নিচের কোনটি বারিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত নয়?
A
পর্বত
B
নদী
C
সাগর
D
মহাসাগর
উত্তরের বিবরণ
বারিমণ্ডল (Hydrosphere)
-
পৃথিবী বর্তুলাকার, এবং এর ভূ-ভাগকে দুইটি অংশে ভাগ করা যায়: স্থলভাগ ও জলভাগ।
-
পৃথিবীর জলভাগই হলো বারিমণ্ডল।
-
ইংরেজিতে এর প্রতিশব্দ Hydrosphere, যেখানে Hydro অর্থ পানি এবং Sphere অর্থ ক্ষেত্র। অর্থাৎ, Hydrosphere মানে পানির ক্ষেত্র বা আধার।
-
বারিমণ্ডল বলতে ভূ-ত্বকের অবনমিত অংশে থাকা বিশাল পানিরাশি বোঝায়।
-
পানি একটি যৌগিক পদার্থ, যা অক্সিজেন (O) এবং হাইড্রোজেন (H) এর সমন্বয়ে H₂O গঠিত।
-
মহাসাগর, সাগর, উপসাগর, হ্রদ, নদী ইত্যাদি মিলিতভাবে বারিমণ্ডল গঠন করে।
বারিমণ্ডলের প্রধান জলাধারসমূহ
-
মহাসাগর (Ocean):
-
পৃথিবীর পৃষ্ঠের বিশাল আকৃতির পানির আধার।
-
উদাহরণ: প্রশান্ত মহাসাগর।
-
-
সাগর (Sea):
-
ছোট আয়তনের উন্মুক্ত পানিরাশি, যা মহাসাগরের তুলনায় ছোট।
-
উদাহরণ: আরব সাগর।
-
-
উপসাগর (Bay or Gulf):
-
তিনদিকে স্থল দ্বারা বেষ্টিত পানিরাশি।
-
উদাহরণ: বঙ্গোপসাগর।
-
-
হ্রদ (Lake):
-
চারদিকে স্থল দ্বারা বেষ্টিত পানিরাশি।
-
উদাহরণ: বৈকাল হ্রদ।
-
-
নদী (River):
-
উঁচু পর্বত বা মালভূমি থেকে হিমবাহ, বরফগলা পানি বা বৃষ্টির জল মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ভূমির ঢাল বরাবর প্রবাহিত হয়ে জলাশয়, হ্রদ বা সমুদ্রে পৌঁছায়।
-
উদাহরণ: পদ্মা নদী।
-
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
মহাজাগতিক রশ্মি বলতে কী বোঝায়?
Created: 1 month ago
A
চাঁদের আলোক
B
সৌরশক্তির তেজস্ক্রিয় বিকিরণ
C
মহাশূন্য থেকে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশকারী উচ্চ শক্তিসম্পন্ন কণাসমূহ
D
বায়ুমণ্ডলে গঠিত গ্যাসীয় কণা
মহাজাগতিক রশ্মি (Cosmic Rays)
-
মহাজাগতিক রশ্মি বা ইংরেজিতে Cosmic rays হলো মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশকারী উচ্চ শক্তিসম্পন্ন আহিত কণাসমূহ।
-
অস্ট্রীয়-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস বেলুনের মাধ্যমে বহনযোগ্য যন্ত্র ব্যবহার করে প্রমাণ করেন যে এই বিকিরণ পরিবেশকে আয়নিত করে এবং এর উৎস মহাজাগতিক।
-
মহাজাগতিক রশ্মি আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯৩৬ সালে বিজ্ঞানী কার্ল ডেভিড অ্যান্ডারসনের সঙ্গে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
উৎস: ব্রিটানিকা ও নোবেল পুরস্কার ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
ফোটন কণার নিশ্চল ভর কত?
Created: 1 month ago
A
১ কেজি
B
৯.৮ নিউটন
C
শূন্য
D
অসীম
ফোটন কণা (Photon Particle)
-
ফোটন কণা তাড়িতচৌম্বক বল বহন করে।
-
ফোটনের নিঃশ্চল ভর শূন্য (0)।
-
প্রতিটি কোয়ান্টাম তার বা শক্তি তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের কম্পাংকের উপর নির্ভরশীল।
-
কোয়ান্টাম তত্ত্ব অনুযায়ী, তাড়িতচৌম্বক বিকিরণ তরঙ্গধর্মী নয়, বরং এটি এক ধরণের কণার স্রোত, যাকে ফোটন (Photon) বলা হয়।
ফোটন কণার ধর্মসমূহ
-
প্রতিটি ফোটন কণাই তড়িৎ নিরপেক্ষ।
-
শূন্য মাধ্যমে প্রতিটি ফোটন কণাই আলোর বেগে (C = 3×10⁸ m/s) চলাচল করে। কোনো ঘটনাতেই এর বেগ হ্রাস বা বৃদ্ধি পায় না।
-
প্রতি ফোটন দ্বারা বহিত শক্তি:
যেখানে,
-
= বিবিরণের কম্পাংক
-
= প্লাংকের ধ্রুবক
-
ফোটনের স্রোতে কণার সংখ্যা যত বেশি, বাহিত শক্তির পরিমাণ তত বেশি, ফলে বিকিরণের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
-
-
নিউটনীয় বলবিদ্যায় ফোটনের ভর ব্যাখ্যা করা যায় না। ফোটনের স্থির ভর শূন্য হিসেবে ধরা হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে?
Created: 1 month ago
A
ওজোন
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
অক্সিজেন
D
কার্বন মনো-অক্সাইড
পরিবেশ দূষণ (Environmental Pollution)
-
পরিবেশ দূষণ হলো সেই অবস্থা যখন প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট পদার্থ পরিবেশকে বিষময় করে, ফলে জীবজগতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
-
মাটি, পানি, বায়ু প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদানের ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব পরিবর্তন পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ।
-
দূষিত পদার্থের বৃদ্ধির ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়।
-
মানব কর্মকাণ্ডের কারণে ধরিত্রী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যেমন:
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়ন
-
অপরিকল্পিত শিল্পায়ন
-
বনজ সম্পদ ধ্বংস
-
বর্জ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা দুর্বল
-
নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট
-
ইটভাটা, ভূমিক্ষয়
-
যানবাহন ও রাসায়নিক সার, কীটনাশক অতিরিক্ত ব্যবহার
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব (Effects of Climate Change)
-
অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়ন জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ।
-
গ্রিনহাউস প্রভাবের কারণে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তাপমাত্রা বাড়ে, হিমালয়ের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
-
ফলে উপকূলবর্তী দেশসমূহ (বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ইত্যাদি) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
-
ভবিষ্যৎ প্রভাব:
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের উঁচু হওয়ার ফলে ভূমি বিলীন হওয়া
-
জীবন ও সম্পদের ক্ষতি
-
খরা, নদীর প্রবাহ হ্রাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস
-
পানযোগ্য পানির অভাব
-
মৎস্য সম্পদ ক্ষয়
-
ফসল উৎপাদন হ্রাস
-
অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্মক ক্ষতি
-
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago