A
চৌম্বক শক্তির কারণে
B
ভর বৃদ্ধির কারণে
C
পৃথিবীর মহাকর্ষ বলের কারণে
D
পৃথিবীর সবল বলের কারণে
No subjects available.
উত্তরের বিবরণ
মহাকর্ষ (Gravity)
-
যখন কোনো বস্তুকে উপরের দিকে ছোঁড়া হয়, এটি আবার নিচে ফিরে আসে, কারণ পৃথিবীর মহাকর্ষ বল তার প্রতি কাজ করে।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
লাফ দিয়ে উপরের দিকে উঠলে আমরা অনেক দূর যেতে পারি না এবং ফিরে এসে মাটিতে নামি।
-
গাছের ফল মাটিতে পড়ে।
-
ক্রিকেট বল উপরের দিকে ছুঁড়ে দিলে মাটিতে পড়ে।
-
-
এর অর্থ, পৃথিবী সব বস্তুকে তার দিকে টানে বা আকর্ষণ করে।
-
শুধু পৃথিবী নয়, মহাবিশ্বের সকল বস্তুকণাই একে অপরকে টানে।
-
যে আকর্ষণ দুই বস্তুর মধ্যে কাজ করে, তাকে মহাকর্ষ বল বলা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি।

0
Updated: 1 week ago
এক মুখ্য জোয়ারের প্রায় কত সময় পর গৌণ জোয়ার ঘটে?
Created: 1 week ago
A
২৪ ঘন্টা
B
১৮ ঘন্টা ২৬ মিনিট
C
৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট
D
১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট
জোয়ার-ভাঁটার সময় (Tides)
-
পৃথিবীর আহ্নিক ঘূর্ণনের কারণে প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাঁটার সৃষ্টি হয়।
-
পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে ২৪ ঘণ্টায় একবার তার অক্ষের চারপাশে ঘোরে।
-
চন্দ্রও নিজের কক্ষপথে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘোরে এবং পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করে।
চন্দ্র ও জোয়ারের সম্পর্ক
-
যদি চন্দ্র স্থির থাকত, তাহলে পৃথিবীর প্রতিটি স্থানে ২৪ ঘণ্টা অন্তর একটি মুখ্য জোয়ার হতো।
-
চন্দ্র সাড়ে ২৯ দিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে, তাই প্রতি দিন চন্দ্র ২৪ ঘণ্টায় ১৩° অগ্রসর হয়।
-
ফলে, পৃথিবীর সেই স্থানে মুখ্য জোয়ার ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট পরে আসে।
মুখ্য ও গৌণ জোয়ার
-
একটি মুখ্য জোয়ার শেষ হওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট পরে আসে সেই স্থানে গৌণ জোয়ার।
-
প্রতিটি স্থানের প্রায় ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পরে ভাঁটা (Low tide) ঘটে।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি বারিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত নয়?
Created: 1 week ago
A
পর্বত
B
নদী
C
সাগর
D
মহাসাগর
বারিমণ্ডল (Hydrosphere)
-
পৃথিবী বর্তুলাকার, এবং এর ভূ-ভাগকে দুইটি অংশে ভাগ করা যায়: স্থলভাগ ও জলভাগ।
-
পৃথিবীর জলভাগই হলো বারিমণ্ডল।
-
ইংরেজিতে এর প্রতিশব্দ Hydrosphere, যেখানে Hydro অর্থ পানি এবং Sphere অর্থ ক্ষেত্র। অর্থাৎ, Hydrosphere মানে পানির ক্ষেত্র বা আধার।
-
বারিমণ্ডল বলতে ভূ-ত্বকের অবনমিত অংশে থাকা বিশাল পানিরাশি বোঝায়।
-
পানি একটি যৌগিক পদার্থ, যা অক্সিজেন (O) এবং হাইড্রোজেন (H) এর সমন্বয়ে H₂O গঠিত।
-
মহাসাগর, সাগর, উপসাগর, হ্রদ, নদী ইত্যাদি মিলিতভাবে বারিমণ্ডল গঠন করে।
বারিমণ্ডলের প্রধান জলাধারসমূহ
-
মহাসাগর (Ocean):
-
পৃথিবীর পৃষ্ঠের বিশাল আকৃতির পানির আধার।
-
উদাহরণ: প্রশান্ত মহাসাগর।
-
-
সাগর (Sea):
-
ছোট আয়তনের উন্মুক্ত পানিরাশি, যা মহাসাগরের তুলনায় ছোট।
-
উদাহরণ: আরব সাগর।
-
-
উপসাগর (Bay or Gulf):
-
তিনদিকে স্থল দ্বারা বেষ্টিত পানিরাশি।
-
উদাহরণ: বঙ্গোপসাগর।
-
-
হ্রদ (Lake):
-
চারদিকে স্থল দ্বারা বেষ্টিত পানিরাশি।
-
উদাহরণ: বৈকাল হ্রদ।
-
-
নদী (River):
-
উঁচু পর্বত বা মালভূমি থেকে হিমবাহ, বরফগলা পানি বা বৃষ্টির জল মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ভূমির ঢাল বরাবর প্রবাহিত হয়ে জলাশয়, হ্রদ বা সমুদ্রে পৌঁছায়।
-
উদাহরণ: পদ্মা নদী।
-
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
পৃথিবীর ভূ-ত্বকের মধ্যে কোন দুটি মৌলিক উপাদান সবচেয়ে বেশি থাকে?
Created: 1 week ago
A
লোহা ও কার্বন
B
অক্সিজেন ও সিলিকন
C
নাইট্রোজেন ও হিলিয়াম
D
হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেন
পৃথিবীর সৃষ্টির ইতিহাস
-
সৃষ্টির প্রথম অবস্থায় পৃথিবী ছিল জলন্ত গ্যাসপিণ্ড।
-
সময়ের সঙ্গে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে গ্যাসীয় অবস্থা তরল অবস্থায় রূপান্তরিত হয়।
-
ফলে ভারী পদার্থসমূহ কেন্দ্রে এবং হালকা পদার্থসমূহ উপরের দিকে জমা হয়ে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গঠনে ভিন্নতা সৃষ্টি হয়।
-
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ প্রায় ৬৪০০ কিলোমিটার।
-
পৃথিবীর বহিরাবরণকে ভূ-ত্বক বলা হয়, যা ভূ-ত্বকের নিচে অভ্যন্তরভাগ দ্বারা ঘেরা।
-
ভূ-বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মাত্র ০.৫% ভূ-অভ্যন্তর সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন।
-
পৃথিবী বিভিন্ন প্রকার খনিজ ও শিলা দ্বারা গঠিত।
ভূ-ত্বকের গঠন
-
পৃথিবীর উপরিভাগের শক্ত আবরণ ভূ-ত্বক, যা বিভিন্ন ধরনের খনিজ ও শিলা দ্বারা গঠিত।
-
ভূ-ত্বক হলো অশ্মমণ্ডলের উপরিভাগ, যেখানে অক্সিজেন ও সিলিকনের পরিমাণ বেশি।
-
আবিষ্কৃত মৌলিক উপাদানগুলোর মধ্যে ২০টি উপাদান ভূ-ত্বকের প্রায় ৯৯.৫% অংশ দখল করে।
-
ভূ-ত্বকের গভীরতা সর্বত্র সমান নয়; এর গড় গভীরতা প্রায় ২০ কিলোমিটার।
-
গ্রানাইট স্তরের গড় গভীরতা প্রায় ৮ কিলোমিটার।
-
ভূ-ত্বক গঠনকারী শিলারাশির ঘনত্ব ২.৭৫–৩.০ পর্যন্ত।
-
ভূ-ত্বকের উপরিভাগেই পৃথিবীর বহ্যিক দিক দেখা যায়, যেমন সমভূমি, মালভূমি, পাহাড়, পর্বত, নদী, হ্রদ, সাগর ও মহাসাগর।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago