আনুমানিক কত বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়?
A
৫,০০০ বছর
B
১০,০০০ বছর
C
২৫,০০০ বছর
D
৫০,০০০ বছর
উত্তরের বিবরণ
প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ:
-
আজ থেকে প্রায় ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়।
-
এ অঞ্চলের মাটির রঙ লাল ও ধূসর।
-
দেশের উত্তর-পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি এর অন্তর্ভুক্ত।
-
ধারণা করা হয় যে, প্লাইস্টোসিনকালে এসব উচ্চভূমি গঠিত হয়েছিল।
ক) বরেন্দ্রভূমি:
-
বরেন্দ্রভূমি রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত।
-
এর আয়তন ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার।
-
প্লাবন সমভূমি থেকে এর উচ্চতা ৬ থেকে ১২ মিটার।
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের সর্ববৃহৎ উঁচুভূমি।
-
বর্তমানে বরেন্দ্র বহুমুখী সেচ প্রকল্প এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ অঞ্চলকে কৃষিকাজের জন্য বিশেষ উপযোগী করা হয়েছে।
খ) মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়:
-
টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবং গাজীপুর জেলার ভাওয়ালের গড় নিয়ে এলাকাটি গঠিত।
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের দ্বিতীয় বৃহত্তম উঁচুভূমি।
-
সমভূমি থেকে এর গড় উচ্চতা প্রায় ৩০ মিটার এবং আয়তন ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার।
-
এখানকার মৃত্তিকা কৃষিকাজের জন্য তেমন উপযোগী নয়, তবে এটি দেশের গজারী বৃক্ষের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
গ) লালমাই পাহাড়:
-
কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
এর আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গকিলোমিটার এবং গড় উচ্চতা ২১ মিটার।
-
পাহাড়ের মাটি লাল এবং নুড়ি, বালি ইত্যাদি দ্বারা গঠিত।
তথ্যসূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন প্রক্রিয়া রূপান্তরিত শিলা গঠনে সাহায্য করে?
Created: 1 week ago
A
ভূ-আন্দোলন
B
অগ্ন্যুৎপাত
C
ভূমিকম্প
D
উপরোক্ত সব
রূপান্তরিত শিলা (Metamorphic Rocks) হলো সেই শিলা যা আগ্নেয় বা পাললিক শিলা প্রচণ্ড চাপ, উত্তাপ এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়ার ফলে রূপান্তরিত হয়ে নতুন বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। এই রূপান্তর ঘটে মূলত ভূ-আন্দোলন, অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প, রাসায়নিক প্রক্রিয়া বা ভূগর্ভস্থ তাপের প্রভাবে।
উদাহরণ:
-
চুনাপাথর → মার্বেল
-
বেলেপাথর → কোয়ার্টজাইট
-
কাদা ও শেল → স্লেট
-
গ্রানাইট → নিস
-
কয়লা → গ্রাফাইট
রূপান্তরিত শিলার বৈশিষ্ট্য:
-
সাধারণত কেলাসিত (fused) হয়, কারণ তাপ ও চাপে মূল শিলার পরিবর্তন ঘটে।
-
কাঠিন্য বৃদ্ধি পায়, ফলে অন্যান্য শিলার তুলনায় বেশি শক্ত ও মজবুত হয়।
-
সাধারণত জীবাশ্মবিহীন, কারণ অতিরিক্ত তাপ ও চাপের কারণে মূল শিলার জীবাশ্ম বিলুপ্ত হয়ে যায়।
-
শিলার উপাদানগুলি প্রায়শই সমান্তরালভাবে অবস্থান করে, যা আনুভূমিক, তির্যক বা বক্র আকার ধারণ করতে পারে।

0
Updated: 1 week ago
পারস্য উপসাগর কোন মহাসাগরের অংশ?
Created: 3 weeks ago
A
দক্ষিণ মহাসাগর
B
ভারত মহাসাগর
C
আটলান্টিক মহাসাগর
D
প্রশান্ত মহাসাগর
পারস্য উপসাগর হলো ভারত মহাসাগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপসাগর, যা পশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত এবং বাণিজ্য ও ভূগোলিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
-
পারস্য উপসাগর ভারত মহাসাগরের অংশ এবং ওমান উপসাগরের একটি সম্প্রসারিত অংশ। এটি পূর্বে হরমুজ প্রণালীর মাধ্যমে ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত।
-
পারস্য উপসাগরকে আরব উপসাগর বা ইরান উপসাগরও বলা হয়।
-
এর মোট আয়তন প্রায় ২,৫১,০০০ বর্গকিলোমিটার।
-
সর্বোচ্চ গভীরতা প্রায় ৯০ মিটার, এবং গড় গভীরতা প্রায় ৫০ মিটার।
-
পারস্য উপসাগরকে বিভিন্ন দেশ দ্বারা বেষ্টিত করা হয়েছে:
-
উত্তরে: ইরান
-
উত্তর-পশ্চিমে: বাহরাইন, ইরাক, কুয়েত
-
দক্ষিণে: কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন
-
-
উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য প্রায় ৫,১১৭ কিলোমিটার, যার মধ্যে ইরানের উপকূলরেখা ১,৫৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ।
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 3 weeks ago
নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে বছরে গড়ে কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
১২০০-২৫০০ মি.মি.
B
১০০০-২১০০ মি.মি.
C
১৭০০-২৫০০ মি.মি.
D
১৩০০-২৩০০ মি.মি.
নিরক্ষীয় জলবায়ু হলো সেই ধরনের জলবায়ু যা পৃথিবীর নিরক্ষরেখার নিকটে অবস্থানরত দেশসমূহে বিরাজমান। সূর্যের অবস্থান এখানে প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে, যা তাপমাত্রা, আবহাওয়া এবং জলবায়ুর প্রকৃতি নির্ধারণ করে।
নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য:
-
নিরক্ষরেখার নিকটবর্তী দেশগুলোতে সূর্য প্রায় সারাবছর লম্বভাবে কিরণ প্রদান করে, ফলে এখানে গ্রীষ্মঋতুর প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
-
উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর কারণে দিন-রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তনশীল থাকে। শীতের প্রকোপ নেই বললেই চলে।
প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
সারাবছর সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়, তাই গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেশি থাকে।
-
দিনের দৈর্ঘ্য সারা বছর প্রায় একই থাকে।
-
বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২১°–২৭° সে.
-
স্থলভাগের বার্ষিক সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ৫০° সে.-এর কম। অতিরিক্ত সূর্য তাপ, আর্দ্রতা ও সামান্য মেঘাচ্ছন্নতার কারণে তাপমাত্রার পার্থক্য কম।
-
সূর্য তাপ ও জলভাগের প্রাচুর্যের কারণে বাষ্পীভবনের মাত্রা বেশি, ফলে এখানে পরিচলন বৃষ্টিপাত বেশি হয়; বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৭০০–২৫০০ মিমি।
-
মৃত্তিকা কৃষিকাজের জন্য উপকারী, তবে অতিরিক্ত তাপ ও বৃষ্টিপাতের কারণে মাটি ক্ষয় হয়।

0
Updated: 2 weeks ago