A
মাঝি-মাল্লার সংগ্রামশীল জীবন
B
জেলে-জীবনের বিচিত্র সুখ-দুঃখ
C
চাষী-জীবনের করুণ চিত্র
D
চরবাসীদের দুঃখী-জীবন
উত্তরের বিবরণ
‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাস
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসটি ১৯৩৪ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ‘পূর্বাশা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে। এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য জেলেদের জীবন ও তাদের সুখ-দুঃখের নানা দিক, বিশেষত পদ্মা নদীর তীরবর্তী ধীবর সম্প্রদায়ের জীবনচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
কুবের ও কপিলা—এই দুই প্রধান চরিত্রের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্ক উপন্যাসে একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। উপন্যাসের বিখ্যাত সংলাপ “আমারে নিবা মাঝি লগে?” কপিলা কুবেরকে উদ্দেশ্য করে বলে, যা পাঠকের মনে গভীর ছাপ ফেলে।
‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাস ইংরেজি, রুশ, চীনা, চেক, নরওয়েজিয়ান, সুইডিশ প্রভৃতি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
রহস্যময় চরিত্র হোসেন মিয়া
উপন্যাসের অন্যতম রহস্যময় চরিত্র হোসেন মিয়া, যিনি নতুন চরে জীবনের গান শোনাতে আগ্রহী। তিনি একই সঙ্গে নির্মম ও দয়ার্দ্র, সরল ও কঠোর, শ্রমিক ও মাদক ব্যবসায়ী—বিভিন্ন রূপ ধারণ করেছেন। ভালো-মন্দ, আলো-ছায়ার মাঝে ঘেরা হোসেন মিয়া উপন্যাসের অপরিহার্য ও জটিল চরিত্র। যদিও তার প্রকৃত রহস্যের সন্ধান পায় সবাই না, তবুও নিরীহ মাঝিদের কাছে তিনি ত্রাতার মতো সম্মানিত।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
কুবের
-
কপিলা
-
মালা
-
ধনঞ্জয়
-
গণেশ
-
শীতলবাবু
-
হোসেন মিয়া
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক। তিনি ১৯০৮ সালের ২৯ মে বিহারের সাঁওতাল পরগনার দুমকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের মালবদিয়া গ্রামে। তাঁর প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার, ‘মানিক’ ছিল ডাকনাম।
স্নাতক স্তরে অধ্যয়নরত অবস্থায় বিচিত্রা পত্রিকায় তাঁর প্রথম গল্প ‘অতসী মামী’ প্রকাশ পায়। জীবনের প্রথম পর্যায়ে মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড, ইয়ুং, অ্যাডলারের প্রভাব পড়লেও পরে তিনি মার্কসবাদে দীক্ষা লাভ করেন।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
-
জননী
-
দিবারাত্রির কাব্য
-
পুতুলনাচের ইতিকথা
-
শহরতলী
-
অহিংসা
-
স্বাধীনতার স্বাদ
-
আরোগ্য
উৎস:
‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাস; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago
কোনটি উপন্যাস?
Created: 1 week ago
A
নতুন চাঁদ
B
কন্যাকুমারী
C
গড্ডলিকা
D
নেমেসিস
রাশিদা আখতারের লেখা একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো 'কন্যাকুমারী'।
এদিকে,
-
'নতুন চাঁদ' হলো কাজী নজরুল ইসলামের একটি কাব্যগ্রন্থ।
-
'গড্ডলিকা' নামক গল্পগ্রন্থটির রচয়িতা রাজশেখর বসু।
-
আর নাট্যজগতে নুরুল মোমেনের লেখা 'নেমেসিস' একটি গুরুত্বপূর্ণ নাটক হিসেবে পরিচিত।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর) এবং 'কন্যাকুমারী' উপন্যাস (রাশিদা আখতার)।

0
Updated: 1 week ago
'সূর্য দীঘল বাড়ি' চলচ্চিত্রের পরিচালক কে?
Created: 1 week ago
A
শেখ নিয়ামত শাকের
B
জহির রায়হান
C
সুভাষ দত্ত
D
খান আতা
[সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য উত্তর হিসেবে অপশন ‘ক’ গ্রহণ করা হয়েছে।]
• ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ চলচ্চিত্রের পরিচালক হলেন শেখ নিয়ামত আলী এবং মসিহউদ্দিন শাকের।
- আবু ইসহাক রচিত ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি ১৯৭৯ সালে নির্মিত হয়।
- এটি ছিলো সরকারি অনুদানে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র।
---------------------------
• 'সূর্য দীঘল বাড়ী' উপন্যাস:
- আবু ইসহাক রচিত একটি সামাজিক উপন্যাস।
- ১৯৫৫সালে উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়।
- বাংলাদেশের গ্রাম জীবনের বিশ্বস্ত দলিল এই গ্রন্থ।
- বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশবিভাগ প্রভৃতি পরপর চারটি বড় ঐতিহাসিক ঘটনার পটভূমিতে তিনি রচনা করেন 'সূর্য দীঘল বাড়ী'।
- জয়গুন এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র।
• উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্র:
- হাসু,
- মায়মুন,
- শাফি,
- ডা. রমেশ চক্রবর্তী,
- মোরল গদু ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং প্রথম আলো রিপোর্ট।

0
Updated: 1 week ago
বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম উপন্যাসের নাম-
Created: 5 days ago
A
দুর্গেশনন্দিনী
B
কপালকুণ্ডলা
C
কৃষ্ণকান্তের উইল
D
রজনী
দুর্গেশনন্দিনী
-
দুর্গেশনন্দিনী হচ্ছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা প্রথম বাংলা উপন্যাস।
-
"দুর্গেশনন্দিনী" শব্দের মানে হলো কোনো দুর্গের প্রধান ব্যক্তির কন্যা।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সফল উপন্যাস হিসেবে পরিচিত।
-
উপন্যাসটি ১৮৬৫ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এই উপন্যাসের প্রধান নারী চরিত্রের নাম তিলোত্তমা।
উল্লেখযোগ্য অন্যান্য চরিত্রগুলো হলো:
-
বীরেন্দ্র সিংহ
-
ওসমান
-
জগৎসিংহ
-
আয়েশা
-
বিমলা
● বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক। তিনি ছিলেন বাংলা নবজাগরণের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।
-
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৮৩৮ সালে, চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে।
-
তাঁকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়।
-
তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস ‘রাজমোহনস ওয়াইফ’ – এটি ইংরেজিতে লেখা হয়েছিল।
-
তাঁর প্রথম বাংলা উপন্যাস এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম সফল উপন্যাস হলো দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)।
-
তিনি ‘ললিতা তথা মানস’ (১৮৫৬) নামে একটি কাব্যগ্রন্থও রচনা করেন, এটি ছিল তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
-
তাঁর লেখা দ্বিতীয় বাংলা উপন্যাস হলো ‘কপালকুণ্ডলা’ (১৮৬৬)।
-
বঙ্কিমচন্দ্রের তিনটি বিখ্যাত উপন্যাসের নাম হলো: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী এবং সীতারাম — যেগুলো একত্রে তাঁর ত্রয়ী উপন্যাস নামে পরিচিত।
● তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাসগুলো হলো:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ — ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 5 days ago