ: অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বাংলা ব্যাকরণের একটি পারিভাষিক শব্দ। বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদরূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলা হয়। সমাস: বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একটি পদে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সমাস বলে। বাংলা ভাষায় যে সকল প্রক্রিয়ায় নতুন পদ বা শব্দ তৈরি হয় সমাস তার একটি। সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে।
সন্ধি: সন্ধি বাংলা ব্যাকরণে শব্দগঠনের একটি মাধ্যম। এর অর্থ মিলন। অর্থাৎ, দুটি শব্দ মিলিয়ে একটি শব্দে পরিণত হওয়াকে বা পরস্পর সন্নিহিত দু' বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে।

0
Updated: 4 weeks ago
‘উন্নয়ন’ - এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
উন্ন + য়ন
B
উন্ + নয়ন
C
উৎ + নয়ন
D
উৎ + অয়ন
শব্দ: উন্নয়ন
-
সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ: উৎ + নয়ন = উন্নয়ন
অন্যান্য উদাহরণ:
-
উৎ + নতি = উন্নতি
-
উৎ + নত = উন্নত
-
উৎ + নীত = উন্নীত
-
উৎ + যোগ = উদ্যোগ
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মাহমুদ

0
Updated: 1 week ago
'রবীন্দ্র'-এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
রবী + ইন্দ্র
B
রবী + ঈন্দ্র
C
রবি + ইন্দ্র
D
রবি + ঈন্দ্র
সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ
‘রবীন্দ্র’ শব্দটির সন্ধি হলো – রবি + ইন্দ্র = রবীন্দ্র।
নিয়ম:
যখন ই-কার (ি) বা ঈ-কার (ী) এর পর আবার ই-কার (ি) বা ঈ-কার (ী) আসে, তখন এরা মিলিত হয়ে দীর্ঘ ঈ-কার (ী) হয়ে যায়। আর এই দীর্ঘ ঈ-কারটি পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
উদাহরণ:
-
সুধী + ইন্দ্র = সুধীন্দ্র
-
পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষা
-
সতী + ইন্দ্র = সতীন্দ্র
-
অতি + ইত = অতীত
অতএব, নিয়ম অনুযায়ী রবি + ইন্দ্র = রবীন্দ্র।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 week ago