কোনটি সংস্কৃত শব্দ?
A
ধৰ্ম
B
টোপর
C
ডিঙা
D
ইমান
উত্তরের বিবরণ
শব্দের উৎসভিত্তিক উদাহরণ
সংস্কৃত শব্দ: ধৰ্ম → বিশেষ্য পদ।
অর্থ: ঈশ্বর ও উপাসনাপদ্ধতির বিষয়ে মতবাদ।
আরবি শব্দ: ইমান।
বাংলা শব্দ: ডিঙা।
দেশি শব্দ: টোপর।

0
Updated: 1 month ago
‘সংখ্যাবাচক’ শব্দের সাথে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয়, তাকে কী সমাস বলে?
Created: 2 weeks ago
A
দ্বন্দ্ব
B
দ্বিগু
C
কর্মধারয়
D
বহুব্রীহি
‘সংখ্যাবাচক’ শব্দের সাথে বিশেষ্য পদের সমাসকে দ্বিগু সমাস বলে। দ্বিগু সমাসে প্রথম পদ হয় সংখ্যাবাচক শব্দ এবং পরের পদ সাধারণত বিশেষ্য পদ হয়।
যেমন—
-
তিনজন → তিন + জন
-
পাঁচটি → পাঁচ + টি
-
একশ টাকা → একশ + টাকা
এখানে সংখ্যাবাচক শব্দ বিশেষ্যকে নির্দিষ্ট বা পরিমাণ বোঝায়। এজন্য এ সমাসকে দ্বিগু সমাস বলা হয়।
সুতরাং, ‘সংখ্যাবাচক’ শব্দ + বিশেষ্য পদের সমাস = দ্বিগু সমাস।

0
Updated: 2 weeks ago
'গায়ে হলুদ' কোন সমাস?
Created: 1 week ago
A
বহুব্রীহি সমাস
B
কর্মধারয় সমাস
C
অলুক তৎপুরুষ সমাস
D
নিত্য সমাস
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৮ সংস্করণ) বইয়ের ৬৬ ও ৬৮ নম্বর পৃষ্ঠায় “গায়ে-হলুদ” পদটি অলুক বহুব্রীহি এবং মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি — উভয় ধরনের সমাস হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।
মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সেই সমাস, যার ব্যাখ্যামূলক বাক্যের কোনো অংশ সমস্ত পদে লোপ পায়। অর্থাৎ, বাক্যের একটি অংশ বাদ পড়লেও অর্থ সম্পূর্ণ থাকে। উদাহরণস্বরূপ—
-
বিড়ালের চোখের ন্যায় চোখ যে নারীর = বিড়ালচোখী
-
হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = হাতেখড়ি
এইভাবে “গায়ে হলুদ” এবং “মেনিমুখো” — দুটিকেই মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি হিসেবে গণ্য করা হয়।
অন্যদিকে, অলুক বহুব্রীহি হলো সেই বহুব্রীহি সমাস যেখানে পূর্ব বা পরপদের কোনো রূপান্তর ঘটে না। এই ধরনের সমাসে সমস্ত পদটি বিশেষণ হিসেবে কাজ করে। উদাহরণ—
-
মাথায় পাগড়ি যার = মাথায়পাগড়ি
-
গলায় গামছা যার = গলায় গামছা
এভাবেই “গায়ে-হলুদ”, “হাতেখড়ি”, “হাতে-ছড়ি”, “কানে-কলম”, “গায়ে-পড়া”, “হাতে-বেড়ি”, “মাথায়-ছাতা”, “মুখে-ভাত”, “কানে-খাটো” প্রভৃতি উদাহরণ অলুক বহুব্রীহি সমাস হিসেবে বিবেচিত হয়।

0
Updated: 1 week ago
'পুষ্পসৌরভ' কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
তৎপুরুষ
B
কর্মধারয়
C
অব্যয়ীভাব
D
বহুব্রীহি
ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
যখন পূর্বপদের “র/এর” বিভক্তি weg掉 (লুপ্ত) হয়ে পরের পদে যুক্ত হয়, তখন যে সমাস গঠিত হয় তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলে।
🔹 যেমন:
-
পুষ্পের সৌরভ → পুষ্পসৌরভ (ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস)
আরও কিছু উদাহরণ
-
ছাগীর দুগ্ধ → ছাগদুগ্ধ
-
গৃহের কর্তা → গৃহকর্তা
-
অশ্বের পদ → অশ্বপদ
-
চায়ের বাগান → চাবাগান
-
রাজার পুত্র → রাজপুত্র
-
খেয়ারের ঘাট → খেয়াঘাট
এগুলো ছাড়াও জনগণ, ছাত্রসমাজ, দেশসেবা, বিড়ালছানা ইত্যাদিও ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসের অন্তর্গত।
উৎস: ভাষা শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 month ago