বীরশ্রেষ্ঠ পদকপ্রাপ্তদের সংখ্যা কত?
A
সাত
B
আট
C
ছয়
D
পাঁচ
উত্তরের বিবরণ
• বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ৭ জনকে সর্বোচ্চ সামরিক পদবী 'বীরশ্রেষ্ঠ' প্রদান করা হয়।
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ হলেন -
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেঃ মতিউর রহমান,
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল,
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর,
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান,
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ,
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন,
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের পদবি কী ছিল?
Created: 5 months ago
A
সিপাহী
B
ল্যান্সনায়েক
C
লেফটেন্যান্ট
D
ক্যাপ্টেন
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক ‘বীরশ্রেষ্ঠ’-এ ভূষিত ৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার একজন হলেন বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান। তাঁর পদবি ছিল ‘সিপাহী’।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় যাঁরা পেয়েছেন 'বীরশ্রেষ্ঠ' খেতাব:
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের জন্য বাংলাদেশের ৭ জন বীর সন্তানকে সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ প্রদান করা হয়েছে। তাঁরা সবাই শহীদ।
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম ও পদবি:
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান
-
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল
-
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
-
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান
-
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ
-
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন
-
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 5 months ago
নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিলেন কে?
Created: 2 months ago
A
রফিক
B
নূর হোসেন
C
শামসুজ্জোহা
D
আসাদ
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন
-
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক অভ্যুত্থারের মাধ্যমে সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখল করে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
-
এরশাদের ক্ষমতা দখলের পর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয় প্রধানত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
-
টানা ৯ বছর চলা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য, যা স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের মূল শক্তি হিসেবে কাজ করে।
-
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর অবশেষে এরশাদ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
-
আন্দোলনের সময়ে গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নামা তরুণ নুর হোসেন পুলিশের গুলিতে শহিদ হন।
-
নুর হোসেন শহিদের মৃত্যু হয় ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা।
0
Updated: 2 months ago
বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের কবর কোন জেলায়?
Created: 3 months ago
A
নাটোর
B
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
C
জয়পুরহাট
D
নওগাঁ
বাংলার মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সাত বীরশ্রেষ্ঠের একজন ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর। তাঁর কবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত, যেখানে তাঁর বীরত্বগাথা চিরকাল ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করে থাকবে।
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৯ সালের ৭ই মার্চ, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে। তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু হয় ১৯৫৩ সালে, পাতারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
পরে ১৯৬৪ সালে মুলাদি মাহমুদ জান পাইলট হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং ১৯৬৬ সালে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।
এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু দেশমাতৃকার টানে ১৯৬৭ সালের ৩ অক্টোবর তিনি ১৫তম শর্ট সার্ভিস কোর্সের মাধ্যমে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৬৮ সালের ২ জুন তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন লাভ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি ৭ নম্বর সেক্টরের মহদীপুর সাব-সেক্টরের অধীনে অংশগ্রহণ করেন। আরগরারহাট, কানসাট ও শাহপুর অঞ্চলে তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সাফল্যের সাথে অভিযান পরিচালনা করে মুক্তাঞ্চল গড়ে তোলেন।
১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি মুক্তিবাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আক্রমণ শুরু করেন।
পরবর্তী ১৪ ডিসেম্বর সকালে, অসম সাহসিকতা প্রদর্শনকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর স্নাইপার গুলিতে তিনি শহীদ হন। তাঁর শেষ ইচ্ছানুযায়ী, তাঁকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ এলাকায় দাফন করা হয়।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 3 months ago