A
সাংলান
B
চাপচারকৃত
C
বৈসু
D
ওয়ানগালা
No subjects available.
উত্তরের বিবরণ
ত্রিপুরা
-
ত্রিপুরা একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জাতি। ব্রিটিশ শাসনের সময় ত্রিপুরা ছিল একটি দেশীয় রাজ্য।
-
১৯৪৭ সালের পর, ত্রিপুরী জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বাংলাদেশে বসবাস করে এবং নাগরিকত্ব অর্জন করে।
-
বাংলাদেশে এরা বসবাস করে পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ও মিরসরাই, নোয়াখালীর বিলোনীয়া অঞ্চল, কুমিল্লা, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে।
-
ত্রিপুরা জাতি যে ভাষায় কথা বলে তা কক্-বরক্ নামে পরিচিত।
-
কক্-বরক্ ভাষা ৫৮৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্বাধীন ত্রিপুরা রাজ্যের রাষ্ট্রভাষা ছিল।
-
ত্রিপুরা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হলে কক্-বরক্ ভাষা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা হারায়।
-
ত্রিপুরা জাতির সামাজিক কাঠামো পিতৃতান্ত্রিক।
-
এদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম বৈসু।
-
ধর্মবিশ্বাসে ত্রিপুরা জাতি সনাতন ধর্মের অনুসারী।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া, দৈনিক কালের কণ্ঠ, ০৪ এপ্রিল ২০১৭

0
Updated: 1 week ago
'ওরাওঁ' ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে কোন জেলায়?
Created: 1 week ago
A
খাগড়াছড়ি
B
বান্দরবান
C
রাঙ্গামাটি
D
রাজশাহী
ওরাওঁ
-
ওরাওঁ বাংলাদেশের একটি নৃগোষ্ঠী, যাদের প্রধান আবাস বরেন্দ্র অঞ্চল।
-
নৃবিজ্ঞানীদের মতে তারা অস্ট্রিক, আবার ভাষাতাত্ত্বিক সূত্রে তারা দ্রাবিড়।
-
মুঘল শাসনামলে তারা বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রবেশ করে এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে।
-
বর্তমানে ওরাওঁরা বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, বগুড়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাজীপুর, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় বসবাস করছে।
-
ওরাওঁরা জড়োপাসক; তাদের ভগবানের নাম ধরমী বা ধার্মেশ/ধরমেশ।
-
তারা সৃষ্টিকর্তা ধরমেশকে সন্তুষ্ট রাখতে পূজা অর্চনা করে এবং তাঁর উদ্দেশ্যে ‘ডানডাকাঁটা’ উৎসব পালন করে।
-
ওরাওঁদের ভাষার নাম কুরুক।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোন জেলায় চাক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে?
Created: 1 week ago
A
সিলেট
B
বান্দরবান
C
কুড়িগ্রাম
D
রাজশাহী
চাক
-
চাক হলো বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
এরা মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানার বাইশারি, নাইক্ষ্যংছড়ি, কামিছড়া, ক্রোক্ষং, বাকখালি, আলেখ্যং, ক্রোয়াংঝিড়ি ও ডুছড়ি এলাকায় বসবাস করে।
-
বান্দরবান বোমাং সার্কেলের বোমাং রাজপুস্তিকায় ও রাজ্য অভিষেক অনুষ্ঠানে চাকদের ‘মিঙসাক’ নামে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
-
চাক সমাজ প্রধানত ২টি গোত্রে বিভক্ত, যা কয়েকটি উপগোত্রে বিভক্ত। গোত্রীয় প্রতীক হলো জালোয়া বা পইত্যা (পাকানো সুতার রশি)।
-
চাকদের জীবনধারা বৈচিত্র্যপূর্ণ ও ঐতিহ্যমন্ডিত।
-
শিশুর জন্ম ও নামকরণ সংক্রান্ত অনুষ্ঠান:
-
নাইংছাঙাহাং-এ অবস্থান
-
পুতরংবুওয়ে (জন্মপরবর্তী অনুষ্ঠান)
-
ভেগলুংশাত পো (চুংবংলংউচ্ছেং ছাহেকা)
-
-
বিবাহ সংক্রান্ত প্রথা: আচাংগায়ুগা (কনে দেখা), চাঁগায়ুগা (কোষ্ঠী বিচার) সহ আরও বিভিন্ন প্রথা পালন করা হয়।
-
১৯৫৯ সালে চাক ধর্মগুরু মহাথেরো গন্ধর্ব ওয়েংসারের প্রচেষ্টায় চাক সমাজে শিক্ষার বিস্তার ঘটে।
-
চাকরা দুই ধারায় বৌদ্ধ ধর্মীয় রীতি ও বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা (লক্ষ্মীপূজা বা ওয়াইগ্যা, ফুলপূজা, প্রদীপপূজা) পালন করে।
-
পিতৃতান্ত্রিক পরিবার কাঠামোতে চাকদের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী শুধু ছেলেরা।
-
চাকরা বাড়িকে ‘কিং’ এবং গ্রামকে ‘ঠি’ বলে ডাকে।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
খাসিয়া জনগোষ্ঠীর গ্রামকে কী বলা হয়?
Created: 1 week ago
A
পুঞ্জি
B
মহল্লা
C
পাড়া
D
টোল
সাধারণ বিজ্ঞান
ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য ঘটনা
খাসিয়া
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
তথ্য (Information)
No subjects available.
খাসিয়া
-
খাসিয়া বাংলাদেশে বসবাসরত একটি মাতৃতান্ত্রিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তারা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত।
-
এদের আদি নিবাস বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বিশেষ করে সুনামগঞ্জ জেলা।
-
বর্তমানে তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও সদর থানায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবাস করছে।
-
খাসিয়া জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব হলো খাসি সেং কুটস্নেম, যার মাধ্যমে তারা পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।
-
খাসিয়ারা তাদের গ্রামকে ‘পুঞ্জি’ বলে ডাকে।
-
প্রতিটি পুঞ্জির প্রধানকে বলা হয় ‘সিয়েম’।
-
বর্তমানে প্রায় ৮০%-৯০% খাসিয়া খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।
-
প্রায় প্রতিটি পুঞ্জিতেই একটি করে গির্জা রয়েছে।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া ও জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 week ago