সুনামি কোথায় সংঘটিত হয়?
A
পাহাড়ে
B
মরুভূমিতে
C
নদীতে
D
সমুদ্রের তলদেশে
উত্তরের বিবরণ
সুনামি (Tsunami)
-
Tsunami একটি জাপানি শব্দ, যেখানে ‘সু’ অর্থ বন্দর এবং ‘নামি’ অর্থ ঢেউ। অর্থাৎ, সুনামি শব্দের মানে হলো বন্দরের ঢেউ। এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
-
সমুদ্রতলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস এবং নভোজাগতিক ঘটনা সুনামি সৃষ্টি করতে পারে।
-
সুনামি প্রাকৃতিক দুর্যোগটি সাধারণত শুধুমাত্র সাগরে সংঘটিত হয়।
-
সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হলে সুনামি ঘটে।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরের তলদেশে একটি ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে।
-
এই ট্র্যাক্টনিক ভূমিকম্প ইউরেশিয়ান প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষ থেকে সৃষ্টি হয়েছিল।
-
ভূমিকম্পের মাত্রা ৯ রিখটার স্কেলে পরিমাপ করা হয়।
-
এই জলোচ্ছাসে প্রায় তিন লাখের মতো মানুষ নিহত হয়, যার মধ্যে এক লাখ মানুষই ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার আচেহ প্রদেশে নিহত হয়।
-
অগভীর পানিতে সুনামি শক্তি হারায়, অর্থাৎ কমে যায়।
-
বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার অগভীর পানি বাংলাদেশকে সুনামির প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
সুনামি কোথায় সংঘটিত হয়?
Created: 1 month ago
A
মেরু অঞ্চলে
B
মরুভূমিতে
C
পাহাড়ে
D
সমুদ্রের তলদেশে
সুনামি হলো সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাত বা ভূমিধসের ফলে সৃষ্ট বিশাল ঢেউয়ের ধারা।
- সুনামি (Tsunami) জাপানি শব্দ।
- এর শাব্দিক অর্থ 'পোতাশ্রয়ের ঢেউ'।
- এখানে 'tsu' অর্থ বন্দর বা harbour এবং 'nami' অর্থ সামুদ্রিক ঢেউ।
- সমুদ্র তলদেশে প্রবল ভূমিকম্প সংঘটিত হলে সমুদরপৃষ্ঠে বিশাল যে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় তাকে সুনামি বলে।
- সুনামির সৃষ্টির প্রধান কারণ সমুদ্রের তলদেশের ভূমিকম্প।
- আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণেও সুনামি সৃষ্টি হয়ে থাকে। এছাড়া পারমানবিক বিস্ফোরণ, ভূমিধ্বস, উল্কাপিন্ডের পতন ইত্যাদি কারণেও সুনামি হতে পারে।
- সর্বপ্রথম সুনামির কথা লিপিবদ্ধ হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে।
উৎস: ভূগোল-১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
ফোটন কণার নিশ্চল ভর কত?
Created: 1 month ago
A
১ কেজি
B
৯.৮ নিউটন
C
শূন্য
D
অসীম
ফোটন কণা (Photon Particle)
-
ফোটন কণা তাড়িতচৌম্বক বল বহন করে।
-
ফোটনের নিঃশ্চল ভর শূন্য (0)।
-
প্রতিটি কোয়ান্টাম তার বা শক্তি তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের কম্পাংকের উপর নির্ভরশীল।
-
কোয়ান্টাম তত্ত্ব অনুযায়ী, তাড়িতচৌম্বক বিকিরণ তরঙ্গধর্মী নয়, বরং এটি এক ধরণের কণার স্রোত, যাকে ফোটন (Photon) বলা হয়।
ফোটন কণার ধর্মসমূহ
-
প্রতিটি ফোটন কণাই তড়িৎ নিরপেক্ষ।
-
শূন্য মাধ্যমে প্রতিটি ফোটন কণাই আলোর বেগে (C = 3×10⁸ m/s) চলাচল করে। কোনো ঘটনাতেই এর বেগ হ্রাস বা বৃদ্ধি পায় না।
-
প্রতি ফোটন দ্বারা বহিত শক্তি:
যেখানে,
-
= বিবিরণের কম্পাংক
-
= প্লাংকের ধ্রুবক
-
ফোটনের স্রোতে কণার সংখ্যা যত বেশি, বাহিত শক্তির পরিমাণ তত বেশি, ফলে বিকিরণের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
-
-
নিউটনীয় বলবিদ্যায় ফোটনের ভর ব্যাখ্যা করা যায় না। ফোটনের স্থির ভর শূন্য হিসেবে ধরা হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
পৃথিবী কোনো বস্তুকে উপরের দিকে ছুড়ে দিলে তা আবার নিচে পড়ে যায় কেন?
Created: 1 month ago
A
চৌম্বক শক্তির কারণে
B
ভর বৃদ্ধির কারণে
C
পৃথিবীর মহাকর্ষ বলের কারণে
D
পৃথিবীর সবল বলের কারণে
সাধারণ বিজ্ঞান
ইতিহাস
পৃথিবী পরিচিতি
পৃথিবী-Earth
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন
বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য
মহাকর্ষ (Gravity)
-
যখন কোনো বস্তুকে উপরের দিকে ছোঁড়া হয়, এটি আবার নিচে ফিরে আসে, কারণ পৃথিবীর মহাকর্ষ বল তার প্রতি কাজ করে।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
লাফ দিয়ে উপরের দিকে উঠলে আমরা অনেক দূর যেতে পারি না এবং ফিরে এসে মাটিতে নামি।
-
গাছের ফল মাটিতে পড়ে।
-
ক্রিকেট বল উপরের দিকে ছুঁড়ে দিলে মাটিতে পড়ে।
-
-
এর অর্থ, পৃথিবী সব বস্তুকে তার দিকে টানে বা আকর্ষণ করে।
-
শুধু পৃথিবী নয়, মহাবিশ্বের সকল বস্তুকণাই একে অপরকে টানে।
-
যে আকর্ষণ দুই বস্তুর মধ্যে কাজ করে, তাকে মহাকর্ষ বল বলা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago