A
সিলেট
B
বান্দরবান
C
কুড়িগ্রাম
D
রাজশাহী
উত্তরের বিবরণ
চাক
-
চাক হলো বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
এরা মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানার বাইশারি, নাইক্ষ্যংছড়ি, কামিছড়া, ক্রোক্ষং, বাকখালি, আলেখ্যং, ক্রোয়াংঝিড়ি ও ডুছড়ি এলাকায় বসবাস করে।
-
বান্দরবান বোমাং সার্কেলের বোমাং রাজপুস্তিকায় ও রাজ্য অভিষেক অনুষ্ঠানে চাকদের ‘মিঙসাক’ নামে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
-
চাক সমাজ প্রধানত ২টি গোত্রে বিভক্ত, যা কয়েকটি উপগোত্রে বিভক্ত। গোত্রীয় প্রতীক হলো জালোয়া বা পইত্যা (পাকানো সুতার রশি)।
-
চাকদের জীবনধারা বৈচিত্র্যপূর্ণ ও ঐতিহ্যমন্ডিত।
-
শিশুর জন্ম ও নামকরণ সংক্রান্ত অনুষ্ঠান:
-
নাইংছাঙাহাং-এ অবস্থান
-
পুতরংবুওয়ে (জন্মপরবর্তী অনুষ্ঠান)
-
ভেগলুংশাত পো (চুংবংলংউচ্ছেং ছাহেকা)
-
-
বিবাহ সংক্রান্ত প্রথা: আচাংগায়ুগা (কনে দেখা), চাঁগায়ুগা (কোষ্ঠী বিচার) সহ আরও বিভিন্ন প্রথা পালন করা হয়।
-
১৯৫৯ সালে চাক ধর্মগুরু মহাথেরো গন্ধর্ব ওয়েংসারের প্রচেষ্টায় চাক সমাজে শিক্ষার বিস্তার ঘটে।
-
চাকরা দুই ধারায় বৌদ্ধ ধর্মীয় রীতি ও বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা (লক্ষ্মীপূজা বা ওয়াইগ্যা, ফুলপূজা, প্রদীপপূজা) পালন করে।
-
পিতৃতান্ত্রিক পরিবার কাঠামোতে চাকদের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী শুধু ছেলেরা।
-
চাকরা বাড়িকে ‘কিং’ এবং গ্রামকে ‘ঠি’ বলে ডাকে।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি?
Created: 1 week ago
A
গারো
B
ত্রিপুরা
C
মারমা
D
চাকমা
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২: ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী তথ্য
-
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মোট জনসংখ্যা: ১৬,৫০,৪৭৮ জন
-
বিভাগভিত্তিক:
-
সবচেয়ে বেশি বাস: চট্টগ্রাম বিভাগ (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৬০.০৪%)
-
সবচেয়ে কম বাস: বরিশাল বিভাগ (০.২৫%)
-
-
বেসি জনসংখ্যা বিশিষ্ট ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী: চাকমা
-
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা:
-
চাকমা: ৪,৮৩,৩৬৫
-
মারমা: ২,২৪,২৯৯
-
ত্রিপুরা: ১,৫৬,৬২০
-
সাঁওতাল: ১,২৯,০৫৬
-
ওরাওঁ: ৮৫,৮৫৮
-
গারো: ৭৬,৮৫৪
-
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
কাবাডি খেলাকে জাতীয় খেলার মর্যাদা দেয়া হয় কত সালে?
Created: 1 week ago
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৩ সালে
C
১৯৭৪ সালে
D
১৯৭৫ সালে
কাবাডি
-
কাবাডি খেলাকে বাংলাদেশে জাতীয় খেলার মর্যাদা দেওয়া হয় ১৯৭২ সালে।
-
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয় ১৯৭৩ সালে।
-
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ প্রথম কাবাডি টেস্ট খেলে ভারতের সফররত দলের সঙ্গে।
-
১৯৭৮ সালে এশিয়ান অ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়।
-
১৯৮০ সালে প্রথম এশীয় কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপ সফলভাবে আয়োজন করা হয়; এতে ভারত চ্যাম্পিয়ন এবং বাংলাদেশ রানার্স-আপ হয়।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোন জেলায় কন্দ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে?
Created: 1 week ago
A
মৌলভীবাজার
B
বান্দরবান
C
কক্সবাজার
D
রাঙ্গামাটি
কন্দ
-
কন্দ বাংলাদেশের অন্যতম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তাদের আদিনিবাস ভারতের উড়িষ্যা রাজ্য।
-
উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে তারা চা ও রেল শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশে আসে এবং রেললাইন নির্মাণের কাজে যোগ দেয়। রেললাইন নির্মাণ শেষে একাংশ স্থায়ীভাবে থেকে যায় এবং চা-বাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে।
-
বর্তমানে তারা মূলত মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া, উদনাছড়া, পুটিয়া, লাখাউড়া এবং কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমাছড়া চা-বাগানে বসবাস করছে।
-
অন্যান্য জনগোষ্ঠী তাদের স্থানীয়ভাবে ‘কুই’ নামে ডাকে; আবার কোথাও কোথাও তারা ‘উড়িয়া’ নামেও পরিচিত।
-
তাদের সঙ্গে মধ্যভারতের ভীল, কোল, মুন্ডা প্রভৃতি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সাদৃশ্য রয়েছে।
-
কন্দ জনগোষ্ঠী পাঁচটি দলে বিভক্ত, আর প্রতিটি দল ভিন্ন ভিন্ন গোত্র বা বংশে ভাগ করা।
-
তাদের সমাজ পুরুষ-প্রধান; পরিবারের পুত্রসন্তানেরাই পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
-
কন্দরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতো বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করে।
-
নিজেদের ভাষায় দেবতাদের বিশেষ নাম রয়েছে, যেমন: ময়মুরুবিব, ত্রিনাথ প্রভৃতি; এগুলো তাদের পারিবারিক দেবতা।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago