A
কুষ্টিয়া
B
বগুড়া
C
কুমিল্লা
D
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
উত্তরের বিবরণ
প্রাচীন গৌড় নগরী
প্রাচীন গৌড় নগরীর একটি অংশ বর্তমান বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় অবস্থিত।
গৌড় নগরী সম্পর্কে ধারণা করা হয়, গুড় উৎপাদনের একটি কেন্দ্র হিসেবে এই নগরের নামকরণ হয়েছিল ‘গৌড়’। পরবর্তীকালে এই গৌড় নগরকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে গৌড় জনপদ। জনপদটি এতটাই খ্যাতি অর্জন করেছিল যে, এক সময় সমগ্র বাংলাকে ‘গৌড়দেশ’ হিসেবে অভিহিত করা হতো।
গৌড় ছিল বাংলার এক সময়কার রাজধানী এবং এটি এখন একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন নগর। এই নগরের অবস্থান বর্তমান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায়। এটি ‘লক্ষণাবতী’ বা ‘লখনৌতি’ নামেও পরিচিত ছিল।
প্রাচীন এই দুর্গনগরীর অধিকাংশ অঞ্চল বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদা জেলায় অবস্থিত, আর এর কিছু অংশ রয়েছে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। সেনবংশীয় রাজারা নিজেদের ‘গৌড়েশ্বর’ উপাধিতে অভিষিক্ত করে গর্ব অনুভব করতেন।
চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ, রাজা শশাঙ্ককে ‘কর্ণসুবর্ণ’ দেশের সম্রাট বলে উল্লেখ করেছেন। অপরদিকে, ‘হর্ষচরিত’ গ্রন্থে শশাঙ্ককে ‘গৌড়াধিপতি’ বলা হয়েছে। এ তথ্য থেকে ধারণা করা যায়, কর্ণসুবর্ণ দেশ ও গৌড়দেশ মূলত অভিন্ন।
গৌড় জনপদের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ।
তথ্যসূত্র:
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা, (এইচএসসি প্রোগ্রাম), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
কোন মুঘল সুবাদার চট্টগ্রাম দখল করে এর নাম রাখেন ইসলামাবাদ?
Created: 1 week ago
A
ইসলাম খান
B
রাজা মানসিংহ
C
মীর জুমলা
D
শায়েস্তা খান
• বাংলার মুঘল সুবাদার — শায়েস্তা খান চট্টগ্রাম দখল করে এর নাম রাখেন — ইসলামাবাদ।
• শায়েস্তা খান:
- শায়েস্তা খান ছিলেন বাংলার মুঘল সুবাদার।
- ১৬৭৮-৭৯ খ্রিস্টাব্দে এক বছরের সামান্য বেশি সময়ের বিরতিসহ দীর্ঘ ২৪ বছর তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
- তিনি ছিলেন মুঘল সম্রাট — আওরঙ্গজেবের মামা।
- তিনি যখন ঢাকায় পৌঁছেন তখন তাঁর বয়স ছিল ৬৩ বছর।
- ১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দে মীরজুমলার মৃত্যুর পর শায়েস্তা খান বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন।
- প্রধানত চট্টগ্রাম জয়ের জন্যই বাংলায় শায়েস্তা খানের বিশাল খ্যাতি।
- ১৬৬৬ সালে বাংলার মোঘল শাসক শায়েস্তা খান তাঁর পুত্র বুজুর্গ — ওমেদখানের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিজয় সম্পন্ন করেন।
- তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলের নাম রাখেন — ইসলামাবাদ।
উৎস:
i) বাংলাপিডিয়া।
ii) জাতীয় তথ্য বাতায়ন।
iii) ইতিহাস - চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, ccc.gov.bd.

0
Updated: 1 week ago
বাংলায় মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক শিক্ষা প্রচলনের জন্য কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন?
