A
২৪ ঘন্টা
B
১৮ ঘন্টা ২৬ মিনিট
C
৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট
D
১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট
উত্তরের বিবরণ
জোয়ার-ভাঁটার সময় (Tides)
-
পৃথিবীর আহ্নিক ঘূর্ণনের কারণে প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাঁটার সৃষ্টি হয়।
-
পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে ২৪ ঘণ্টায় একবার তার অক্ষের চারপাশে ঘোরে।
-
চন্দ্রও নিজের কক্ষপথে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘোরে এবং পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করে।
চন্দ্র ও জোয়ারের সম্পর্ক
-
যদি চন্দ্র স্থির থাকত, তাহলে পৃথিবীর প্রতিটি স্থানে ২৪ ঘণ্টা অন্তর একটি মুখ্য জোয়ার হতো।
-
চন্দ্র সাড়ে ২৯ দিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে, তাই প্রতি দিন চন্দ্র ২৪ ঘণ্টায় ১৩° অগ্রসর হয়।
-
ফলে, পৃথিবীর সেই স্থানে মুখ্য জোয়ার ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট পরে আসে।
মুখ্য ও গৌণ জোয়ার
-
একটি মুখ্য জোয়ার শেষ হওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট পরে আসে সেই স্থানে গৌণ জোয়ার।
-
প্রতিটি স্থানের প্রায় ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পরে ভাঁটা (Low tide) ঘটে।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
ওজোন স্তরের প্রধান কাজ কী?
Created: 1 week ago
A
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করা
B
বাতাসে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করা
C
বৃষ্টিপাত সৃষ্টি করা
D
ভূমিকম্প প্রতিরোধ করা
স্ট্রাটোমণ্ডল (Stratosphere)
-
বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তর হলো স্ট্রাটোমণ্ডল।
-
এটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
স্তরের শেষ সীমাকে স্ট্রাটোবিরতি (Stratopause) বলা হয়।
-
প্রথম ২০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকে, এরপর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।
-
স্ট্রাটোবিরতিতে তাপমাত্রা প্রায় ০° সেলসিয়াস।
-
এই স্তরে বায়ুর ঘনত্ব ও চাপ উভয়ই কম, এবং জলীয়বাষ্প ও ধূলিকণার পরিমাণ নগন্য।
-
প্রায় মেঘশূন্য হওয়ায় ঝড়-বৃষ্টি থাকে না।
-
বায়ু অত্যন্ত হালকা এবং সমান্তরাল গতি দেখা যায়; উর্ধ্ব বা নিম্ন গতি নেই।
-
স্ট্রাটোমণ্ডলের উপরের দিকে ওজোন (Ozone) গ্যাসের স্তর রয়েছে, যা ওজোন মণ্ডল (Ozonesphere) নামে পরিচিত।
-
ওজোন স্তরের গভীরতা প্রায় ১২–১৬ কিলোমিটার।
-
এটি সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি (Ultraviolet Rays) শোষণ করে, যা জীবজগতের জন্য ক্ষতিকর।
-
এই স্তরের কারণে পৃথিবীতে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি পৌঁছাতে পারে না।
-
ওজোন স্তর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করায় এই অঞ্চলের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে উচ্চ (প্রায় ৭৬০° সেলসিয়াস)।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে?
Created: 1 week ago
A
ওজোন
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
অক্সিজেন
D
কার্বন মনো-অক্সাইড
সাধারণ বিজ্ঞান
ইতিহাস
গ্রিন হাউস
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন
বায়ুমণ্ডল
মাটি, পানি, তেল, গ্যাস
No subjects available.
পরিবেশ দূষণ (Environmental Pollution)
-
পরিবেশ দূষণ হলো সেই অবস্থা যখন প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট পদার্থ পরিবেশকে বিষময় করে, ফলে জীবজগতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
-
মাটি, পানি, বায়ু প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদানের ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব পরিবর্তন পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ।
-
দূষিত পদার্থের বৃদ্ধির ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়।
-
মানব কর্মকাণ্ডের কারণে ধরিত্রী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যেমন:
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়ন
-
অপরিকল্পিত শিল্পায়ন
-
বনজ সম্পদ ধ্বংস
-
বর্জ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা দুর্বল
-
নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট
-
ইটভাটা, ভূমিক্ষয়
-
যানবাহন ও রাসায়নিক সার, কীটনাশক অতিরিক্ত ব্যবহার
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব (Effects of Climate Change)
-
অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়ন জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ।
-
গ্রিনহাউস প্রভাবের কারণে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তাপমাত্রা বাড়ে, হিমালয়ের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
-
ফলে উপকূলবর্তী দেশসমূহ (বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ইত্যাদি) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
-
ভবিষ্যৎ প্রভাব:
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের উঁচু হওয়ার ফলে ভূমি বিলীন হওয়া
-
জীবন ও সম্পদের ক্ষতি
-
খরা, নদীর প্রবাহ হ্রাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস
-
পানযোগ্য পানির অভাব
-
মৎস্য সম্পদ ক্ষয়
-
ফসল উৎপাদন হ্রাস
-
অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্মক ক্ষতি
-
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
একটি অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে কমপক্ষে কত শতাংশ বনভূমি থাকা উচিত?
Created: 1 week ago
A
১৫%
B
২৫%
C
২০%
D
৩০%
সাধারণ বিজ্ঞান
অঞ্চলভিত্তিক ভৌত পরিবেশ
ইতিহাস
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন
প্রাকৃতিক দুর্যোগ
No subjects available.
বনের পরিবেশগত গুরুত্ব
-
কোনো এলাকার আবহাওয়া তার বনাঞ্চলের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়।
-
প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য একটি অঞ্চলে অন্তত ২৫% বনভূমি থাকা অত্যাবশ্যক।
-
বনের বৃক্ষরাজি সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অক্সিজেন উৎপাদন করে পরিবেশ নির্মল রাখে এবং বায়ুমণ্ডলের অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে গ্রীনহাউস গ্যাসের বিরূপ প্রভাব কমায়।
-
বনের গাছপালা বায়ুমণ্ডলে জলীয়বাষ্পের আধিক্য ঘটায়, ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
-
যেখানে গাছপালা কম, সেখানে মরুকরণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
-
গাছপালা মাটিতে জৈব পদার্থের সংযোজন ঘটায়, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে এবং প্রাণিজগতের খাদ্য শৃঙ্খলের ভারসাম্য রক্ষা করে।
উৎস: কৃষিশিক্ষা দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago