A
চাঁদের আলোক
B
সৌরশক্তির তেজস্ক্রিয় বিকিরণ
C
মহাশূন্য থেকে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশকারী উচ্চ শক্তিসম্পন্ন কণাসমূহ
D
বায়ুমণ্ডলে গঠিত গ্যাসীয় কণা
উত্তরের বিবরণ
মহাজাগতিক রশ্মি (Cosmic Rays)
-
মহাজাগতিক রশ্মি বা ইংরেজিতে Cosmic rays হলো মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশকারী উচ্চ শক্তিসম্পন্ন আহিত কণাসমূহ।
-
অস্ট্রীয়-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস বেলুনের মাধ্যমে বহনযোগ্য যন্ত্র ব্যবহার করে প্রমাণ করেন যে এই বিকিরণ পরিবেশকে আয়নিত করে এবং এর উৎস মহাজাগতিক।
-
মহাজাগতিক রশ্মি আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯৩৬ সালে বিজ্ঞানী কার্ল ডেভিড অ্যান্ডারসনের সঙ্গে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
উৎস: ব্রিটানিকা ও নোবেল পুরস্কার ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
পৃথিবীর ভূ-ত্বকের মধ্যে কোন দুটি মৌলিক উপাদান সবচেয়ে বেশি থাকে?
Created: 1 week ago
A
লোহা ও কার্বন
B
অক্সিজেন ও সিলিকন
C
নাইট্রোজেন ও হিলিয়াম
D
হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেন
পৃথিবীর সৃষ্টির ইতিহাস
-
সৃষ্টির প্রথম অবস্থায় পৃথিবী ছিল জলন্ত গ্যাসপিণ্ড।
-
সময়ের সঙ্গে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে গ্যাসীয় অবস্থা তরল অবস্থায় রূপান্তরিত হয়।
-
ফলে ভারী পদার্থসমূহ কেন্দ্রে এবং হালকা পদার্থসমূহ উপরের দিকে জমা হয়ে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গঠনে ভিন্নতা সৃষ্টি হয়।
-
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ প্রায় ৬৪০০ কিলোমিটার।
-
পৃথিবীর বহিরাবরণকে ভূ-ত্বক বলা হয়, যা ভূ-ত্বকের নিচে অভ্যন্তরভাগ দ্বারা ঘেরা।
-
ভূ-বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মাত্র ০.৫% ভূ-অভ্যন্তর সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন।
-
পৃথিবী বিভিন্ন প্রকার খনিজ ও শিলা দ্বারা গঠিত।
ভূ-ত্বকের গঠন
-
পৃথিবীর উপরিভাগের শক্ত আবরণ ভূ-ত্বক, যা বিভিন্ন ধরনের খনিজ ও শিলা দ্বারা গঠিত।
-
ভূ-ত্বক হলো অশ্মমণ্ডলের উপরিভাগ, যেখানে অক্সিজেন ও সিলিকনের পরিমাণ বেশি।
-
আবিষ্কৃত মৌলিক উপাদানগুলোর মধ্যে ২০টি উপাদান ভূ-ত্বকের প্রায় ৯৯.৫% অংশ দখল করে।
-
ভূ-ত্বকের গভীরতা সর্বত্র সমান নয়; এর গড় গভীরতা প্রায় ২০ কিলোমিটার।
-
গ্রানাইট স্তরের গড় গভীরতা প্রায় ৮ কিলোমিটার।
-
ভূ-ত্বক গঠনকারী শিলারাশির ঘনত্ব ২.৭৫–৩.০ পর্যন্ত।
-
ভূ-ত্বকের উপরিভাগেই পৃথিবীর বহ্যিক দিক দেখা যায়, যেমন সমভূমি, মালভূমি, পাহাড়, পর্বত, নদী, হ্রদ, সাগর ও মহাসাগর।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি বারিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত নয়?
