A
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করা
B
বাতাসে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করা
C
বৃষ্টিপাত সৃষ্টি করা
D
ভূমিকম্প প্রতিরোধ করা
উত্তরের বিবরণ
স্ট্রাটোমণ্ডল (Stratosphere)
-
বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তর হলো স্ট্রাটোমণ্ডল।
-
এটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
স্তরের শেষ সীমাকে স্ট্রাটোবিরতি (Stratopause) বলা হয়।
-
প্রথম ২০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকে, এরপর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।
-
স্ট্রাটোবিরতিতে তাপমাত্রা প্রায় ০° সেলসিয়াস।
-
এই স্তরে বায়ুর ঘনত্ব ও চাপ উভয়ই কম, এবং জলীয়বাষ্প ও ধূলিকণার পরিমাণ নগন্য।
-
প্রায় মেঘশূন্য হওয়ায় ঝড়-বৃষ্টি থাকে না।
-
বায়ু অত্যন্ত হালকা এবং সমান্তরাল গতি দেখা যায়; উর্ধ্ব বা নিম্ন গতি নেই।
-
স্ট্রাটোমণ্ডলের উপরের দিকে ওজোন (Ozone) গ্যাসের স্তর রয়েছে, যা ওজোন মণ্ডল (Ozonesphere) নামে পরিচিত।
-
ওজোন স্তরের গভীরতা প্রায় ১২–১৬ কিলোমিটার।
-
এটি সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি (Ultraviolet Rays) শোষণ করে, যা জীবজগতের জন্য ক্ষতিকর।
-
এই স্তরের কারণে পৃথিবীতে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি পৌঁছাতে পারে না।
-
ওজোন স্তর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করায় এই অঞ্চলের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে উচ্চ (প্রায় ৭৬০° সেলসিয়াস)।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
পৃথিবীর ভূ-ত্বকের মধ্যে কোন দুটি মৌলিক উপাদান সবচেয়ে বেশি থাকে?
Created: 1 week ago
A
লোহা ও কার্বন
B
অক্সিজেন ও সিলিকন
C
নাইট্রোজেন ও হিলিয়াম
D
হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেন
পৃথিবীর সৃষ্টির ইতিহাস
-
সৃষ্টির প্রথম অবস্থায় পৃথিবী ছিল জলন্ত গ্যাসপিণ্ড।
-
সময়ের সঙ্গে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে গ্যাসীয় অবস্থা তরল অবস্থায় রূপান্তরিত হয়।
-
ফলে ভারী পদার্থসমূহ কেন্দ্রে এবং হালকা পদার্থসমূহ উপরের দিকে জমা হয়ে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গঠনে ভিন্নতা সৃষ্টি হয়।
-
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ প্রায় ৬৪০০ কিলোমিটার।
-
পৃথিবীর বহিরাবরণকে ভূ-ত্বক বলা হয়, যা ভূ-ত্বকের নিচে অভ্যন্তরভাগ দ্বারা ঘেরা।
-
ভূ-বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মাত্র ০.৫% ভূ-অভ্যন্তর সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন।
-
পৃথিবী বিভিন্ন প্রকার খনিজ ও শিলা দ্বারা গঠিত।
ভূ-ত্বকের গঠন
-
পৃথিবীর উপরিভাগের শক্ত আবরণ ভূ-ত্বক, যা বিভিন্ন ধরনের খনিজ ও শিলা দ্বারা গঠিত।
-
ভূ-ত্বক হলো অশ্মমণ্ডলের উপরিভাগ, যেখানে অক্সিজেন ও সিলিকনের পরিমাণ বেশি।
-
আবিষ্কৃত মৌলিক উপাদানগুলোর মধ্যে ২০টি উপাদান ভূ-ত্বকের প্রায় ৯৯.৫% অংশ দখল করে।
-
ভূ-ত্বকের গভীরতা সর্বত্র সমান নয়; এর গড় গভীরতা প্রায় ২০ কিলোমিটার।
-
গ্রানাইট স্তরের গড় গভীরতা প্রায় ৮ কিলোমিটার।
-
ভূ-ত্বক গঠনকারী শিলারাশির ঘনত্ব ২.৭৫–৩.০ পর্যন্ত।
-
ভূ-ত্বকের উপরিভাগেই পৃথিবীর বহ্যিক দিক দেখা যায়, যেমন সমভূমি, মালভূমি, পাহাড়, পর্বত, নদী, হ্রদ, সাগর ও মহাসাগর।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
একটি অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে কমপক্ষে কত শতাংশ বনভূমি থাকা উচিত?
Created: 1 week ago
A
১৫%
B
২৫%
C
২০%
D
৩০%
সাধারণ বিজ্ঞান
অঞ্চলভিত্তিক ভৌত পরিবেশ
ইতিহাস
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন
প্রাকৃতিক দুর্যোগ
No subjects available.
বনের পরিবেশগত গুরুত্ব
-
কোনো এলাকার আবহাওয়া তার বনাঞ্চলের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়।
-
প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য একটি অঞ্চলে অন্তত ২৫% বনভূমি থাকা অত্যাবশ্যক।
-
বনের বৃক্ষরাজি সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অক্সিজেন উৎপাদন করে পরিবেশ নির্মল রাখে এবং বায়ুমণ্ডলের অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে গ্রীনহাউস গ্যাসের বিরূপ প্রভাব কমায়।
-
বনের গাছপালা বায়ুমণ্ডলে জলীয়বাষ্পের আধিক্য ঘটায়, ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
-
যেখানে গাছপালা কম, সেখানে মরুকরণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
-
গাছপালা মাটিতে জৈব পদার্থের সংযোজন ঘটায়, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে এবং প্রাণিজগতের খাদ্য শৃঙ্খলের ভারসাম্য রক্ষা করে।
উৎস: কৃষিশিক্ষা দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
সুনামি কোথায় সংঘটিত হয়?
Created: 1 week ago
A
পাহাড়ে
B
মরুভূমিতে
C
নদীতে
D
সমুদ্রের তলদেশে
সুনামি (Tsunami)
-
Tsunami একটি জাপানি শব্দ, যেখানে ‘সু’ অর্থ বন্দর এবং ‘নামি’ অর্থ ঢেউ। অর্থাৎ, সুনামি শব্দের মানে হলো বন্দরের ঢেউ। এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
-
সমুদ্রতলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস এবং নভোজাগতিক ঘটনা সুনামি সৃষ্টি করতে পারে।
-
সুনামি প্রাকৃতিক দুর্যোগটি সাধারণত শুধুমাত্র সাগরে সংঘটিত হয়।
-
সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হলে সুনামি ঘটে।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরের তলদেশে একটি ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে।
-
এই ট্র্যাক্টনিক ভূমিকম্প ইউরেশিয়ান প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষ থেকে সৃষ্টি হয়েছিল।
-
ভূমিকম্পের মাত্রা ৯ রিখটার স্কেলে পরিমাপ করা হয়।
-
এই জলোচ্ছাসে প্রায় তিন লাখের মতো মানুষ নিহত হয়, যার মধ্যে এক লাখ মানুষই ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার আচেহ প্রদেশে নিহত হয়।
-
অগভীর পানিতে সুনামি শক্তি হারায়, অর্থাৎ কমে যায়।
-
বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার অগভীর পানি বাংলাদেশকে সুনামির প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 week ago