A
লোহা ও কার্বন
B
অক্সিজেন ও সিলিকন
C
নাইট্রোজেন ও হিলিয়াম
D
হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেন
উত্তরের বিবরণ
পৃথিবীর সৃষ্টির ইতিহাস
-
সৃষ্টির প্রথম অবস্থায় পৃথিবী ছিল জলন্ত গ্যাসপিণ্ড।
-
সময়ের সঙ্গে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে গ্যাসীয় অবস্থা তরল অবস্থায় রূপান্তরিত হয়।
-
ফলে ভারী পদার্থসমূহ কেন্দ্রে এবং হালকা পদার্থসমূহ উপরের দিকে জমা হয়ে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গঠনে ভিন্নতা সৃষ্টি হয়।
-
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ প্রায় ৬৪০০ কিলোমিটার।
-
পৃথিবীর বহিরাবরণকে ভূ-ত্বক বলা হয়, যা ভূ-ত্বকের নিচে অভ্যন্তরভাগ দ্বারা ঘেরা।
-
ভূ-বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মাত্র ০.৫% ভূ-অভ্যন্তর সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন।
-
পৃথিবী বিভিন্ন প্রকার খনিজ ও শিলা দ্বারা গঠিত।
ভূ-ত্বকের গঠন
-
পৃথিবীর উপরিভাগের শক্ত আবরণ ভূ-ত্বক, যা বিভিন্ন ধরনের খনিজ ও শিলা দ্বারা গঠিত।
-
ভূ-ত্বক হলো অশ্মমণ্ডলের উপরিভাগ, যেখানে অক্সিজেন ও সিলিকনের পরিমাণ বেশি।
-
আবিষ্কৃত মৌলিক উপাদানগুলোর মধ্যে ২০টি উপাদান ভূ-ত্বকের প্রায় ৯৯.৫% অংশ দখল করে।
-
ভূ-ত্বকের গভীরতা সর্বত্র সমান নয়; এর গড় গভীরতা প্রায় ২০ কিলোমিটার।
-
গ্রানাইট স্তরের গড় গভীরতা প্রায় ৮ কিলোমিটার।
-
ভূ-ত্বক গঠনকারী শিলারাশির ঘনত্ব ২.৭৫–৩.০ পর্যন্ত।
-
ভূ-ত্বকের উপরিভাগেই পৃথিবীর বহ্যিক দিক দেখা যায়, যেমন সমভূমি, মালভূমি, পাহাড়, পর্বত, নদী, হ্রদ, সাগর ও মহাসাগর।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
পৃথিবী কোনো বস্তুকে উপরের দিকে ছুড়ে দিলে তা আবার নিচে পড়ে যায় কেন?
Created: 1 week ago
A
চৌম্বক শক্তির কারণে
B
ভর বৃদ্ধির কারণে
C
পৃথিবীর মহাকর্ষ বলের কারণে
D
পৃথিবীর সবল বলের কারণে
সাধারণ বিজ্ঞান
ইতিহাস
পৃথিবী পরিচিতি
পৃথিবী-Earth
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন
বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য
No subjects available.
মহাকর্ষ (Gravity)
-
যখন কোনো বস্তুকে উপরের দিকে ছোঁড়া হয়, এটি আবার নিচে ফিরে আসে, কারণ পৃথিবীর মহাকর্ষ বল তার প্রতি কাজ করে।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
লাফ দিয়ে উপরের দিকে উঠলে আমরা অনেক দূর যেতে পারি না এবং ফিরে এসে মাটিতে নামি।
-
গাছের ফল মাটিতে পড়ে।
-
ক্রিকেট বল উপরের দিকে ছুঁড়ে দিলে মাটিতে পড়ে।
-
-
এর অর্থ, পৃথিবী সব বস্তুকে তার দিকে টানে বা আকর্ষণ করে।
-
শুধু পৃথিবী নয়, মহাবিশ্বের সকল বস্তুকণাই একে অপরকে টানে।
-
যে আকর্ষণ দুই বস্তুর মধ্যে কাজ করে, তাকে মহাকর্ষ বল বলা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি।

0
Updated: 1 week ago
এক মুখ্য জোয়ারের প্রায় কত সময় পর গৌণ জোয়ার ঘটে?
Created: 1 week ago
A
২৪ ঘন্টা
B
১৮ ঘন্টা ২৬ মিনিট
C
৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট
D
১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট
জোয়ার-ভাঁটার সময় (Tides)
-
পৃথিবীর আহ্নিক ঘূর্ণনের কারণে প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাঁটার সৃষ্টি হয়।
-
পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে ২৪ ঘণ্টায় একবার তার অক্ষের চারপাশে ঘোরে।
-
চন্দ্রও নিজের কক্ষপথে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘোরে এবং পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করে।
চন্দ্র ও জোয়ারের সম্পর্ক
-
যদি চন্দ্র স্থির থাকত, তাহলে পৃথিবীর প্রতিটি স্থানে ২৪ ঘণ্টা অন্তর একটি মুখ্য জোয়ার হতো।
-
চন্দ্র সাড়ে ২৯ দিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে, তাই প্রতি দিন চন্দ্র ২৪ ঘণ্টায় ১৩° অগ্রসর হয়।
-
ফলে, পৃথিবীর সেই স্থানে মুখ্য জোয়ার ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট পরে আসে।
মুখ্য ও গৌণ জোয়ার
-
একটি মুখ্য জোয়ার শেষ হওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট পরে আসে সেই স্থানে গৌণ জোয়ার।
-
প্রতিটি স্থানের প্রায় ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পরে ভাঁটা (Low tide) ঘটে।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
ওজোন স্তরের প্রধান কাজ কী?
Created: 1 week ago
A
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করা
B
বাতাসে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করা
C
বৃষ্টিপাত সৃষ্টি করা
D
ভূমিকম্প প্রতিরোধ করা
স্ট্রাটোমণ্ডল (Stratosphere)
-
বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তর হলো স্ট্রাটোমণ্ডল।
-
এটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
স্তরের শেষ সীমাকে স্ট্রাটোবিরতি (Stratopause) বলা হয়।
-
প্রথম ২০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকে, এরপর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।
-
স্ট্রাটোবিরতিতে তাপমাত্রা প্রায় ০° সেলসিয়াস।
-
এই স্তরে বায়ুর ঘনত্ব ও চাপ উভয়ই কম, এবং জলীয়বাষ্প ও ধূলিকণার পরিমাণ নগন্য।
-
প্রায় মেঘশূন্য হওয়ায় ঝড়-বৃষ্টি থাকে না।
-
বায়ু অত্যন্ত হালকা এবং সমান্তরাল গতি দেখা যায়; উর্ধ্ব বা নিম্ন গতি নেই।
-
স্ট্রাটোমণ্ডলের উপরের দিকে ওজোন (Ozone) গ্যাসের স্তর রয়েছে, যা ওজোন মণ্ডল (Ozonesphere) নামে পরিচিত।
-
ওজোন স্তরের গভীরতা প্রায় ১২–১৬ কিলোমিটার।
-
এটি সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি (Ultraviolet Rays) শোষণ করে, যা জীবজগতের জন্য ক্ষতিকর।
-
এই স্তরের কারণে পৃথিবীতে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি পৌঁছাতে পারে না।
-
ওজোন স্তর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করায় এই অঞ্চলের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে উচ্চ (প্রায় ৭৬০° সেলসিয়াস)।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago