খাসিয়া জনগোষ্ঠীর গ্রামকে কী বলা হয়?
A
পুঞ্জি
B
মহল্লা
C
পাড়া
D
টোল
উত্তরের বিবরণ
খাসিয়া
-
খাসিয়া বাংলাদেশে বসবাসরত একটি মাতৃতান্ত্রিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তারা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত।
-
এদের আদি নিবাস বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বিশেষ করে সুনামগঞ্জ জেলা।
-
বর্তমানে তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও সদর থানায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবাস করছে।
-
খাসিয়া জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব হলো খাসি সেং কুটস্নেম, যার মাধ্যমে তারা পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।
-
খাসিয়ারা তাদের গ্রামকে ‘পুঞ্জি’ বলে ডাকে।
-
প্রতিটি পুঞ্জির প্রধানকে বলা হয় ‘সিয়েম’।
-
বর্তমানে প্রায় ৮০%-৯০% খাসিয়া খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।
-
প্রায় প্রতিটি পুঞ্জিতেই একটি করে গির্জা রয়েছে।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া ও জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযোদ্ধাভিত্তিক চলচ্চিত্র 'আগুনের পরশমণি' এর পরিচালক কে?
Created: 1 month ago
A
হুমায়ুন আহমেদ
B
মোরশেদুল ইসলাম
C
গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ
D
জহির রায়হান
আগুনের পরশমণি
-
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ‘আগুনের পরশমণি’।
-
এ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন হুমায়ূন আহমেদ।
-
নির্মাণকাল: ১৯৯৪ সাল
-
মুক্তির বছর: ১৯৯৫ সাল
-
কাহিনীতে তুলে ধরা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন অবরুদ্ধ ঢাকায় মুক্তিবাহিনীর অভিযান এবং একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সংকট।
-
অভিনয় করেছেন: আসাদুজ্জামান নূর, বিপাশা হায়াত, ডলি জহুরসহ আরও অনেকে।
-
চলচ্চিত্রটি ৮টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।
🏆 প্রাপ্ত পুরস্কারসমূহ:
-
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র – প্রযোজক হুমায়ূন আহমেদ
-
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার – হুমায়ূন আহমেদ
-
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা – হুমায়ূন আহমেদ
-
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী – বিপাশা হায়াত
-
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক – সত্য সাহা
-
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক – মফিজুল হক
-
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী – শিলা আহমেদ
-
শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার – হোসনে আরা পুতুল
📌 তথ্যসূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 month ago
বায়ুমন্ডলে যে স্তরে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়-
Created: 2 months ago
A
স্ট্রাটোস্ফিয়ার
B
ট্রাপোস্ফিয়ার
C
আয়োনোস্ফিয়ার
D
ওজোন স্তর
তাপমণ্ডল (Thermosphere):
-
তাপমণ্ডল শুরু হয় প্রায় ৮০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে, অর্থাৎ মেসোমন্ডলের উপরের অংশ থেকে।
-
এই স্তরের উপরের সীমা প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
এখানে বায়ু খুবই পাতলা এবং বায়ুচাপ অত্যন্ত কম।
-
১০০–৩০০ কিমি উচ্চতায় অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন পরমাণু সূর্যের ক্ষুদ্র তরঙ্গমাপের শক্তি শোষণ করে, যার কারণে তাপমাত্রা প্রায় ১০০০° সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
-
তাপমণ্ডলের এই আয়নিত অংশকে আয়নমণ্ডল (Ionosphere) বলা হয়।
-
আয়নমণ্ডল মূলত মেসোমন্ডলের উপরের অংশ থেকে শুরু হয়ে তাপমণ্ডলের নিচের অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে, প্রায় ৫০–১০০ কিমি উচ্চতায়।
-
এখানে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে আবার পৃথিবীর পৃষ্ঠে ফিরে আসে।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
কোনটি অর্ধ-পরিবাহী (Semi-conductor) নয়?
Created: 2 months ago
A
লোহা
B
সিলিকন
C
জার্মেনিয়াম
D
গ্যালিয়াম
পরিবাহী (Conductor)
-
যেসব পদার্থের ভেতর দিয়ে খুব সহজে বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে, তাদের বলা হয় পরিবাহী।
-
সাধারণত ধাতব পদার্থ বিদ্যুতের ভালো পরিবাহক হয়। যেমন— তামা, রূপা, লোহা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি।
-
পরিবাহীর বিদ্যুৎ প্রতিরোধ (রোধ) খুবই কম, প্রায় মাত্রার।
-
সব ধাতুর মধ্যে রূপা সবচেয়ে ভালো পরিবাহক।
অপরিবাহী (Insulator)
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে না, তাদেরকে অপরিবাহী বা অন্তরক বলে।
-
উদাহরণ: কাচ, কাঠ, রাবার, প্লাস্টিক ইত্যাদি।
-
এ ধরনের পদার্থ বিদ্যুৎ খুব কম পরিবাহন করে এবং এদের রোধের মান অত্যন্ত বেশি।
অর্ধপরিবাহী (Semiconductor)
-
যেসব পদার্থের বিদ্যুৎ পরিবাহিতা পরিবাহী ও অপরিবাহীর মাঝামাঝি, তাদেরকে অর্ধপরিবাহী বলে।
-
উদাহরণ: সিলিকন, জার্মেনিয়াম, গেলিয়াম ইত্যাদি।
-
অর্ধপরিবাহীর রোধ মাঝারি মানের হয়, যা প্রায় থেকে পর্যন্ত হতে পারে।
সহজভাবে বললে—
-
পরিবাহী বিদ্যুৎ সহজে চালায়।
-
অপরিবাহী বিদ্যুৎ একদমই চালায় না।
-
আর অর্ধপরিবাহী মাঝামাঝি, কখনো বিদ্যুৎ চালায় আবার কখনো চালায় না, তাই প্রযুক্তিতে এগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago