১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর পার্ল হারবার আক্রমণ করেছিল কোন দেশ?
A
জার্মান
B
রাশিয়া
C
জাপান
D
ইতালি
উত্তরের বিবরণ
• পার্ল হারবার
-
১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাপানি সাম্রাজ্য হাওয়াইয়ের পার্ল হারবার নৌঘাঁটিতে আকস্মিক আক্রমণ চালায়।
-
এই আক্রমণের অন্যতম কারণ ছিল— চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও লাওসে জাপানের আগ্রাসনের পর যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক জাপানের উপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা।
-
পার্ল হারবার আক্রমণকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার প্রবেশের সূচনা হিসেবে ধরা হয়।
-
আক্রমণের মাত্র কয়েকদিন পর হিটলার যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন, ফলে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় সংঘাতেও জড়িয়ে পড়ে।
-
তবে, ডানকার্কের সিদ্ধান্তের মতো এখানেও হিটলারের যুক্তি স্পষ্ট ছিল না।
-
কারণ, সে সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে জার্মানির অনিশ্চিত অবস্থা ছিল এবং পূর্ব ফ্রন্ট থেকে সম্পদ সরানো খুব একটা যৌক্তিক ছিল না।
-
যাই হোক, এর পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উভয় যুদ্ধক্ষেত্রে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে।
উৎস: worldatlas.com ✅

0
Updated: 1 month ago
নাগোয়া প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয় কোথায়?
Created: 2 months ago
A
জাপান
B
সুইডেন
C
কেনিয়া
D
ফ্রান্স
নাগোয়া প্রটোকল (Nagoya Protocol)
-
পূর্ণ নাম: The Nagoya Protocol on Access and Benefit-sharing
-
সংজ্ঞা: জৈবিক বৈচিত্র্য কনভেনশনের একটি পরিপূরক চুক্তি
-
গৃহীত হয়: ২৯ অক্টোবর, ২০১০
-
স্থান: নাগোয়া, জাপান
-
কার্যকর হয়: ১২ অক্টোবর, ২০১৪
-
উদ্দেশ্য:
-
জিনগত সম্পদের ব্যবহার থেকে উদ্ভূত সুবিধাগুলির ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত বন্টন নিশ্চিত করা
-
জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবহারে অবদান রাখা
-
উৎস: Convention on Biological Diversity ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 months ago
'কুড়িল দ্বীপপুঞ্জ' নিয়ে কোন দুটি দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
চীন ও কোরিয়া
B
রাশিয়া ও জাপান
C
ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড
D
জাপান ও চীন
কুরিল দ্বীপপুঞ্জ হলো রাশিয়া ও জাপানের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ দ্বীপসমূহ, যা ভূরাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে এখনো আনুষ্ঠানিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।
-
কুরিল দ্বীপপুঞ্জ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত
-
অবস্থান: জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের উত্তরে
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের কাছ থেকে এই দ্বীপগুলো সোভিয়েত ইউনিয়ন দখল করে
-
প্রশান্ত মহাসাগরের চারটি দ্বীপ নিয়ে রাশিয়া ও জাপানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে, যার মধ্যে কুরিল দ্বীপপুঞ্জ অন্যতম
-
এই বিতর্কিত দ্বীপগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ হলো কুনাশির
-
চারটি দ্বীপকে জাপান তাদের নর্দান টেরিটরি হিসেবে দাবি করে
-
এই বিরোধের কারণে রাশিয়া ও জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী শান্তিচুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করতে পারেনি
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 1 month ago
এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নোবেল পুরস্কার পেয়েছে কোন দেশের নাগরিক? [আগস্ট - ২০২৫]
Created: 1 week ago
A
চীন
B
জাপান
C
দক্ষিণ কোরিয়া
D
ভিয়েতনাম
জাপানের নাগরিকরা এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ, মোট ৩১টি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তারা পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য এবং শান্তি ক্ষেত্রে পুরস্কৃত হয়েছেন। ২০২৪ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছে জাপানি পরমাণু বিরোধী সংগঠন ‘নিহন হিদানকায়ো’।
নোবেল পুরস্কার ২০২৪:
সাহিত্য:
-
পুরস্কারপ্রাপ্ত: হান কাং
-
অবদান: নিজের সাহিত্যকর্মে **‘ইতিহাসের ট্রমা ও মানবজীবনের ভঙ্গুরতা’**কে তীব্র কবিতাময় গদ্যের মাধ্যমে প্রকাশ করার স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
শান্তি:
-
পুরস্কারপ্রাপ্ত: জাপানি সংস্থা নিহন হিদানকায়ো
-
অবদান: হিবাকুশা হিসেবে পরিচিত সংস্থাটিকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টা এবং পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার কখনোই উচিত নয় তা প্রমাণ করার জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞান:
-
পুরস্কারপ্রাপ্ত: ভিক্টর অ্যামব্রোস, গ্যারি রাভকান
-
অবদান: মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা এর জন্য পুরস্কৃত।
রসায়ন:
-
পুরস্কারপ্রাপ্ত: ডেভিড বেকার, ডেমিস হ্যাসাবিস, জন এম. জাম্পার
-
অবদান: ডেভিড বেকারকে কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইনের জন্য এবং ডেমিস হ্যাসাবিস ও জন এম. জাম্পারকে প্রোটিন গঠন পূর্বাভাসের জন্য যৌথভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
পদার্থবিজ্ঞান:
-
পুরস্কারপ্রাপ্ত: জন জে. হপফিল্ড, জিওফ্রে ই. হিন্টন
-
অবদান: কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং সক্ষম করার মৌলিক আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য।
অর্থনীতি:
-
পুরস্কারপ্রাপ্ত: ড্যারন অ্যাসেমোগলু, সাইমন জনসন, জেমস এ. রবিনসন
-
অবদান: গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখে তা নিয়ে কার্যকরী গবেষণার জন্য।

0
Updated: 1 week ago