A
ওজোন
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
অক্সিজেন
D
কার্বন মনো-অক্সাইড
No subjects available.
উত্তরের বিবরণ
পরিবেশ দূষণ (Environmental Pollution)
-
পরিবেশ দূষণ হলো সেই অবস্থা যখন প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট পদার্থ পরিবেশকে বিষময় করে, ফলে জীবজগতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
-
মাটি, পানি, বায়ু প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদানের ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব পরিবর্তন পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ।
-
দূষিত পদার্থের বৃদ্ধির ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়।
-
মানব কর্মকাণ্ডের কারণে ধরিত্রী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যেমন:
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়ন
-
অপরিকল্পিত শিল্পায়ন
-
বনজ সম্পদ ধ্বংস
-
বর্জ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা দুর্বল
-
নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট
-
ইটভাটা, ভূমিক্ষয়
-
যানবাহন ও রাসায়নিক সার, কীটনাশক অতিরিক্ত ব্যবহার
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব (Effects of Climate Change)
-
অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়ন জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ।
-
গ্রিনহাউস প্রভাবের কারণে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তাপমাত্রা বাড়ে, হিমালয়ের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
-
ফলে উপকূলবর্তী দেশসমূহ (বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ইত্যাদি) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
-
ভবিষ্যৎ প্রভাব:
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের উঁচু হওয়ার ফলে ভূমি বিলীন হওয়া
-
জীবন ও সম্পদের ক্ষতি
-
খরা, নদীর প্রবাহ হ্রাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস
-
পানযোগ্য পানির অভাব
-
মৎস্য সম্পদ ক্ষয়
-
ফসল উৎপাদন হ্রাস
-
অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্মক ক্ষতি
-
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো-
Created: 3 months ago
A
নাইট্রোজেন গ্যাস
B
মিথেন
C
হাইড্রোজেন গ্যাস
D
কার্বন মনোক্সাইড
প্রাকৃতিক গ্যাস
প্রাকৃতিক গ্যাস হলো শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, যা প্রধানত মিথেন গ্যাস দ্বারা গঠিত। এটি মূলত পেট্রোলিয়াম কূপ বা ভূগর্ভ থেকে উত্তোলন করা হয়। পৃথিবীর গভীরে তাপ ও চাপের প্রভাবে দীর্ঘ সময়ে এই গ্যাস তৈরি হয়।
এই গ্যাস জ্বালিয়ে তাপশক্তি উৎপন্ন করা যায়, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়—বিশেষ করে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। যেহেতু এটি ভূগর্ভে জমে থাকা জীবাশ্ম পদার্থ থেকে তৈরি হয়, তাই একে জীবাশ্ম শক্তির একটি রূপও বলা হয়।

0
Updated: 3 months ago
পৃথিবীর ভূ-ত্বকের মধ্যে কোন দুটি মৌলিক উপাদান সবচেয়ে বেশি থাকে?
Created: 1 week ago
A
লোহা ও কার্বন
B
অক্সিজেন ও সিলিকন
C
নাইট্রোজেন ও হিলিয়াম
D
হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেন
পৃথিবীর সৃষ্টির ইতিহাস
-
সৃষ্টির প্রথম অবস্থায় পৃথিবী ছিল জলন্ত গ্যাসপিণ্ড।
-
সময়ের সঙ্গে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে গ্যাসীয় অবস্থা তরল অবস্থায় রূপান্তরিত হয়।
-
ফলে ভারী পদার্থসমূহ কেন্দ্রে এবং হালকা পদার্থসমূহ উপরের দিকে জমা হয়ে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গঠনে ভিন্নতা সৃষ্টি হয়।
-
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ প্রায় ৬৪০০ কিলোমিটার।
-
পৃথিবীর বহিরাবরণকে ভূ-ত্বক বলা হয়, যা ভূ-ত্বকের নিচে অভ্যন্তরভাগ দ্বারা ঘেরা।
-
ভূ-বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মাত্র ০.৫% ভূ-অভ্যন্তর সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন।
-
পৃথিবী বিভিন্ন প্রকার খনিজ ও শিলা দ্বারা গঠিত।
ভূ-ত্বকের গঠন
-
পৃথিবীর উপরিভাগের শক্ত আবরণ ভূ-ত্বক, যা বিভিন্ন ধরনের খনিজ ও শিলা দ্বারা গঠিত।
-
ভূ-ত্বক হলো অশ্মমণ্ডলের উপরিভাগ, যেখানে অক্সিজেন ও সিলিকনের পরিমাণ বেশি।
-
আবিষ্কৃত মৌলিক উপাদানগুলোর মধ্যে ২০টি উপাদান ভূ-ত্বকের প্রায় ৯৯.৫% অংশ দখল করে।
-
ভূ-ত্বকের গভীরতা সর্বত্র সমান নয়; এর গড় গভীরতা প্রায় ২০ কিলোমিটার।
-
গ্রানাইট স্তরের গড় গভীরতা প্রায় ৮ কিলোমিটার।
-
ভূ-ত্বক গঠনকারী শিলারাশির ঘনত্ব ২.৭৫–৩.০ পর্যন্ত।
-
ভূ-ত্বকের উপরিভাগেই পৃথিবীর বহ্যিক দিক দেখা যায়, যেমন সমভূমি, মালভূমি, পাহাড়, পর্বত, নদী, হ্রদ, সাগর ও মহাসাগর।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
গ্রিন হাউজে গাছ লাগানো হয় কেন?
Created: 1 month ago
A
উষ্ণতা থেকে রক্ষার জন্য
B
অত্যধিক ঠাণ্ডা থেকে রক্ষার জন্য
C
আলো থেকে রক্ষার জন্য
D
ঝড়-বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য
গ্রিন হাউজ
-
শীতের সময় বেশি ঠান্ডা থেকে গাছকে বাঁচাতে কাঁচ দিয়ে তৈরি এক ধরনের ঘর বানানো হয়।
-
এই কাঁচের ঘরকে বলা হয় গ্রিন হাউজ।
-
এতে সূর্যের আলো ভেতরে ঢুকে ঘরের ভিতরটা গরম রাখে, যা গাছের জন্য উপকারি।
-
তাই ঠান্ডা জায়গায় গাছ বাঁচিয়ে রাখতে গ্রিন হাউজে গাছ লাগানো হয়।

0
Updated: 1 month ago