কাবাডি খেলাকে জাতীয় খেলার মর্যাদা দেয়া হয় কত সালে?
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৩ সালে
C
১৯৭৪ সালে
D
১৯৭৫ সালে
উত্তরের বিবরণ
কাবাডি
-
কাবাডি খেলাকে বাংলাদেশে জাতীয় খেলার মর্যাদা দেওয়া হয় ১৯৭২ সালে।
-
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয় ১৯৭৩ সালে।
-
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ প্রথম কাবাডি টেস্ট খেলে ভারতের সফররত দলের সঙ্গে।
-
১৯৭৮ সালে এশিয়ান অ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়।
-
১৯৮০ সালে প্রথম এশীয় কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপ সফলভাবে আয়োজন করা হয়; এতে ভারত চ্যাম্পিয়ন এবং বাংলাদেশ রানার্স-আপ হয়।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'রাস নৃত্য' কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতির সবচেয়ে উৎকৃষ্ট নিদর্শন?
Created: 1 month ago
A
মারমা
B
মণিপুরী
C
ত্রিপুরা
D
গারো
মণিপুরী
-
মণিপুরী নাচ বাংলাদেশের বিখ্যাত নৃত্যশিল্প, বিশেষত সিলেট অঞ্চলের।
-
বর্তমানে মণিপুরীরা বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে বসবাস করছে, যেমন:
-
সিলেট শহর ও শহরতলি
-
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া ও বড়লেখা
-
হবিগঞ্জের চুনারঘাট
-
সুনামগঞ্জের ছাতক
-
-
মণিপুরী সংস্কৃতি সমৃদ্ধশালী ও ঐতিহ্যবাহী, যেখানে নৃত্য ও সঙ্গীত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
মণিপুরী সংস্কৃতির সবচেয়ে সমৃদ্ধ শাখা হলো মণিপুরী নৃত্য।
-
মণিপুরী ভাষায় নৃত্যের প্রতিশব্দ হলো জাগই (Jagoi)।
-
এই নৃত্যে শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চালনার মাধ্যমে বৃত্ত বা উপবৃত্ত সৃষ্টি করা হয়।
-
সংস্কৃতির সবচেয়ে উৎকৃষ্ট নিদর্শন হলো রাস (Rasa) নৃত্য, যা ভারতীয় সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন জেলায় কন্দ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
মৌলভীবাজার
B
বান্দরবান
C
কক্সবাজার
D
রাঙ্গামাটি
কন্দ
-
কন্দ বাংলাদেশের অন্যতম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তাদের আদিনিবাস ভারতের উড়িষ্যা রাজ্য।
-
উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে তারা চা ও রেল শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশে আসে এবং রেললাইন নির্মাণের কাজে যোগ দেয়। রেললাইন নির্মাণ শেষে একাংশ স্থায়ীভাবে থেকে যায় এবং চা-বাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে।
-
বর্তমানে তারা মূলত মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া, উদনাছড়া, পুটিয়া, লাখাউড়া এবং কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমাছড়া চা-বাগানে বসবাস করছে।
-
অন্যান্য জনগোষ্ঠী তাদের স্থানীয়ভাবে ‘কুই’ নামে ডাকে; আবার কোথাও কোথাও তারা ‘উড়িয়া’ নামেও পরিচিত।
-
তাদের সঙ্গে মধ্যভারতের ভীল, কোল, মুন্ডা প্রভৃতি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সাদৃশ্য রয়েছে।
-
কন্দ জনগোষ্ঠী পাঁচটি দলে বিভক্ত, আর প্রতিটি দল ভিন্ন ভিন্ন গোত্র বা বংশে ভাগ করা।
-
তাদের সমাজ পুরুষ-প্রধান; পরিবারের পুত্রসন্তানেরাই পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
-
কন্দরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতো বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করে।
-
নিজেদের ভাষায় দেবতাদের বিশেষ নাম রয়েছে, যেমন: ময়মুরুবিব, ত্রিনাথ প্রভৃতি; এগুলো তাদের পারিবারিক দেবতা।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসবের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
সাংলান
B
চাপচারকৃত
C
বৈসু
D
ওয়ানগালা
ত্রিপুরা
-
ত্রিপুরা একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জাতি। ব্রিটিশ শাসনের সময় ত্রিপুরা ছিল একটি দেশীয় রাজ্য।
-
১৯৪৭ সালের পর, ত্রিপুরী জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বাংলাদেশে বসবাস করে এবং নাগরিকত্ব অর্জন করে।
-
বাংলাদেশে এরা বসবাস করে পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ও মিরসরাই, নোয়াখালীর বিলোনীয়া অঞ্চল, কুমিল্লা, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে।
-
ত্রিপুরা জাতি যে ভাষায় কথা বলে তা কক্-বরক্ নামে পরিচিত।
-
কক্-বরক্ ভাষা ৫৮৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্বাধীন ত্রিপুরা রাজ্যের রাষ্ট্রভাষা ছিল।
-
ত্রিপুরা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হলে কক্-বরক্ ভাষা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা হারায়।
-
ত্রিপুরা জাতির সামাজিক কাঠামো পিতৃতান্ত্রিক।
-
এদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম বৈসু।
-
ধর্মবিশ্বাসে ত্রিপুরা জাতি সনাতন ধর্মের অনুসারী।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া, দৈনিক কালের কণ্ঠ, ০৪ এপ্রিল ২০১৭

0
Updated: 1 month ago