A
হাঙর নদী গ্রেনেড
B
ওরা এগারো জন
C
বিদ্রোহ
D
সংগ্রাম
উত্তরের বিবরণ
ওরা এগারো জন
-
‘ওরা এগারো জন’ হলো প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র।
-
চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা।
-
নির্মাতা-প্রযোজক মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিনয় করিয়েছেন, যা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত।
-
চলচ্চিত্রের পরিচালক: চাষী নজরুল ইসলাম।
-
সিনেমার নাম ‘ওরা এগারো জন’ রাখা হয়েছে কারণ একাত্তরে ১১টি সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন বাঙালি।
-
এটি চাষী নজরুল ইসলামের প্রথম পরিচালিত সিনেমা।
-
ছবিটির শুটিং হয়েছে জয়দেবপুরে।
-
চিত্রগ্রাহক: আব্দুস সামাদ।
-
সিনেমা শুরু হয় সাইফুল ইসলামের কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত ‘ও আমার দেশের মাটি’ দিয়ে।
📌 তথ্যসূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন ও দৈনিক প্রথম আলো, ১৩ আগস্ট ২০২২

0
Updated: 1 week ago
চাকমা জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব -
Created: 1 week ago
A
ওয়ানগালা
B
বৈসু
C
বিজু
D
সাংগ্রাই
চাকমা
-
চাকমা বাংলাদেশের বৃহত্তম আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
তারা নিজেদেরকে চাঙমা নামে পরিচিত করে।
-
পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্য ও উত্তরাঞ্চল তাদের প্রধান বসতি।
-
চাকমাদের প্রায় ৯০% রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় কেন্দ্রীভূত।
-
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের অরুণাচল, মিজোরাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে তাদের কিছু বসতি রয়েছে।
-
চাকমারা মূলত মধ্য মায়ানমার ও আরাকান অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন।
-
তাদের বর্ষবরণ উৎসব হলো বিজু।
-
চাকমা ভাষার নিজস্ব লিপি থাকলেও বর্তমানে এটি ব্যবহৃত হয় না; এখন চাকমা ভাষা সাধারণত বাংলা লিপিতে লেখা হয়।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া, পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট, দৈনিক কালের কণ্ঠ, ০৪ এপ্রিল ২০১৭

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোন জেলায় চাক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে?
Created: 1 week ago
A
সিলেট
B
বান্দরবান
C
কুড়িগ্রাম
D
রাজশাহী
চাক
-
চাক হলো বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
এরা মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানার বাইশারি, নাইক্ষ্যংছড়ি, কামিছড়া, ক্রোক্ষং, বাকখালি, আলেখ্যং, ক্রোয়াংঝিড়ি ও ডুছড়ি এলাকায় বসবাস করে।
-
বান্দরবান বোমাং সার্কেলের বোমাং রাজপুস্তিকায় ও রাজ্য অভিষেক অনুষ্ঠানে চাকদের ‘মিঙসাক’ নামে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
-
চাক সমাজ প্রধানত ২টি গোত্রে বিভক্ত, যা কয়েকটি উপগোত্রে বিভক্ত। গোত্রীয় প্রতীক হলো জালোয়া বা পইত্যা (পাকানো সুতার রশি)।
-
চাকদের জীবনধারা বৈচিত্র্যপূর্ণ ও ঐতিহ্যমন্ডিত।
-
শিশুর জন্ম ও নামকরণ সংক্রান্ত অনুষ্ঠান:
-
নাইংছাঙাহাং-এ অবস্থান
-
পুতরংবুওয়ে (জন্মপরবর্তী অনুষ্ঠান)
-
ভেগলুংশাত পো (চুংবংলংউচ্ছেং ছাহেকা)
-
-
বিবাহ সংক্রান্ত প্রথা: আচাংগায়ুগা (কনে দেখা), চাঁগায়ুগা (কোষ্ঠী বিচার) সহ আরও বিভিন্ন প্রথা পালন করা হয়।
-
১৯৫৯ সালে চাক ধর্মগুরু মহাথেরো গন্ধর্ব ওয়েংসারের প্রচেষ্টায় চাক সমাজে শিক্ষার বিস্তার ঘটে।
-
চাকরা দুই ধারায় বৌদ্ধ ধর্মীয় রীতি ও বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা (লক্ষ্মীপূজা বা ওয়াইগ্যা, ফুলপূজা, প্রদীপপূজা) পালন করে।
-
পিতৃতান্ত্রিক পরিবার কাঠামোতে চাকদের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী শুধু ছেলেরা।
-
চাকরা বাড়িকে ‘কিং’ এবং গ্রামকে ‘ঠি’ বলে ডাকে।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসবের নাম কী?
Created: 1 week ago
A
সাংলান
B
চাপচারকৃত
C
বৈসু
D
ওয়ানগালা
সাধারণ বিজ্ঞান
ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য ঘটনা
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
মাতৃভাষা দিবস
No subjects available.
ত্রিপুরা
-
ত্রিপুরা একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জাতি। ব্রিটিশ শাসনের সময় ত্রিপুরা ছিল একটি দেশীয় রাজ্য।
-
১৯৪৭ সালের পর, ত্রিপুরী জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বাংলাদেশে বসবাস করে এবং নাগরিকত্ব অর্জন করে।
-
বাংলাদেশে এরা বসবাস করে পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ও মিরসরাই, নোয়াখালীর বিলোনীয়া অঞ্চল, কুমিল্লা, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে।
-
ত্রিপুরা জাতি যে ভাষায় কথা বলে তা কক্-বরক্ নামে পরিচিত।
-
কক্-বরক্ ভাষা ৫৮৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্বাধীন ত্রিপুরা রাজ্যের রাষ্ট্রভাষা ছিল।
-
ত্রিপুরা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হলে কক্-বরক্ ভাষা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা হারায়।
-
ত্রিপুরা জাতির সামাজিক কাঠামো পিতৃতান্ত্রিক।
-
এদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম বৈসু।
-
ধর্মবিশ্বাসে ত্রিপুরা জাতি সনাতন ধর্মের অনুসারী।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া, দৈনিক কালের কণ্ঠ, ০৪ এপ্রিল ২০১৭

0
Updated: 1 week ago