মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক নাটক-
A
সুবচন নির্বাসনে
B
রক্তাক্ত প্রান্তর
C
নূরলদীনের সারা জীবন
D
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
উত্তরের বিবরণ
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
-
লেখক: সৈয়দ শামসুল হক।
-
এটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাব্যনাট্য।
-
নাটকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় একটি প্রত্যন্ত গ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
-
মূল বক্তব্য হলো—বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের পদধ্বনি, অর্থাৎ স্বাধীনতার বার্তা।
নূরলদীনের সারাজীবন
-
লেখক: সৈয়দ শামসুল হক।
-
প্রকাশকাল: ১৯৮২ সাল।
-
নাটকটি রচিত হয়েছে রংপুরের কৃষক বিদ্রোহের নেতা নূরলদীন-এর জীবনসংগ্রামকে কেন্দ্র করে।
-
এতে তাঁর সামন্তবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন চিত্রিত হয়েছে।
-
নূরলদীনের অমর আহ্বান— “জাগো বাহে, কোনঠে সবাই”।
-
কাব্যনাটকটি মোট ১৪টি দৃশ্য নিয়ে গঠিত।
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
লেখক: মুনীর চৌধুরী।
-
কাহিনি নেয়া হয়েছে মহাকবি কায়কোবাদের “মহাশ্মশান” গ্রন্থ থেকে।
-
এটি তাঁর প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
-
নাটকের পটভূমি: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ (১৭৬১)।
-
এটি সরাসরি ঐতিহাসিক নয়, বরং ইতিহাস-আশ্রিত নাটক।
-
জনপ্রিয় উক্তি: “মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়।” — বলেন নবাব সুজাউদ্দৌলা।
-
নাটকের চরিত্র: ইব্রাহিম কার্দি, জোহরা, হিরণবালা প্রমুখ।
সুবচন নির্বাসনে
-
লেখক: আবদুল্লাহ আল মামুন।
-
কাহিনি দেশের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে কেন্দ্র করে আবর্তিত।
-
এটি তাঁর বিখ্যাত নাটকগুলোর একটি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।, সুবচন নির্বাসনে নাটক।, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
'মানুষ মরে গেলে পচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়।'- উক্তিটি কোন রচনার অন্তর্ভুক্ত?
Created: 3 weeks ago
A
সাজাহান
B
কবর
C
রক্তাক্ত প্রান্তর
D
নুরলদীনের সারাজীবন
রক্তাক্ত প্রান্তর ও মুনীর চৌধুরী
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটকটি মুনীর চৌধুরী রচিত এবং মহাকবি কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ গ্রন্থের কাহিনি অবলম্বনে রচিত।
-
এটি মুনীর চৌধুরীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
-
নাটকটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ (১৭৬১)-এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন অঙ্কে রচিত।
-
যদিও ঘটনাভিত্তিক, এটি একটি ইতিহাস-আশ্রিত নাটক, সরাসরি ঐতিহাসিক রচনা নয়।
-
নাটকের জনপ্রিয় উক্তি: “মানুষ মরে গেলে পচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়।” — নবাব সুজাউদ্দৌলার মুখোমুখি বলা।
নাটকের প্রধান চরিত্র:
-
ইব্রাহিম কার্দি
-
জোহরা
-
হিরণবালা
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটক:
-
‘সাজাহান’ — দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত ঐতিহাসিক নাটক (১৯০৯)
-
‘কবর’ — মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক, ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা; ১৯৫৩ সালে জেলের রাজবন্দিদের দ্বারা প্রথম অভিনীত, ১৯৬৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত।
-
‘নুরলদীনের সারাজীবন’ — সৈয়দ শামসুল হক রচিত ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক নাটক।

0
Updated: 3 weeks ago
'রক্তকরবী' নাটকের অন্তর্গত বিষয় কী?
