A
মৌলভীবাজার
B
বান্দরবান
C
কক্সবাজার
D
রাঙ্গামাটি
উত্তরের বিবরণ
কন্দ
-
কন্দ বাংলাদেশের অন্যতম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তাদের আদিনিবাস ভারতের উড়িষ্যা রাজ্য।
-
উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে তারা চা ও রেল শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশে আসে এবং রেললাইন নির্মাণের কাজে যোগ দেয়। রেললাইন নির্মাণ শেষে একাংশ স্থায়ীভাবে থেকে যায় এবং চা-বাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে।
-
বর্তমানে তারা মূলত মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া, উদনাছড়া, পুটিয়া, লাখাউড়া এবং কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমাছড়া চা-বাগানে বসবাস করছে।
-
অন্যান্য জনগোষ্ঠী তাদের স্থানীয়ভাবে ‘কুই’ নামে ডাকে; আবার কোথাও কোথাও তারা ‘উড়িয়া’ নামেও পরিচিত।
-
তাদের সঙ্গে মধ্যভারতের ভীল, কোল, মুন্ডা প্রভৃতি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সাদৃশ্য রয়েছে।
-
কন্দ জনগোষ্ঠী পাঁচটি দলে বিভক্ত, আর প্রতিটি দল ভিন্ন ভিন্ন গোত্র বা বংশে ভাগ করা।
-
তাদের সমাজ পুরুষ-প্রধান; পরিবারের পুত্রসন্তানেরাই পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
-
কন্দরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতো বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করে।
-
নিজেদের ভাষায় দেবতাদের বিশেষ নাম রয়েছে, যেমন: ময়মুরুবিব, ত্রিনাথ প্রভৃতি; এগুলো তাদের পারিবারিক দেবতা।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
পাংখোয়া জনগোষ্ঠী কোন ধর্মে বিশ্বাসী?
Created: 1 week ago
A
বৌদ্ধ
B
খ্রিস্টান
C
হিন্দু
D
মুসলিম
পাংখোয়া
-
পাংখোয়া হলো বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অন্যতম আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
এদের বসতি বিস্তৃত রাঙামাটি জেলার সাজেক উপত্যকা থেকে বান্দরবানের রুমা পর্যন্ত এবং ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায়।
-
পাংখোয়া জনগোষ্ঠীর ধর্মবিশ্বাস বৌদ্ধধর্ম, তবে প্রকৃতি উপাসনাও সমাজে প্রচলিত।
-
তাদের সৃষ্টিকর্তার নাম: ‘পত্যেন’
-
প্রধান উপাস্য দেবতার নাম: ‘খোজিং’
-
খোজিং পূজা শ্রাবণ মাসে অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি পাংখোয়া সমাজের সর্ববৃহৎ উৎসব।
-
পাংখোয়া সমাজ পিতৃতান্ত্রিক, পিতার মৃত্যুর পর পুত্রসন্তানরা পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
-
জনগোষ্ঠীটি দুইটি গোত্রে বিভক্ত: পাংখোয়া ও ভানজাঙ।
-
ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান ও পূজাপার্বণ নিয়ে এদের নিজস্ব সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।
-
পাংখোয়া জনগোষ্ঠীতে মৃতদেহ কবর দেওয়ার রীতি প্রচলিত।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি DNA-এর নাইট্রোজেন বেস?
Created: 1 month ago
A
ইউরাসিল
B
গোয়ানিন
C
পিরিডক্সিন
D
অ্যাসপারাজিন
ডিএনএ (DNA)
-
Deoxyribo Nucleic Acid (DNA) হলো ক্রোমোসোমের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্থায়ী উপাদান।
-
ক্রোমোসোমে থাকা বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে DNA প্রায় ৪৫% অংশ জুড়ে থাকে।
-
এটি ৯০% ক্রোমোসোমে বিদ্যমান থাকে, যা তার বিস্তৃত উপস্থিতিকে নির্দেশ করে।
-
DNA একটি পলিমারিক যৌগ, যার গঠনের একক একককে নিউক্লিয়োটাইড বলা হয়।
-
প্রতিটি নিউক্লিয়োটাইড গঠিত তিনটি মূল অংশ নিয়ে:
-
পাঁচ-কার্বনবিশিষ্ট ডিঅক্সিরাইবোজ চিনির অণু,
-
নাইট্রোজেনযুক্ত একটি ক্ষারক (যথা: অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, থায়ামিন, সাইটোসিন),
-
এবং একটি ফসফরিক অ্যাসিড।
-
আরএনএ (RNA)
-
RNA এর পূর্ণরূপ হলো Ribo Nucleic Acid।
-
এটি DNA এর মতো স্থায়ী উপাদান নয়, বরং সাময়িকভাবে কার্য সম্পাদনে অংশগ্রহণ করে।
-
ক্রোমোসোমে RNA এর পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম, যা ০.২% থেকে ১.৪% পর্যন্ত হয়ে থাকে।
-
প্রতিটি RNA অণু একসূত্র বিশিষ্ট (single-stranded)।
-
এর গঠন উপাদান তিনটি:
-
রাইবোজ শর্করা, যার ২ নম্বর কার্বনে একটি অক্সিজেন অণু উপস্থিত থাকে,
-
একটি অজৈব ফসফেট,
-
এবং নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষারক (যেমন: অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও ইউরাসিল)।
-
-
RNA-তে থায়ামিন অনুপস্থিত; তার পরিবর্তে ইউরাসিল ক্ষারক থাকে।
-
এটি সাধারণত ১০% ক্রোমোসোমে পাওয়া যায়।
-
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ভাইরাসের ক্ষেত্রে RNA অনেক সময় স্থায়ী জিনগত উপাদান হিসেবে কাজ করে।
তথ্যসূত্র: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
কোন আলোক তরঙ্গ মানব চোখে দেখতে পাওয়া যায়?
Created: 2 weeks ago
A
১০ থেকে ৪০০ নেমি (nm)
B
৪০০ থেকে ৭০০ নেমি (nm)
C
১০০ মাইক্রোমিটার (um) থেকে ১ মি(m)
D
১ মি(m) - এর ঊধবে
আলো হলো একটি বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ।
-
আমরা সব ধরনের আলো দেখতে পাই না।
-
যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৪০০ ন্যানোমিটার থেকে ৭০০ ন্যানোমিটার পর্যন্ত, সেই আলোই আমরা দেখতে পাই।
-
ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো বেগুনি রঙের হয়। তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বাড়ে, আলো তার রঙ পরিবর্তন করে।
-
এই ধরনের আলোকে আমরা দৃশ্যমান আলো বা আই-লাইট বলি।
-
আলোর তরঙ্গ একটি অনুপ্রস্থ তরঙ্গ।
বিভিন্ন বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় বিকিরণের তরঙ্গদৈর্ঘ্য (nm = 10⁻⁹ m):
-
মহাজাগতিক রশ্মি: <0.00005 nm
-
গামা রশ্মি: 0.0005 – 0.15 nm
-
এক্স-রে (রঞ্জন রশ্মি): 0.01 – 10 nm
-
অতিবেগুনি রশ্মি: <380 nm
-
দৃশ্যমান আলো: 400 – 700 nm
-
ইনফ্রারেড (অবলোহিত) আলো: >700 nm
-
রেডিও ও টেলিভিশন তরঙ্গ: >2.2 × 10⁵ nm
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago