কোনটি রূঢ়ি শব্দ?
A
প্রবীণ
B
জলধি
C
গায়ক
D
আদিত্য
উত্তরের বিবরণ
রূঢ়ি শব্দ:
- প্রত্যয় বা উপসর্গযোগে মূল শব্দের অর্থের অনুগামী না হয়ে অন্য কোন বিশিষ্ট অর্থ গ্রহণ করলে তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে।
যেমন:
- হস্তী, বাঁশি, তৈল, প্রবীণ, সন্দেশ।
অন্যদিকে,
- আদিত্য এবং জলধি যোগরূঢ় শব্দ।
- গায়ক - যৌগিক শব্দ।

0
Updated: 1 month ago
'গবেষণা' কোন ধরনের শব্দ?
Created: 1 week ago
A
মৌলিক
B
যৌগিক
C
রূঢ়ি
D
যোগরূঢ়
যেসব শব্দে ব্যুৎপত্তিগত অর্থের পরিবর্তে অন্য অর্থ প্রকাশ পায়, সেই শব্দগুলোকে রূঢ়ি শব্দ বলা হয়। অর্থাৎ, শব্দের মূল গঠন বা উৎসের সঙ্গে এর প্রচলিত অর্থের কোনো সরাসরি সম্পর্ক থাকে না।
উদাহরণ:
-
কুশল: ব্যুৎপত্তিগত অর্থ — ‘যে কুশ আনে’; প্রচলিত অর্থ — মঙ্গল বা সুস্থতা।
-
গবেষণা (গো + এষণা): অর্থাৎ ‘গরু খোঁজা’; কিন্তু প্রচলিত অর্থ — তথ্য অনুসন্ধান বা অনুসন্ধানমূলক অধ্যয়ন। তাই এটি রূঢ়ি শব্দ।
আরও কিছু রূঢ়ি শব্দের উদাহরণ:
-
হস্তী — অর্থ হাতওয়ালা নয়, বরং হাতি।
-
বাঁশি — বাঁশের তৈরি বাদ্যযন্ত্র।
-
তৈল — তিল থেকে উৎপন্ন তেল।
-
প্রবীণ — বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি।
-
সন্দেশ — খবর নয়, মিষ্টান্ন বিশেষ।

0
Updated: 1 week ago
কোনটি রূঢ়ি শব্দ নয়?
Created: 1 week ago
A
সন্দেশ
B
অতিথি
C
প্রবীণ
D
মধুর
রূঢ়ি শব্দ হলো এমন শব্দ, যার গঠন বা ব্যুৎপত্তিগত অর্থের সঙ্গে প্রকৃত অর্থের মিল থাকে না। অর্থাৎ কোনো শব্দে উপসর্গ বা প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যখন মূল অর্থ পরিবর্তিত হয়ে একেবারে নতুন ও ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে, তখন সেটিকে রূঢ়ি শব্দ বলা হয়। এসব শব্দে প্রাথমিক অর্থ না থেকে অন্য কোনো প্রচলিত বা বিশেষ অর্থ প্রকাশ পায়।
তথ্যসমূহ:
-
সংজ্ঞা: যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গযোগে মূল শব্দের অর্থ অনুসরণ না করে অন্য কোনো বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে, তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে।
-
উদাহরণ:
-
অতিথি = √ অত্ + ইথি, অর্থাৎ যার ‘তিথি নেই’ — কিন্তু এর প্রচলিত অর্থ হলো ‘মেহমান’।
-
সন্দেশ: মূল অর্থ — ‘সংবাদ’; পরিবর্তিত অর্থ — ‘মিষ্টান্ন’।
-
চিকন: মূল অর্থ — ‘চকচকে’; পরিবর্তিত অর্থ — ‘সরু’।
-
জ্যাঠামি: মূল অর্থ — ‘জেঠার ভাব’; পরিবর্তিত অর্থ — ‘চাপল্য’।
-
প্রবীণ: মূল অর্থ — ‘প্রকৃষ্ট বীণাবাদক’; পরিবর্তিত অর্থ — ‘বয়স্ক ব্যক্তি’।
-
আরো কিছু রূঢ়ি শব্দ: বাঁশি, তৈল, প্রবীণ, সন্দেশ, বৎস, শুশ্রূষা ইত্যাদি।
অন্যদিকে, যৌগিক শব্দ হলো সেইসব শব্দ যেগুলোর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও প্রচলিত অর্থ এক থাকে। অর্থাৎ শব্দের উপাদানগুলো মিলে যৌথভাবে একই ধরনের অর্থ প্রকাশ করে।
উদাহরণ:
-
গায়ক = গৈ + অক, অর্থ — ‘যে গান করে’।
-
মধুর = মধু + র, অর্থ — ‘মধুর মতো মিষ্টি গুণসম্পন্ন’।
অতিরিক্ত তথ্য:
রূঢ়ি শব্দ সাধারণত দীর্ঘ ব্যবহারের ফলে অর্থগত পরিবর্তনের মাধ্যমে গড়ে ওঠে, আর যৌগিক শব্দ গঠনগত নিয়ম মেনে তৈরি হয়। তাই রূঢ়ি শব্দের অর্থ বোঝা যায় ব্যবহার দেখে, কিন্তু যৌগিক শব্দের অর্থ বোঝা যায় তার গঠন বিশ্লেষণ করেই।

0
Updated: 1 week ago
'হস্তী' - কোন ধরনের শব্দ?
Created: 1 month ago
A
মৌলিক
B
যৌগিক
C
রূঢ়ি
D
যোগরূঢ়
রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ
সংজ্ঞা:
যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গ যুক্ত হয়ে মূল শব্দের আক্ষরিক অর্থের অনুগামী না থেকে একেবারে অন্য কোনো বিশেষ বা প্রচলিত অর্থে ব্যবহৃত হয়, তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে।
উদাহরণসমূহ
-
হস্তী: হস্ত + ইন → আক্ষরিক অর্থ হাত আছে যার; কিন্তু রূঢ় অর্থে বোঝায় একটি পশু (হাতি)।
-
গবেষণা: গো + এষণা → আক্ষরিক অর্থ গরু খোঁজা; রূঢ় অর্থে ব্যাপক অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা।
-
বাঁশি: আক্ষরিক অর্থে বাঁশ দিয়ে তৈরি বস্তু; রূঢ় অর্থে সুর বাজানোর বাদ্যযন্ত্র।
-
তৈল: মূল অর্থে তিলজাত স্নেহ পদার্থ; রূঢ় অর্থে যে কোনো উদ্ভিজ্জ স্নেহ পদার্থ (যেমন: বাদাম তেল)।
-
প্রবীণ: আক্ষরিক অর্থে প্রকৃষ্টভাবে বীণা বাজাতে পারেন যিনি; রূঢ় অর্থে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি।
-
সন্দেশ: মূল অর্থে সংবাদ; রূঢ় অর্থে একটি মিষ্টান্ন বিশেষ।
✅ অর্থাৎ, রূঢ়ি শব্দের প্রকৃত অর্থ তার আদি গঠনমূলক অর্থ থেকে ভিন্ন ও বিশেষ প্রচলিত অর্থে ব্যবহৃত হয়।
উৎস:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 month ago