Created: 3 weeks ago
A
নতুনের জয়গান গাওয়া
B
সামন্তবাদের বিলুপ্তি দেখানো
C
শ্রমিকদের অপ্রাপ্তি তুলে ধরা
D
পুঁজিবাদের নেতিবাচক প্রভাব দেখানো
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ একটি সাংকেতিক নাটক, যা পুঁজিবাদের নেতিবাচক প্রভাব এবং এর ফলে মানুষের জীবনের সৌন্দর্য, স্বাভাবিকতা ও মানবিকতার ক্ষয়কে ফুটিয়ে তোলে।
নাটকটি মানুষের প্রেম, জীবন ও স্বাধীনতার মূল্যকে প্রধান করে যান্ত্রিকতা ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানবিকতার জয়গান করে।
• 'রক্তকরবী' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী:
-
ক্ষপুরীর রাজার অর্থলোভ ও প্রজাশোষণের চিত্র ফুটে উঠেছে।
-
রাজা সোনার খনির কুলিদের মানুষ হিসেবে নয়, কেবল উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে দেখেন।
-
মানুষের প্রেম, সৌন্দর্য ও মনুষ্যত্ব নিপীড়িত হয়।
-
নন্দিনী প্রেম ও জীবনের প্রতীক হিসেবে শোষণের বিরুদ্ধে আনন্দের দূত হয়ে আবির্ভূত হন।
-
তিনি সবাইকে মুক্ত জীবনের দিকে আহ্বান জানান।
-
রাজা নন্দিনীকে জোর করে পেতে চাইলেও প্রেম ও সৌন্দর্য জয়ী হয়।
-
রঞ্জন, নন্দিনীর প্রেমাস্পদ, যান্ত্রিকতার শিকার হয়ে নিঃশেষিত হয়।
-
নাটক জীবনের প্রাণশক্তির জয় এবং যান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে মানবিকতার বার্তা দেয়।
• 'রক্তকরবী' নাটক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংকেতিক নাটক।
-
রচিত হয়েছে বাংলা ১৩৩০ সনের শিলং-এর শৈলবাসে।
-
প্রথম নাম ছিল যক্ষপুরী, পরে আশ্বিন ১৩৩০ সালে প্রকাশিত হলে নামকরণ হয় রক্তকরবী।
-
নাটকে ধনের উপর ধান্যের, শক্তির উপর প্রেমের, মৃত্যুর উপর জীবনের জয়গান গাওয়া হয়েছে।
• নাটকটির উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
নন্দিনী: নিপীড়িত মানুষের মাঝে আনন্দের দূত।
-
রঞ্জন: বিদ্রোহের বাণী বহনকারী; শেষপর্যন্ত মানুষের প্রাণশক্তির জয়।
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কিছু রূপক-সাংকেতিক নাটক:
-
শারদোৎসব
-
রাজা
-
ডাকঘর
-
অচলায়তন
-
ফাল্গুনী
-
গুরু
-
অরূপরতন
-
মুক্তধারা
-
রক্তকরবী
-
কালের যাত্রা
-
তাসের দেশ

0
Updated: 3 weeks ago
বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলিম নাট্যকার রচিত নাট্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 4 months ago
A
জগৎ মোহিনী
B
বসন্তকুমারী
C
আয়না
D
মোহনী প্রেমপাস
‘বসন্তকুমারী’ নাটক:
মীর মশাররফ হোসেন রচিত ‘বসন্তকুমারী’ (১৮৭৩) বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নাটক। এটি মুসলমান নাট্যকার কর্তৃক রচিত প্রথম নাটক হিসেবে বিবেচিত।
নাটকটির কাহিনিতে রয়েছে—ইন্দ্রপুরের এক বৃদ্ধ রাজার যুবতী রাণী গ্রহণ, সেই রাণীর রাজার যুবক পুত্রের প্রতি আকর্ষণ, প্রেম নিবেদন, পুত্রের প্রত্যাখ্যান এবং বিমাতার প্রতিহিংসাপরায়ণ ষড়যন্ত্র—যার পরিণতিতে রাজপরিবারের সবার মৃত্যু ঘটে।
নাটকটির অপর নাম ‘বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা’।
এছাড়া একই বছর মীর মশাররফ হোসেন রচিত তাঁর দ্বিতীয় নাটক ‘জমীদার দর্পণ’ প্রকাশিত হয়।
মীর মশাররফ হোসেন:
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন উনিশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিক, যিনি উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ রচনায় বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।
তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকা-র মফঃস্বল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে আজিজননেহার ও হিতকরী নামক দুটি পত্রিকার সম্পাদনা করেন।
তিনি ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্রের সমসাময়িক গদ্যশিল্পী এবং বাঙালি মুসলমান সাহিত্যজগতের অগ্রদূত।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম:
নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
টালা অভিনয়
উপন্যাস:
-
বিষাদ-সিন্ধু
আত্মজীবনীমূলক রচনা:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 4 months ago