A
১৯০৯
B
১৯১০
C
১৯১৪
D
১৯২১
উত্তরের বিবরণ
সবুজপত্র পত্রিকা
বাংলা সাহিত্যে চলিত গদ্যরীতি প্রথম প্রবর্তন করেন প্রমথ চৌধুরী। তিনি ১৯১৪ সালে (বৈশাখ ১৩২১ বঙ্গাব্দ) মাসিক ‘সবুজপত্র’ পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন, যা প্রায় ১৩ বছর ধরে প্রকাশিত হয়েছিল। এই পত্রিকার মাধ্যমেই বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতি প্রতিষ্ঠা পায়।
প্রমথ চৌধুরী
-
বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপ নিয়ে প্রথম তুলনামূলক আলোচনা করেন প্রমথ চৌধুরী।
-
তিনি ছিলেন চলিত গদ্যের প্রবর্তক ও একাধারে বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক।
-
তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
-
১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বীরবলের হালখাতা’ নামক প্রবন্ধে প্রথম তিনি চলিত রীতির ব্যবহার করেন।
-
বাংলা কাব্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেট রূপ প্রবর্তন করেন।
-
তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘সবুজপত্র’ (১৯১৪) বাংলা গদ্যে এক নতুন যুগের সূচনা করে।
প্রবন্ধগ্রন্থসমূহ
-
নানা কথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
প্রবন্ধ সংগ্রহ
-
বীরবলের হালখাতা
-
তেল-নুন-লকড়ি
গল্পগ্রন্থসমূহ
-
চার ইয়ারী কথা
-
নীললোহিত
-
আহুতি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা নয় কোনটি?
Created: 1 week ago
A
তিলোত্তমা কাব্য
B
মেঘনাদ বধ কাব্য
C
বেতাল পঞ্চবিংশতি
D
বীরাঙ্গনা
'বেতাল পঞ্চবিংশতি' (১৮৪৭)
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত বই হলো ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’। এই গ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়েই তিনি প্রথম বাংলায় যতি বা বিরামচিহ্ন ব্যবহার করেন।
'তিলোত্তমাসম্ভব' কাব্য
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত একটি প্রসিদ্ধ কাব্য হলো ‘তিলোত্তমাসম্ভব’।
-
এর কাহিনী নেওয়া হয়েছে মহাভারতের সুন্দ ও উপসুন্দের কাহিনী থেকে।
-
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৬০ সালে গ্রন্থাকারে।
-
এই কাব্যেই মধুসূদন প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন।
'মেঘনাদবধ কাব্য'
-
মধুসূদনের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য হলো ‘মেঘনাদবধ কাব্য’।
-
এটি রচিত হয় ১৮৬১ সালের জুন মাসে।
-
মহাকাব্যের কাহিনী নেওয়া হয়েছে রামায়ণ থেকে, তবে কেবল একটি ছোট অংশকে ভিত্তি করে তিনি এ কাব্য রচনা করেন।
-
পুরো কাব্যটি নয় সর্গে রচিত, যেখানে মাত্র তিন দিন দুই রাতের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
-
প্রধান চরিত্রসমূহ হলো: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা, সরমা ইত্যাদি।
-
সর্গগুলোর নাম: অভিষেক, অস্ত্রলাভ, সমাগম, অশোক বন, উদ্যোগ, বধ, শক্তিনির্ভেদ, প্রেতপুরী, সংস্ক্রিয়া।
'বীরাঙ্গনা কাব্য'
-
মাইকেল মধুসূদন দত্তের আরেকটি বিখ্যাত রচনা হলো ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’।
-
এটি পত্রাকারে লেখা কাব্য, যা প্রকাশিত হয় ১৮৬২ সালে।
-
বাংলা সাহিত্যে এই ধরনের পত্রকাব্যের সূচনা মধুসূদনের হাতেই হয়।
-
তিনি এটি রচনা করেছিলেন রোমান কবি ওভিডের ‘হেরোইডাইদ্স’ কাব্যের আদলে।
-
এতে মোট ১১টি পত্র রয়েছে।
-
এই কাব্যে পৌরাণিক নারীরা আধুনিক মনোভাব নিয়ে নিজেদের প্রেম, আকাঙ্ক্ষা ও আবেগ প্রকাশ করেছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ কী ধরনের রচনা?
Created: 4 weeks ago
A
ছোটগল্প
B
কাব্যনাটক
C
উপন্যাস
D
পত্রপন্যাস
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় সৈয়দ শামসুল হক রচিত একটি কাব্যনাট্য। এখানে মুক্তিযুদ্ধকে মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনায় তুলে ধরা হয়েছে। নাটকটিতে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ শত্রু মুক্ত হওয়ার সময়কালে একটি প্রত্যন্ত গ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় মূলত মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের পদধ্বনি। তাঁর রচিত অন্যান্য কাব্যনাট্য নূরলদীনের সারাজীবন, এখানে এখন, গণনায়ক, বাংলার মাটি বাংলার জল ইত্যাদি।

0
Updated: 4 weeks ago
আমি এ কথা, এ ব্যথা, সুখব্যাকুলতা কাহার চরণতলে দিব নিছনি।'-রবীন্দ্রনাথের এ গানে 'নিছনি' কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 4 days ago
A
অপনোদন অর্থে
B
পূজা অর্থে
C
বিলানো অর্থে
D
উপহার অর্থে
‘নিছনি’ (বিশেষ্য পদ)
অর্থ— অর্ঘ্য, নিবেদন। যেমন— “যদি না দিই নিছনি সেই প্রিয় সখার পার তলে” (ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ)।
এছাড়া শব্দটি রূপ, লাবণ্য, উপহার, বেশবিন্যাস অর্থেও ব্যবহৃত হয়।
তবে প্রদত্ত পঙ্ক্তিতে ‘নিছনি’ শব্দটি পূজা বা নিবেদন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
‘অপনোদন’ (বিশেষ্য পদ)
অর্থ— দূর করা, অপসারণ বা খণ্ডন।
‘বিলানো’ (ক্রিয়াপদ)
অর্থ— বণ্টন করা, দান বা বিতরণ করা।
উৎস: অভিগম্য অভিধান, বাংলা একাডেমি

0
Updated: 4 days ago