Created: 1 week ago
A
সৈয়দ আমীর আলী
B
নওয়াব আবদুল লতিফ
C
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ
D
স্যার সৈয়দ আহমেদ খান
বাংলার মুসলমানদের আধুনিক শিক্ষায় অগ্রগতিতে নওয়াব আবদুল লতিফের উল্লেখযোগ্য অবদান
বাংলার মুসলমান সমাজে আধুনিক ও পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার এবং জাগরণে যাঁদের ভূমিকা স্মরণীয়, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নওয়াব আবদুল লতিফ। তিনি ১৮২৮ সালে ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং কলকাতা মাদ্রাসায় ইংরেজি শিক্ষালাভের মধ্য দিয়ে তাঁর শিক্ষাজীবনের সূচনা ঘটে।
শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি প্রথমে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল এবং পরবর্তীতে কলকাতা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। এরপর ১৮৪৯ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়ে ডিপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ শুরু করেন।
দীর্ঘ কর্মজীবনের সফলতার ধারাবাহিকতায় তিনি ১৮৭৭ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সির ম্যাজিস্ট্রেট পদে উন্নীত হন এবং ১৮৮৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
সরকার তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ‘খান বাহাদুর’, ‘নওয়াব’, ও পরে ‘নওয়াব বাহাদুর’ উপাধিতে সম্মানিত করে। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, মুসলিম সমাজের উন্নয়নে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজি ও আধুনিক জ্ঞানচর্চা জরুরি।
এই উপলব্ধি থেকেই তিনি এমন কিছু মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি পাশ্চাত্য শিক্ষার সুযোগও রাখা হয়।
১৮৬৩ সালে তিনি কলকাতায় গঠন করেন 'মোহামেডান লিটারারি সোসাইটি' বা ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’। এই প্রতিষ্ঠান মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক চিন্তাধারা ও সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উল্লেখ্য, এই সাহিত্য সমিতির প্রতিষ্ঠা ছিল বাংলার মুসলমানদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক জাগরণ এবং পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে আবদুল লতিফের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (এইচএসসি), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়; বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি)।

0
Updated: 1 week ago
ঢাকায় সুবা-বাংলার রাজধানী কখন স্থাপিত হয়?
Created: 1 week ago
A
১৬১০ সালে
B
১৫৭৬ সালে
C
১৯০৫ সালে
D
১৯৪৭ সালে
ঢাকায় সর্বপ্রথম বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয় — ১৬১০ খ্রিঃ।
• রাজধানী হিসেবে ঢাকা:
- এটি বাংলাদেশের — বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত বৃহত্তম শহর।
- মুঘল সম্রাট আকবরের সময় বাংলার রাজধানী ছিল — বিহারের রাজমহল।
- মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ইচ্ছানুযায়ী — ১৬১০ সালে ঢাকাকে সর্বপ্রথম সুবাহ বাংলার রাজধানী ঘোষণা করা হয়।
- সম্রাট জাহাঙ্গীর-এর নাম অনুসারে রাজধানীর নাম — 'জাহাঙ্গীরনগর' রাখা হয়।
উল্লেখ্য,
• ১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার শাহ সুজা রাজধানী আবার রাজমহলে স্থানান্তর করেছিলেন। শাহ সুজার পতনের পর ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার মীর জুমলা আবার রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
• ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার মুর্শিদ কুলি খান রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন।
- বঙ্গভঙ্গের পর ১৯০৫ সালে ঢাকাকে আসাম ও বাংলার রাজধানী করা হয়।
• কংগ্রেসের বাধার মুখে ব্রিটিশ রাজ আবার ১৯১১ সালে রাজধানী কলকাতায় ফিরিয়ে নেয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান এবং স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব বাংলা নামে নতুন প্রদেশের রাজধানী হওয়ায় ঢাকার উথানে অধিকতর স্থায়ী উন্নয়ন সাধিত হয়।
• ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ঢাকা রাজনৈতিক , প্রশাসনিক কার্যকলাপ এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্ররূপে মর্যাদা লাভ করে।
উৎস: ঢাকা জেলা, dhaka.gov.bd.জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 1 week ago