Created: 1 week ago
A
পর্বত
B
নদী
C
সাগর
D
মহাসাগর
বারিমণ্ডল (Hydrosphere)
-
পৃথিবী বর্তুলাকার, এবং এর ভূ-ভাগকে দুইটি অংশে ভাগ করা যায়: স্থলভাগ ও জলভাগ।
-
পৃথিবীর জলভাগই হলো বারিমণ্ডল।
-
ইংরেজিতে এর প্রতিশব্দ Hydrosphere, যেখানে Hydro অর্থ পানি এবং Sphere অর্থ ক্ষেত্র। অর্থাৎ, Hydrosphere মানে পানির ক্ষেত্র বা আধার।
-
বারিমণ্ডল বলতে ভূ-ত্বকের অবনমিত অংশে থাকা বিশাল পানিরাশি বোঝায়।
-
পানি একটি যৌগিক পদার্থ, যা অক্সিজেন (O) এবং হাইড্রোজেন (H) এর সমন্বয়ে H₂O গঠিত।
-
মহাসাগর, সাগর, উপসাগর, হ্রদ, নদী ইত্যাদি মিলিতভাবে বারিমণ্ডল গঠন করে।
বারিমণ্ডলের প্রধান জলাধারসমূহ
-
মহাসাগর (Ocean):
-
পৃথিবীর পৃষ্ঠের বিশাল আকৃতির পানির আধার।
-
উদাহরণ: প্রশান্ত মহাসাগর।
-
-
সাগর (Sea):
-
ছোট আয়তনের উন্মুক্ত পানিরাশি, যা মহাসাগরের তুলনায় ছোট।
-
উদাহরণ: আরব সাগর।
-
-
উপসাগর (Bay or Gulf):
-
তিনদিকে স্থল দ্বারা বেষ্টিত পানিরাশি।
-
উদাহরণ: বঙ্গোপসাগর।
-
-
হ্রদ (Lake):
-
চারদিকে স্থল দ্বারা বেষ্টিত পানিরাশি।
-
উদাহরণ: বৈকাল হ্রদ।
-
-
নদী (River):
-
উঁচু পর্বত বা মালভূমি থেকে হিমবাহ, বরফগলা পানি বা বৃষ্টির জল মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ভূমির ঢাল বরাবর প্রবাহিত হয়ে জলাশয়, হ্রদ বা সমুদ্রে পৌঁছায়।
-
উদাহরণ: পদ্মা নদী।
-
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
ফোটন কণার নিশ্চল ভর কত?
Created: 1 week ago
A
১ কেজি
B
৯.৮ নিউটন
C
শূন্য
D
অসীম
ফোটন কণা (Photon Particle)
-
ফোটন কণা তাড়িতচৌম্বক বল বহন করে।
-
ফোটনের নিঃশ্চল ভর শূন্য (0)।
-
প্রতিটি কোয়ান্টাম তার বা শক্তি তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের কম্পাংকের উপর নির্ভরশীল।
-
কোয়ান্টাম তত্ত্ব অনুযায়ী, তাড়িতচৌম্বক বিকিরণ তরঙ্গধর্মী নয়, বরং এটি এক ধরণের কণার স্রোত, যাকে ফোটন (Photon) বলা হয়।
ফোটন কণার ধর্মসমূহ
-
প্রতিটি ফোটন কণাই তড়িৎ নিরপেক্ষ।
-
শূন্য মাধ্যমে প্রতিটি ফোটন কণাই আলোর বেগে (C = 3×10⁸ m/s) চলাচল করে। কোনো ঘটনাতেই এর বেগ হ্রাস বা বৃদ্ধি পায় না।
-
প্রতি ফোটন দ্বারা বহিত শক্তি:
যেখানে,
-
= বিবিরণের কম্পাংক
-
= প্লাংকের ধ্রুবক
-
ফোটনের স্রোতে কণার সংখ্যা যত বেশি, বাহিত শক্তির পরিমাণ তত বেশি, ফলে বিকিরণের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
-
-
নিউটনীয় বলবিদ্যায় ফোটনের ভর ব্যাখ্যা করা যায় না। ফোটনের স্থির ভর শূন্য হিসেবে ধরা হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago