এক মুখ্য জোয়ারের প্রায় কত সময় পর গৌণ জোয়ার ঘটে?
A
২৪ ঘন্টা
B
১৮ ঘন্টা ২৬ মিনিট
C
৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট
D
১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট
উত্তরের বিবরণ
জোয়ার-ভাঁটার সময় (Tides)
-
পৃথিবীর আহ্নিক ঘূর্ণনের কারণে প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাঁটার সৃষ্টি হয়।
-
পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে ২৪ ঘণ্টায় একবার তার অক্ষের চারপাশে ঘোরে।
-
চন্দ্রও নিজের কক্ষপথে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘোরে এবং পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করে।
চন্দ্র ও জোয়ারের সম্পর্ক
-
যদি চন্দ্র স্থির থাকত, তাহলে পৃথিবীর প্রতিটি স্থানে ২৪ ঘণ্টা অন্তর একটি মুখ্য জোয়ার হতো।
-
চন্দ্র সাড়ে ২৯ দিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে, তাই প্রতি দিন চন্দ্র ২৪ ঘণ্টায় ১৩° অগ্রসর হয়।
-
ফলে, পৃথিবীর সেই স্থানে মুখ্য জোয়ার ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট পরে আসে।
মুখ্য ও গৌণ জোয়ার
-
একটি মুখ্য জোয়ার শেষ হওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট পরে আসে সেই স্থানে গৌণ জোয়ার।
-
প্রতিটি স্থানের প্রায় ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পরে ভাঁটা (Low tide) ঘটে।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে?
Created: 1 month ago
A
ওজোন
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
অক্সিজেন
D
কার্বন মনো-অক্সাইড
পরিবেশ দূষণ (Environmental Pollution)
-
পরিবেশ দূষণ হলো সেই অবস্থা যখন প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট পদার্থ পরিবেশকে বিষময় করে, ফলে জীবজগতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
-
মাটি, পানি, বায়ু প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদানের ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব পরিবর্তন পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ।
-
দূষিত পদার্থের বৃদ্ধির ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়।
-
মানব কর্মকাণ্ডের কারণে ধরিত্রী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যেমন:
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়ন
-
অপরিকল্পিত শিল্পায়ন
-
বনজ সম্পদ ধ্বংস
-
বর্জ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা দুর্বল
-
নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট
-
ইটভাটা, ভূমিক্ষয়
-
যানবাহন ও রাসায়নিক সার, কীটনাশক অতিরিক্ত ব্যবহার
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব (Effects of Climate Change)
-
অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়ন জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ।
-
গ্রিনহাউস প্রভাবের কারণে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তাপমাত্রা বাড়ে, হিমালয়ের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
-
ফলে উপকূলবর্তী দেশসমূহ (বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ইত্যাদি) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
-
ভবিষ্যৎ প্রভাব:
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের উঁচু হওয়ার ফলে ভূমি বিলীন হওয়া
-
জীবন ও সম্পদের ক্ষতি
-
খরা, নদীর প্রবাহ হ্রাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস
-
পানযোগ্য পানির অভাব
-
মৎস্য সম্পদ ক্ষয়
-
ফসল উৎপাদন হ্রাস
-
অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্মক ক্ষতি
-
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
পৃথিবীর ভূ-ত্বকের মধ্যে কোন দুটি মৌলিক উপাদান সবচেয়ে বেশি থাকে?
Created: 1 month ago
A
লোহা ও কার্বন
B
অক্সিজেন ও সিলিকন
C
নাইট্রোজেন ও হিলিয়াম
D
হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেন
পৃথিবীর সৃষ্টির ইতিহাস
-
সৃষ্টির প্রথম অবস্থায় পৃথিবী ছিল জলন্ত গ্যাসপিণ্ড।
-
সময়ের সঙ্গে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে গ্যাসীয় অবস্থা তরল অবস্থায় রূপান্তরিত হয়।
-
ফলে ভারী পদার্থসমূহ কেন্দ্রে এবং হালকা পদার্থসমূহ উপরের দিকে জমা হয়ে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গঠনে ভিন্নতা সৃষ্টি হয়।
-
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ প্রায় ৬৪০০ কিলোমিটার।
-
পৃথিবীর বহিরাবরণকে ভূ-ত্বক বলা হয়, যা ভূ-ত্বকের নিচে অভ্যন্তরভাগ দ্বারা ঘেরা।
-
ভূ-বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মাত্র ০.৫% ভূ-অভ্যন্তর সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন।
-
পৃথিবী বিভিন্ন প্রকার খনিজ ও শিলা দ্বারা গঠিত।
ভূ-ত্বকের গঠন
-
পৃথিবীর উপরিভাগের শক্ত আবরণ ভূ-ত্বক, যা বিভিন্ন ধরনের খনিজ ও শিলা দ্বারা গঠিত।
-
ভূ-ত্বক হলো অশ্মমণ্ডলের উপরিভাগ, যেখানে অক্সিজেন ও সিলিকনের পরিমাণ বেশি।
-
আবিষ্কৃত মৌলিক উপাদানগুলোর মধ্যে ২০টি উপাদান ভূ-ত্বকের প্রায় ৯৯.৫% অংশ দখল করে।
-
ভূ-ত্বকের গভীরতা সর্বত্র সমান নয়; এর গড় গভীরতা প্রায় ২০ কিলোমিটার।
-
গ্রানাইট স্তরের গড় গভীরতা প্রায় ৮ কিলোমিটার।
-
ভূ-ত্বক গঠনকারী শিলারাশির ঘনত্ব ২.৭৫–৩.০ পর্যন্ত।
-
ভূ-ত্বকের উপরিভাগেই পৃথিবীর বহ্যিক দিক দেখা যায়, যেমন সমভূমি, মালভূমি, পাহাড়, পর্বত, নদী, হ্রদ, সাগর ও মহাসাগর।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
সুনামি কোথায় সংঘটিত হয়?
Created: 1 month ago
A
পাহাড়ে
B
মরুভূমিতে
C
নদীতে
D
সমুদ্রের তলদেশে
সুনামি (Tsunami)
-
Tsunami একটি জাপানি শব্দ, যেখানে ‘সু’ অর্থ বন্দর এবং ‘নামি’ অর্থ ঢেউ। অর্থাৎ, সুনামি শব্দের মানে হলো বন্দরের ঢেউ। এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
-
সমুদ্রতলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস এবং নভোজাগতিক ঘটনা সুনামি সৃষ্টি করতে পারে।
-
সুনামি প্রাকৃতিক দুর্যোগটি সাধারণত শুধুমাত্র সাগরে সংঘটিত হয়।
-
সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হলে সুনামি ঘটে।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরের তলদেশে একটি ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে।
-
এই ট্র্যাক্টনিক ভূমিকম্প ইউরেশিয়ান প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষ থেকে সৃষ্টি হয়েছিল।
-
ভূমিকম্পের মাত্রা ৯ রিখটার স্কেলে পরিমাপ করা হয়।
-
এই জলোচ্ছাসে প্রায় তিন লাখের মতো মানুষ নিহত হয়, যার মধ্যে এক লাখ মানুষই ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার আচেহ প্রদেশে নিহত হয়।
-
অগভীর পানিতে সুনামি শক্তি হারায়, অর্থাৎ কমে যায়।
-
বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার অগভীর পানি বাংলাদেশকে সুনামির প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago