স্বাধীনতা পুরস্কার প্রবর্তন করা হয় কত সালে?
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৪ সালে
C
১৯৭৫ সালে
D
১৯৭৭ সালে
উত্তরের বিবরণ
স্বাধীনতা পুরস্কার
-
স্বাধীনতা পুরস্কার হলো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।
-
মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সরকার এই পুরস্কার প্রবর্তন করে।
-
এটি প্রদান করা হয় জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ।
-
পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রসমূহ:
-
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান
-
ভাষা আন্দোলনে অবদান
-
শিক্ষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
-
চিকিৎসা বিজ্ঞান
-
সাংবাদিকতা, জনসেবা, সামাজিক বিজ্ঞান
-
সঙ্গীত, ক্রীড়া, চারুকলা
-
পল্লী উন্নয়নে অবদান
-
-
এছাড়া জাতীয় জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে অসাধারণ কৃতিত্ব প্রদর্শনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও এই পুরস্কারে ভূষিত করার বিধান রয়েছে।
-
প্রতিটি পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র এবং নগদ অর্থ।
-
সূচনালগ্নে নগদ অর্থের পরিমাণ: ২০,০০০ টাকা
-
২০০৪ সালে উন্নীত: ১,০০,০০০ টাকা
-
-
পুরস্কার স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে প্রদান করা হয়।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন জেলায় কন্দ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
মৌলভীবাজার
B
বান্দরবান
C
কক্সবাজার
D
রাঙ্গামাটি
কন্দ
-
কন্দ বাংলাদেশের অন্যতম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তাদের আদিনিবাস ভারতের উড়িষ্যা রাজ্য।
-
উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে তারা চা ও রেল শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশে আসে এবং রেললাইন নির্মাণের কাজে যোগ দেয়। রেললাইন নির্মাণ শেষে একাংশ স্থায়ীভাবে থেকে যায় এবং চা-বাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে।
-
বর্তমানে তারা মূলত মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া, উদনাছড়া, পুটিয়া, লাখাউড়া এবং কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমাছড়া চা-বাগানে বসবাস করছে।
-
অন্যান্য জনগোষ্ঠী তাদের স্থানীয়ভাবে ‘কুই’ নামে ডাকে; আবার কোথাও কোথাও তারা ‘উড়িয়া’ নামেও পরিচিত।
-
তাদের সঙ্গে মধ্যভারতের ভীল, কোল, মুন্ডা প্রভৃতি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সাদৃশ্য রয়েছে।
-
কন্দ জনগোষ্ঠী পাঁচটি দলে বিভক্ত, আর প্রতিটি দল ভিন্ন ভিন্ন গোত্র বা বংশে ভাগ করা।
-
তাদের সমাজ পুরুষ-প্রধান; পরিবারের পুত্রসন্তানেরাই পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
-
কন্দরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতো বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করে।
-
নিজেদের ভাষায় দেবতাদের বিশেষ নাম রয়েছে, যেমন: ময়মুরুবিব, ত্রিনাথ প্রভৃতি; এগুলো তাদের পারিবারিক দেবতা।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
খাসিয়া জনগোষ্ঠীর গ্রামকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
পুঞ্জি
B
মহল্লা
C
পাড়া
D
টোল
খাসিয়া
-
খাসিয়া বাংলাদেশে বসবাসরত একটি মাতৃতান্ত্রিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তারা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত।
-
এদের আদি নিবাস বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বিশেষ করে সুনামগঞ্জ জেলা।
-
বর্তমানে তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও সদর থানায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবাস করছে।
-
খাসিয়া জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব হলো খাসি সেং কুটস্নেম, যার মাধ্যমে তারা পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।
-
খাসিয়ারা তাদের গ্রামকে ‘পুঞ্জি’ বলে ডাকে।
-
প্রতিটি পুঞ্জির প্রধানকে বলা হয় ‘সিয়েম’।
-
বর্তমানে প্রায় ৮০%-৯০% খাসিয়া খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।
-
প্রায় প্রতিটি পুঞ্জিতেই একটি করে গির্জা রয়েছে।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া ও জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 month ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভাসমান জনসংখ্যার দিক দিয়ে সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে কোন বিভাগ?
Created: 1 month ago
A
ময়মনসিংহ
B
রংপুর
C
সিলেট
D
খুলনা
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২
-
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা: ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।
-
সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ জেলা: ঢাকা (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১০,০৬৭ জন)।
-
সবচেয়ে কম ঘনবসতিপূর্ণ জেলা: রাঙ্গামাটি (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১০৬ জন)।
-
সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস করে: ঢাকা বিভাগে (৪,৫৬,৪৪,৫৮৬ জন)।
-
সবচেয়ে কম মানুষ বাস করে: বরিশাল বিভাগে (৯৩,২৫,৮২০ জন)।
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি: ঢাকা বিভাগে (২,১৫৬ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটার)।
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে কম: বরিশাল বিভাগে (৬৮৮ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটার)।
-
সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা রয়েছে: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (৫৯,৯০,৭২৩ জন)।
-
সবচেয়ে কম জনসংখ্যা রয়েছে: বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে (৭,০৮,৫৭০ জন)।
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩৯,৪০৬ জন)।
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে কম: রংপুর সিটি কর্পোরেশনে (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩,৪৪৫ জন)।
-
ভাসমান জনসংখ্যার দিক দিয়ে শীর্ষে: ঢাকা বিভাগ।
-
ভাসমান জনসংখ্যার দিক দিয়ে সর্বনিম্ন অবস্থানে: ময়মনসিংহ বিভাগ।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago